ঢাকা ১১:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আদিবাসীদের হত্যা ও হামলার প্রতিবাদে গাইবান্ধায় সংহতি সমাবেশ

সরকার লুৎফর রহমান,গাইবান্ধা
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:৪৯:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৫৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে আদিবাসীদের সাম্প্রদায়িক হামলা, ঘরবাড়ি-দোকানপাট ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের প্রতিবাদে শনিবার বিকেলে গাইবান্ধা শহরের গানাসাস মার্কেটের সামনে সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

আদিবাসী-বাঙালি সংহতি সমাবেশ, সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদ ও জনউদ্যোগে এ সমাবেশ হয়।

সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম-ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাসকের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন আদিবাসী বাঙালী সংহতি পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু,জনউদ্যোগ জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব তারিক হোসেন মিঠুল, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদ ও জনউদ্যোগের সদস্য সচিব প্রবীর চক্রবর্তী, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর কবির, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের সদর উপজেলা আহবায়ক গোলাম রব্বানী মুসা,মানবাধিকার কর্মী অঞ্জলী রানী দেবী, হাসান মোর্শেদ দীপন,খীলন রবি দাস, অ্যাড. ফারম্নক কবির, সাঁওতাল নেত্রী সুচিত্রা মুর্মু তৃষ্ণা, ভূমি উদ্ধার কমিটির নেতা ময়নুল ইসলাম প্রমুখ। 

বক্তারা বলেন, সমতলে ও পাহড়ে আদিবাসীরা বাংলাদেশের সাথে থেকেই স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে নিজেদের অধিকার নিয়ে বাঁচার অধিকার আছে। বিভিন্ন সময় ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীরা আদিবাসীদের জমি দখল করছে, তাদের উপর শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন করছে। আদিবাসী-বাঙালিসহ সব জাতি, ধর্ম, লিঙ্গের মানুষকে শ্রদ্ধার সঙ্গে দেখা প্রতিটি ব্যক্তির নৈতিক দায়িত্ব। বাংলাদেশের সমৃদ্ধময় সাংস্কৃতিক,ধর্মীয় এবং জাতিগত বৈচিত্র্যময়তার সুদীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে। সম্প্রীতির মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে জনগণকে উজ্জীবিত করতে হবে। সাম্প্রতিক বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ের ও সমতলের আদিবাসীদের উপর হামলা, মাজারে হামলা, মন্দিরে হামলা, নারীকে হেনসত্মা, ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পিটিয়ে মানুষ হত্যা আমাদেরকে ব্যতিত করে। সারাদেশে আদিবাসী জনগোষ্ঠী মানবাধিকার এবং জীবন মানের সার্বিক দিক দিয়ে আজও নানাভাবে বঞ্চিত এবং সে কারণেই দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর থেকে পিছিয়ে পড়া অবহেলিত জনগোষ্ঠী হিসেবে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে চিহ্নিত।

অবিলম্বে পাহাড়ের ও সমতলের আদিবাসীদের প্রতি সকল হত্যার, অগ্নিসংযোগ,লুটপাটকারী সন্ত্রাসীদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে বিচারের দাবী জানানো হয়। আদিবাসী জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাস্ট্রকে নিতে হবে#

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

আদিবাসীদের হত্যা ও হামলার প্রতিবাদে গাইবান্ধায় সংহতি সমাবেশ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:৪৯:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে আদিবাসীদের সাম্প্রদায়িক হামলা, ঘরবাড়ি-দোকানপাট ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের প্রতিবাদে শনিবার বিকেলে গাইবান্ধা শহরের গানাসাস মার্কেটের সামনে সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

আদিবাসী-বাঙালি সংহতি সমাবেশ, সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদ ও জনউদ্যোগে এ সমাবেশ হয়।

সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম-ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাসকের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন আদিবাসী বাঙালী সংহতি পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু,জনউদ্যোগ জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব তারিক হোসেন মিঠুল, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদ ও জনউদ্যোগের সদস্য সচিব প্রবীর চক্রবর্তী, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর কবির, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের সদর উপজেলা আহবায়ক গোলাম রব্বানী মুসা,মানবাধিকার কর্মী অঞ্জলী রানী দেবী, হাসান মোর্শেদ দীপন,খীলন রবি দাস, অ্যাড. ফারম্নক কবির, সাঁওতাল নেত্রী সুচিত্রা মুর্মু তৃষ্ণা, ভূমি উদ্ধার কমিটির নেতা ময়নুল ইসলাম প্রমুখ। 

বক্তারা বলেন, সমতলে ও পাহড়ে আদিবাসীরা বাংলাদেশের সাথে থেকেই স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে নিজেদের অধিকার নিয়ে বাঁচার অধিকার আছে। বিভিন্ন সময় ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীরা আদিবাসীদের জমি দখল করছে, তাদের উপর শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন করছে। আদিবাসী-বাঙালিসহ সব জাতি, ধর্ম, লিঙ্গের মানুষকে শ্রদ্ধার সঙ্গে দেখা প্রতিটি ব্যক্তির নৈতিক দায়িত্ব। বাংলাদেশের সমৃদ্ধময় সাংস্কৃতিক,ধর্মীয় এবং জাতিগত বৈচিত্র্যময়তার সুদীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে। সম্প্রীতির মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে জনগণকে উজ্জীবিত করতে হবে। সাম্প্রতিক বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ের ও সমতলের আদিবাসীদের উপর হামলা, মাজারে হামলা, মন্দিরে হামলা, নারীকে হেনসত্মা, ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পিটিয়ে মানুষ হত্যা আমাদেরকে ব্যতিত করে। সারাদেশে আদিবাসী জনগোষ্ঠী মানবাধিকার এবং জীবন মানের সার্বিক দিক দিয়ে আজও নানাভাবে বঞ্চিত এবং সে কারণেই দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর থেকে পিছিয়ে পড়া অবহেলিত জনগোষ্ঠী হিসেবে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে চিহ্নিত।

অবিলম্বে পাহাড়ের ও সমতলের আদিবাসীদের প্রতি সকল হত্যার, অগ্নিসংযোগ,লুটপাটকারী সন্ত্রাসীদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে বিচারের দাবী জানানো হয়। আদিবাসী জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাস্ট্রকে নিতে হবে#