ঢাকা ১০:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদের দিন স্ত্রী-সন্তানকে মাংস খাওয়াতে না পেরে চিরকুট লিখে আত্মহত্যা

জামালপুর প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:৫০:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪ ৯৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার বগারচর ইউনিয়নের বান্দের পাড় গ্রামে চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেছেন এক যুবক। ঈদের দিন স্ত্রী-সন্তানকে মাংস কিনে খাওয়াতে না পারায় শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকালে ওই যুবক আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনার পর তার চিরকুটটি উদ্ধার করা হয়েছে।

আত্মহত্যাকারী যুবক হাসান আলী (২৬) বকশীগঞ্জ উপজেলার বান্দের পাড় গ্রামের রহমত আলীর ছেলে। তিনি রাজমিস্ত্রীর কাজ করতেন। ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।

চিরকুটে হাসান লিখেছেন, মা-বাবা তোমরা ক্ষমা করে দিও। আমি মরার পর আমার বউ-বাচ্চাকে দেখে রেখো। আমি জানি আমার বউ আমার সঙ্গে রাগ করছে। ঈদের জন্য সবাই গুছ (গোস্ত) খাইছে, কিন্তু আমি গুছ খাওয়াইতে পারিনি। আমি আমার বউয়ের মুখ ঈদের দিন বেজার দেখছি। যদি পার আমাকে ক্ষমা করে দিও।

হাসান বাবা-মার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে চিরকুটে আরও লেখেন, বাবা-মা তোমরা আফরোজাকে (স্ত্রী) কিছু বলবা না, কারণ ওরে আমি খুব ভালোবাসি। আমার মেয়েকে দেখ রেখো।

স্ত্রীর উদ্দেশে হাসান লেখেন, আফরোজা তোমার জীবন স্বাধীন করে দিলাম। তোমার জীবনে কেউ নাই।

এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান বলেন, অভাব-অনটনের কারণে ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ঈদের দিন স্ত্রী-সন্তানকে মাংস খাওয়াতে না পেরে চিরকুট লিখে আত্মহত্যা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:৫০:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার বগারচর ইউনিয়নের বান্দের পাড় গ্রামে চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেছেন এক যুবক। ঈদের দিন স্ত্রী-সন্তানকে মাংস কিনে খাওয়াতে না পারায় শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকালে ওই যুবক আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনার পর তার চিরকুটটি উদ্ধার করা হয়েছে।

আত্মহত্যাকারী যুবক হাসান আলী (২৬) বকশীগঞ্জ উপজেলার বান্দের পাড় গ্রামের রহমত আলীর ছেলে। তিনি রাজমিস্ত্রীর কাজ করতেন। ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।

চিরকুটে হাসান লিখেছেন, মা-বাবা তোমরা ক্ষমা করে দিও। আমি মরার পর আমার বউ-বাচ্চাকে দেখে রেখো। আমি জানি আমার বউ আমার সঙ্গে রাগ করছে। ঈদের জন্য সবাই গুছ (গোস্ত) খাইছে, কিন্তু আমি গুছ খাওয়াইতে পারিনি। আমি আমার বউয়ের মুখ ঈদের দিন বেজার দেখছি। যদি পার আমাকে ক্ষমা করে দিও।

হাসান বাবা-মার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে চিরকুটে আরও লেখেন, বাবা-মা তোমরা আফরোজাকে (স্ত্রী) কিছু বলবা না, কারণ ওরে আমি খুব ভালোবাসি। আমার মেয়েকে দেখ রেখো।

স্ত্রীর উদ্দেশে হাসান লেখেন, আফরোজা তোমার জীবন স্বাধীন করে দিলাম। তোমার জীবনে কেউ নাই।

এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান বলেন, অভাব-অনটনের কারণে ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।