নীরফামারীতে আইনশৃংঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীরা
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৪২:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ অগাস্ট ২০২৪ ৩২ বার পড়া হয়েছে
প্রায় এক সপ্তাহ ধরে পুলিশ বাহিনী কর্মস্থালে যোগদান না করায় নীরফামারী জনপদে আইনশৃংঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম ভেঙ্গে পড়েছে।আইনশৃংঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনাবাহিনী-বিজিবি-র্যাব-অনছার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-ছাত্রীরা দায়িত্ব পালন করছেন।
বিশেষজ্ঞরা বাংলা টাইমসকে বলেন, শেখ হাসিনার সরকারে আজ্ঞাবহ পুলিশ বাহিনীর ভূমিকা আর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের উপর নির্বিচারে লাঠিচার্জ ও গুলি করে হত্যার চাপা ক্ষোভের আগুনে জ্বলছিল ছাত্র-জনতা।আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের সাথে-সাথে পুলিশ বাহিনীর উপর পূজ্ঞিভুত ক্ষোভের প্রতিশোধে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের থানা পুলিশের উপর হামলা-জ্বালাও-পোড়াও ও হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশ বাহিনী অতঙ্ক আর ক্ষোভে কর্মস্থাল ছেড়ে ঘর মুখো হয়ে পড়ে।এতে সার্বিক আইনশৃংঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম ভেঙ্গে পড়ে।
চলমান আইনশৃংঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সশস্ত্রবাহিনী,বিজিবি,র্যাব,আনছার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-ছাত্রীরা দায়িত্ব পালন করছেন।তারা সরকারি-বে-সরকারি প্রতিষ্ঠান ও জনমাল রক্সায় সার্বিক দায়িত্ব পালন করেছেন।
পুলিশ কর্মস্থলে যোগদান না করায় এ অঞ্চলের অরক্ষিত থানা ও অস্ত্রাগার রাক্ষায় সেনাবাহিনী কঠোর নজরদারী ও অবস্থান করে দায়িত্ব পালন করছেন।
জেলার সড়ক গুলোতে যানজট নিয়ন্ত্রণে স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজ করছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাটকোর (বিএনসিসি) ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স(এফ এস সি ডি) ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-ছাত্রীরা।
পাশাপাশি বিবিন্ন হাসপাতাল দেখভালসহ বাজার দর নিয়ন্ত্রণে সার্বক্ষনিক মনিটরিং করছেন তারা।তবে অসাধু ব্যবসায়ী সেন্ডিকেট বলবৎ রয়েছে। ফলে এখনো বাজার দর সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে রয়েছে। বর্তমান সরকারের বাজার দর নিয়ন্ত্রণে কাজ করা আহবান জানান বিশেষজ্ঞরা।
অপরদিকে, সরকার পতনে সুযোগ সন্ধানী দৃর্বৃত্তরা পুলিশ বাহিনীর কর্মতৎপরতা না থাকায় বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি ও চুরি-ডাকাতির ঘটনাও ঘটছে।