ঢলের পানিতে সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:২৫:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪ ৭১ বার পড়া হয়েছে
নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত। কিছু কিছু বাড়ি ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠায় মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌছেছে। জেলার সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।
রোববার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় নদীর পানি কিছুটা কমলেও রাতের ভারী বৃষ্টিতে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। এতে সুরমা নদী তীরবর্তী সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বেশ কয়েকটি আবাসিক এলাকার বাসা বাড়িতে পানি প্রবেশ করছে। শহরের অনেক রাস্তাঘাট পানিতে নিমজ্জিত।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার (১৭ জুন) দুপুরে সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সুরমা নদীর ছাতক পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০২ সেন্টিমিটার ওপরে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানিয়েছেন, পানি সোমবার (১৭ জুন) সন্ধ্যার পর থেকে কমেছে। সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ১৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টিপাত হলেও বন্যার আশংকা নেই।
সীমান্তের ওপারে মেঘালয়-চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সুনামগঞ্জের সীমান্ত নদী দিয়ে পানি সুরমা ও কুশিয়ারা নদীতে নামছে। সেই সাথে আসছে পাহাড়ি ঢলের পানি। দোয়ারাবাজারের লক্ষ্মীপুরের খাসিয়ামারা নদীর বেড়িবাঁধ ও বোগলাবাজার ইউনিয়নের চিলাই নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে দুই ইউনিয়নের ৫০টি গ্রাম ও সড়ক প্লাবিত হয়েছে। এতে অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ইউএনও মৌসুমী মান্নান জানিয়েছেন, সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার উপর প্রবাহিত হলেও বন্যার আশংকা এখনো নেই। আমাদের পক্ষ থেকে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় ৬২ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কিন্ত আশ্রয় নেয়ার মত পরিস্থিতি হয়নি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী জানিয়েছেন, বন্যা মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি রয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সভা করে সব ইউএনওদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।