এডিসি কামরুল ও তার স্ত্রীর সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০২:৫১:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪ ১৫৩ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামে এডিসি কামরুল ও তার স্ত্রীর নামে থাকা ১১ কোটি ৩৪ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। কামরুল হাসান নগর পুলিশে অতিরিক্ত উপকমিশনার হিসেবে কর্মরত। আর তার স্ত্রীর নাম সায়মা বেগম।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ বেগম জেবুননেছা এই আদেশ দেন। দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক এমরান হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, দুদক অনুসন্ধান করে পুলিশ কর্মকর্তা কামরুল হাসান ও তার স্ত্রীর নামে স্থাবর-অস্থাবর অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়েছে। গত জুন মাসে দুদক প্রধান কার্যালয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন দেয়া হয়। এ অবস্থায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা যাতে সম্পদ হস্তান্তর করতে না পারেন, সেজন্য দুদকের পক্ষ থেকে সম্পত্তি ক্রোকের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। পরে আদালত মঞ্জুর করেন।
দুদক জানায়, ১৯৮৯ সালে উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন কামরুল হাসান। এরপর পদোন্নতি পেয়ে হাটহাজারী বাঁশখালীসহ বিভিন্ন থানায় ওসি হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। গত বছর নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার প্রসিকিউশন হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তাকে বদলি করা হয়। তিনি চট্টগ্রাম আদালতের হাজতখানার আসামিদের জন্য সরকারি বরাদ্দের খাবার বিতরণ না করে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বিল উত্তোলন করে নিতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক এমরান হোসেন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পুলিশ কর্মকর্তা কামরুল হাসানের নামে চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলীতে বাড়ি ও খুলশী ডিআইজি অফিসের পাশে দুই হাজার ৫৭০ বর্গফুটের কোটি টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাট আছে। এটি থেকে মাসিক ভাড়া পান ৭০ হাজার টাকা। এছাড়া আবাসিক এলাকায় প্লট আছে।
বাড়ি, ফ্ল্যাট, প্লট ছাড়াও ঢাকার সাভারে সাভার সিটি সেন্টার ও সাভার সিটি টাওয়ার নামে দুটি মার্কেটে মালিকানা রয়েছে এই পুলিশ কর্মকর্তার। সরকারি কর্মকর্তা হয়েও ব্যবসা কিংবা সম্পত্তিগুলো কেনার সময় কোনো অনুমতি নেননি কামরুল হাসান। এমনকি চট্টগ্রাম শহরে বাড়ি থাকলেও তা গোপন করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) দেওয়া অনন্যা আবাসিক এলাকা থেকে প্লট নেন কামরুল হাসান।
এছাড়া কামরুল হাসানের স্ত্রী সায়মা বেগমের নামে রয়েছে ৪টি নৌযান। দু’দকের অনুসন্ধানে এই পর্যন্ত ১১ কোটি ৩৪ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। কামরুল হাসান ও তার স্ত্রীর নামে আরও সম্পদ আছে কি না, তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।