ঢাকা ১০:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উপজেলা নির্বাচন/ মাধবপুরে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগে অনিয়ম

ত্রিপুরারী দেবনাথ তিপু,হবিগঞ্জ
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:১৬:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০২৪ ৮১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হবিগঞ্জের মাধবপুরে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার নিয়োগে অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও কারসাজির অভিযোগ উঠেছে। প্রার্থীর পছন্দের লোক নিয়োগ ও অভিজ্ঞদের বাদ দিয়ে এমনকি শিক্ষক রেখে অফিস সহকারীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামী বুধবার (৫ জুন) এই উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

আরও পড়ুন : নতুন বাজেট হতে পারে ৮ লাখ কোটি টাকার

জানা গেছে, মাধবপুর উপজেলার মৌলানা আছাদ আলী ডিগ্রী কলেজ থেকে ২০ জন শিক্ষককে প্রিজাইডিং অফিসার পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অথচ পার্শ্ববর্তী মনতলা শাহজালাল সরকারি কলেজ থেকে সাতজন প্রিজাইডিং অফিসার নেয়া দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, বিগত ৭টি নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মনতলা শাহজালাল সরকারি কলেজের ৩ প্রভাষককে নিয়ম বহির্ভূতভাবে সহকারী প্রিজাইডিং পদে নিযুক্ত করায করা হয়েছে। তাদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণের কারণে তারা ডিউটি না করার ঘোষণা দিয়েছেন। তারা হলো- শাহ মো:শামসুজ্জামান, সৈয়দ মোহসিনুল হোসাইন ও শেখ রফিকুল ইসলাম।

আরও পড়ুন : ঈদ যাত্রার ট্রেনের আগাম টিকিট কাটবেন যেভাবে

আর জানা গেছে, নামধারী কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নির্বাচনের দায়িত্ব পেয়েছে। এ নিয়ে উপজেলা সদরের একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

তথ্য সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ফুলকলি কিন্ডারগার্টেন থেকে ২২ জন শিক্ষককে পোলিং অফিসার নেয়া হয়েছে। যদিও এর মধ্যে তিনজন স্বেচ্ছায় ডিউটি বাতিল করেন। ওই কিন্ডারগার্টেনের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাবিবুর রহমান মানিক বিএনপি থেকে নির্বাচিত মেয়র।

উপজেলা সদরে ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত বুশরা ইসলামিক কিন্ডারগার্টেন ও ব্লু বার্ড কিন্ডারগার্টেনের কোন শিক্ষককে নির্বাচনী দায়িত্বে নিযুক্ত না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষকরা। তারা বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের নামে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র নিয়ে পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করে এমন প্রতিষ্ঠান থেকে দায়িত্বে নেয়নি। বরং নতুন কিছু নামধারী প্রতিষ্ঠান থেকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা পুলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন : এসএসসিতে ফেল করেও কলেজে ভর্তি, মানতে হবে শর্ত

অন্যদিকে, মাধবপুর উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আল-আমিনের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান জাগরন আইডিয়াল একাডেমীর শিক্ষকদের পোলিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হেয়েছে। কিন্তু, চৌমুহনী ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা এমদাদুল ইসলাম সুজনের মালিকানাধীন কিন্ডারগার্টেন ইদ্রিস একাডেমির কোন শিক্ষককে দায়িত্ব দেয়া হয়নি।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এবং চেয়ারম্যান প্রার্থী বলেন, আমি আশা করব নিরপেক্ষভাবে যাতে নির্ভাচন হয়, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সেই ব্যবস্থা নিবনে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম ফয়সাল এ বিষয়ে বলেন, ভোট গ্রহন কর্মকর্তা নিয়োগে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তার এখতিয়ার। এ বিষয়ে তিনি আর কিছু বলতে চাননি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

উপজেলা নির্বাচন/ মাধবপুরে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগে অনিয়ম

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:১৬:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০২৪

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হবিগঞ্জের মাধবপুরে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার নিয়োগে অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও কারসাজির অভিযোগ উঠেছে। প্রার্থীর পছন্দের লোক নিয়োগ ও অভিজ্ঞদের বাদ দিয়ে এমনকি শিক্ষক রেখে অফিস সহকারীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামী বুধবার (৫ জুন) এই উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

আরও পড়ুন : নতুন বাজেট হতে পারে ৮ লাখ কোটি টাকার

জানা গেছে, মাধবপুর উপজেলার মৌলানা আছাদ আলী ডিগ্রী কলেজ থেকে ২০ জন শিক্ষককে প্রিজাইডিং অফিসার পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অথচ পার্শ্ববর্তী মনতলা শাহজালাল সরকারি কলেজ থেকে সাতজন প্রিজাইডিং অফিসার নেয়া দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, বিগত ৭টি নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মনতলা শাহজালাল সরকারি কলেজের ৩ প্রভাষককে নিয়ম বহির্ভূতভাবে সহকারী প্রিজাইডিং পদে নিযুক্ত করায করা হয়েছে। তাদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণের কারণে তারা ডিউটি না করার ঘোষণা দিয়েছেন। তারা হলো- শাহ মো:শামসুজ্জামান, সৈয়দ মোহসিনুল হোসাইন ও শেখ রফিকুল ইসলাম।

আরও পড়ুন : ঈদ যাত্রার ট্রেনের আগাম টিকিট কাটবেন যেভাবে

আর জানা গেছে, নামধারী কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নির্বাচনের দায়িত্ব পেয়েছে। এ নিয়ে উপজেলা সদরের একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

তথ্য সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ফুলকলি কিন্ডারগার্টেন থেকে ২২ জন শিক্ষককে পোলিং অফিসার নেয়া হয়েছে। যদিও এর মধ্যে তিনজন স্বেচ্ছায় ডিউটি বাতিল করেন। ওই কিন্ডারগার্টেনের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাবিবুর রহমান মানিক বিএনপি থেকে নির্বাচিত মেয়র।

উপজেলা সদরে ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত বুশরা ইসলামিক কিন্ডারগার্টেন ও ব্লু বার্ড কিন্ডারগার্টেনের কোন শিক্ষককে নির্বাচনী দায়িত্বে নিযুক্ত না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষকরা। তারা বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের নামে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র নিয়ে পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করে এমন প্রতিষ্ঠান থেকে দায়িত্বে নেয়নি। বরং নতুন কিছু নামধারী প্রতিষ্ঠান থেকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা পুলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন : এসএসসিতে ফেল করেও কলেজে ভর্তি, মানতে হবে শর্ত

অন্যদিকে, মাধবপুর উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আল-আমিনের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান জাগরন আইডিয়াল একাডেমীর শিক্ষকদের পোলিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হেয়েছে। কিন্তু, চৌমুহনী ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা এমদাদুল ইসলাম সুজনের মালিকানাধীন কিন্ডারগার্টেন ইদ্রিস একাডেমির কোন শিক্ষককে দায়িত্ব দেয়া হয়নি।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এবং চেয়ারম্যান প্রার্থী বলেন, আমি আশা করব নিরপেক্ষভাবে যাতে নির্ভাচন হয়, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সেই ব্যবস্থা নিবনে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম ফয়সাল এ বিষয়ে বলেন, ভোট গ্রহন কর্মকর্তা নিয়োগে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তার এখতিয়ার। এ বিষয়ে তিনি আর কিছু বলতে চাননি।