আবারও জামিন চাইলেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মিন্নি
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:৪৭:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪ ৯৭ বার পড়া হয়েছে
আবারও হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেছেন বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি । রোববার (২১ এপ্রিল) হাইকোর্টে এই আবেদন করা হয়।
এর আগে ২০২২ সালের ১৬ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। ২০২৩ সালের ১১ জানুয়ারি বিচারপতি শেখ হাসান আরিক ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিন মিন্নির জামিন আবেদন শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পুনরায় গত বছরের ৯ আগস্ট মিন্নির জামিন আবেদন শুনানির জন্য হাইকোর্টের কার্যতালিকায় এলেও আর শুনানি হয়নি।
স্বামী রিফাত শরীফকে হত্যার দায়ে আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এই রায় প্রদান করেন। এই রায়ে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির মধ্যে ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। এর পাশাপাশি ছয় আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৪ জনকে খালাস প্রদান করেন বিচারক।
একই বছরের চার অক্টোবর ৬ আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পৌঁছে। এরপর ৬ অক্টোবর আসামিরা আপিল করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো- আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি, মো. রাকিবুল হাসান রিফাত ওরফে রিফাত ফরাজী, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বী আকন,রেজোয়ান আলী খাঁন হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় ও মো. হাসান।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্ত্রী মিন্নির সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে জখম করে নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজীর সহযোগীরা। গুরুতর অবস্থায় রিফাতকে প্রথমে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাতের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। ওই মামলার প্রধান সাক্ষী ছিলেন নিহতের স্ত্রী মিন্নি। হত্যাকাণ্ডের ২০ দিন পর ১৬ জুলাই মিন্নিকে বরগুনা পুলিশ লাইনে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এই হত্যায় তার সংশ্লিষ্টতা থাকায় মিন্নিকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
একই বছরের ২৯ আগস্ট হাইকোর্ট মিন্নিকে জামিন দেয়। পরে সাক্ষ্যগ্রহণ, যুক্তিতর্ক শেষে ৩০ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণা করা হয়।