ঢাকা ০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০২৪ ২০০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আজ ৮ মার্চ। আন্তর্জাতিক নারী দিবস। নারী দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য, নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগ এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। এ বাণীতে তাঁরা বিশ্বের সকল নারীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করা হবে। প্রতি বছর আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে নানা আয়োজন করা হয়।

ইউনেস্কো থেকে জানানো হয়েছে, ১৯০৯ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয়। থেরেসা মালকিয়েল নামক একজন শ্রমিক কর্মী গার্মেন্টস শ্রমিকদের বিরুদ্ধে শহরব্যাপী বিক্ষোভ করেছিলেন। তার কথা স্মরণ রাখার উপায় হিসাবে এই দিনটি পালন করা হয়। নারী শ্রমিকদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে সেই বছর এই দিনটি পালন করা হয়েছিল। পরে রাশিয়াতেও ১৯১৭ সাল থেকে এই দিনটি পালিত হতে থাকে। তবে, রাশিয়াতেই প্রথম বার এই দিনটি পালিত হয় ৮ মার্চ। তার পর থেকে সেটিই রীতি হয়ে গেছে।

সারা বিশ্বে নারীর অধিকারের উন্নয়ন আন্তর্জাতিক নারী দিবসের উল্লেখযোগ্য অর্জন। অনেক দেশে, কর্মক্ষেত্রে হয়রানি ও বৈষম্য থেকে নারীদের রক্ষা করার জন্য আইন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আগের তুলনায় অনেক বেশি মেয়েরা স্কুলে যাচ্ছে। নারীরা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে দারুণ অগ্রগতি করেছে।

১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে একটি সুচ কারখানার নারী শ্রমিকরা দৈনিক শ্রম ১২ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে আট ঘণ্টায় আনা, ন্যায্য মজুরি এবং কর্মক্ষেত্রে সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন। আন্দোলন করার অপরাধে সে সময় গ্রেফতার হন অসংখ্য নারী। কারাগারে নির্যাতিত হন অনেকেই।

এর তিন বছর পরে ১৮৬০ সালের একই দিনে গঠন করা হয় ‘নারী শ্রমিক ইউনিয়ন’। ১৯০৮ সালে পোশাক ও বস্ত্রশিল্পের কারখানার প্রায় দেড় হাজার নারীশ্রমিক একই দাবিতে আন্দোলন করেন। অবশেষে আদায় করে নেন দৈনিক আট ঘণ্টা কাজ করার অধিকার।

১৯১০ সালের এই দিনে ডেনমাকের্র কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক সম্মেলনে জার্মানির নেত্রী ক্লারা জেটকিন ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই সারাবিশ্বে দিবসটি আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

জাতিসংঘ ১৯৭৫ সালে আন্তর্জাতিক নারীবর্ষে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করা শুরু করে। এর দুই বছর পর ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘ দিনটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০২৪

আজ ৮ মার্চ। আন্তর্জাতিক নারী দিবস। নারী দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য, নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগ এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। এ বাণীতে তাঁরা বিশ্বের সকল নারীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করা হবে। প্রতি বছর আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে নানা আয়োজন করা হয়।

ইউনেস্কো থেকে জানানো হয়েছে, ১৯০৯ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয়। থেরেসা মালকিয়েল নামক একজন শ্রমিক কর্মী গার্মেন্টস শ্রমিকদের বিরুদ্ধে শহরব্যাপী বিক্ষোভ করেছিলেন। তার কথা স্মরণ রাখার উপায় হিসাবে এই দিনটি পালন করা হয়। নারী শ্রমিকদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে সেই বছর এই দিনটি পালন করা হয়েছিল। পরে রাশিয়াতেও ১৯১৭ সাল থেকে এই দিনটি পালিত হতে থাকে। তবে, রাশিয়াতেই প্রথম বার এই দিনটি পালিত হয় ৮ মার্চ। তার পর থেকে সেটিই রীতি হয়ে গেছে।

সারা বিশ্বে নারীর অধিকারের উন্নয়ন আন্তর্জাতিক নারী দিবসের উল্লেখযোগ্য অর্জন। অনেক দেশে, কর্মক্ষেত্রে হয়রানি ও বৈষম্য থেকে নারীদের রক্ষা করার জন্য আইন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আগের তুলনায় অনেক বেশি মেয়েরা স্কুলে যাচ্ছে। নারীরা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে দারুণ অগ্রগতি করেছে।

১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে একটি সুচ কারখানার নারী শ্রমিকরা দৈনিক শ্রম ১২ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে আট ঘণ্টায় আনা, ন্যায্য মজুরি এবং কর্মক্ষেত্রে সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন। আন্দোলন করার অপরাধে সে সময় গ্রেফতার হন অসংখ্য নারী। কারাগারে নির্যাতিত হন অনেকেই।

এর তিন বছর পরে ১৮৬০ সালের একই দিনে গঠন করা হয় ‘নারী শ্রমিক ইউনিয়ন’। ১৯০৮ সালে পোশাক ও বস্ত্রশিল্পের কারখানার প্রায় দেড় হাজার নারীশ্রমিক একই দাবিতে আন্দোলন করেন। অবশেষে আদায় করে নেন দৈনিক আট ঘণ্টা কাজ করার অধিকার।

১৯১০ সালের এই দিনে ডেনমাকের্র কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক সম্মেলনে জার্মানির নেত্রী ক্লারা জেটকিন ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই সারাবিশ্বে দিবসটি আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

জাতিসংঘ ১৯৭৫ সালে আন্তর্জাতিক নারীবর্ষে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করা শুরু করে। এর দুই বছর পর ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘ দিনটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।