ঢাকা ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের মালিক দিলীপ আগরওয়ালা গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:৩৯:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজধানীর গুলশান থেকে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে, রাতে দিলীপ কুমার আগরওয়ালার গুলশানের অফিসে অভিযান চালায় র‍্যাব কর্মকর্তারা। র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস অভিযানের কথা জানিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। এরমধ্যে ডায়মন্ডের বদলে উন্নতমানের কাচের টুকরো বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে গুলশানের অফিসটিতে অভিযান চালানো হবে।

জানা গেছে, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগারওয়ালার বিরুদ্ধে বিদেশ থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে স্বর্ণ ও হীরা আমদানির নামে বিদেশে অর্থপাচার, প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। তার গুলশানের অফিসে অভিযান চালাচ্ছে র‍্যাবের একটি দল।

এদিকে ,স্বর্ণ ও হীরা চোরাচালানের অভিযোগে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অনুসন্ধান শুরু করেছে সিআইডি। মঙ্গলবার বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে সিআইডি।

বিজ্ঞপ্তিতে জানোনো হয়েছে, সংস্থার ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড ও এর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং অনুসন্ধান শুরু করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দীলিপ কুমার আগরওয়ালার বিরুদ্ধে বিদেশ থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে স্বর্ণ ও হীরা আমদানির নামে বিদেশে অর্থপাচার, প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে বিভিন্ন জেলায় নাম মাত্র শোরুমের মাধ্যমে উন্নত মানের কাচের টুকরোকে প্রকৃত ডায়মন্ড হিসেবে বিক্রয়, দুবাই- সিংগাপুরে স্বর্ণ চোরাচালান সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ, ভারতের কলকাতায় তিনটি জুয়েলারি দোকান ও ১১টি বাগি এবং মালয়েশিয়া, দুবাই ও কানাডায় বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং প্রতারণার মাধ্যমে ৪০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে অবৈধভাবে একটি ব্যাংকের পরিচালক হওয়ার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে পাওয়ায় সিআইডি ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম কর্তৃক মানিলন্ডারিং অনুসন্ধান শুরু করেছে।

দিলীপ আগারওয়ালা পরপর দুই বার আওয়ামী লীগের শিল্প বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের মালিক দিলীপ আগরওয়ালা গ্রেপ্তার

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:৩৯:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রাজধানীর গুলশান থেকে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে, রাতে দিলীপ কুমার আগরওয়ালার গুলশানের অফিসে অভিযান চালায় র‍্যাব কর্মকর্তারা। র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস অভিযানের কথা জানিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। এরমধ্যে ডায়মন্ডের বদলে উন্নতমানের কাচের টুকরো বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে গুলশানের অফিসটিতে অভিযান চালানো হবে।

জানা গেছে, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগারওয়ালার বিরুদ্ধে বিদেশ থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে স্বর্ণ ও হীরা আমদানির নামে বিদেশে অর্থপাচার, প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। তার গুলশানের অফিসে অভিযান চালাচ্ছে র‍্যাবের একটি দল।

এদিকে ,স্বর্ণ ও হীরা চোরাচালানের অভিযোগে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অনুসন্ধান শুরু করেছে সিআইডি। মঙ্গলবার বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে সিআইডি।

বিজ্ঞপ্তিতে জানোনো হয়েছে, সংস্থার ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড ও এর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং অনুসন্ধান শুরু করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দীলিপ কুমার আগরওয়ালার বিরুদ্ধে বিদেশ থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে স্বর্ণ ও হীরা আমদানির নামে বিদেশে অর্থপাচার, প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে বিভিন্ন জেলায় নাম মাত্র শোরুমের মাধ্যমে উন্নত মানের কাচের টুকরোকে প্রকৃত ডায়মন্ড হিসেবে বিক্রয়, দুবাই- সিংগাপুরে স্বর্ণ চোরাচালান সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ, ভারতের কলকাতায় তিনটি জুয়েলারি দোকান ও ১১টি বাগি এবং মালয়েশিয়া, দুবাই ও কানাডায় বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং প্রতারণার মাধ্যমে ৪০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে অবৈধভাবে একটি ব্যাংকের পরিচালক হওয়ার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে পাওয়ায় সিআইডি ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম কর্তৃক মানিলন্ডারিং অনুসন্ধান শুরু করেছে।

দিলীপ আগারওয়ালা পরপর দুই বার আওয়ামী লীগের শিল্প বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য ছিলেন।