ঢাকা ১০:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পবিত্র রমজান শুরু ২ মার্চ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:১৩:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫ ৫৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মধ্যপ্রাচ্যে ১ মার্চ থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে পারে। এ তথ্য জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের জ্যোতির্বিদরা। তারা বলেছে, হিসাক-নিকাশ অনুযায়ী ৩১ জানুয়ারি শাবানের প্রথম দিন হবে।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সংযুক্ত আরব আমিরাতের জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে এ তথ্য জানিয়েছে।

তথ্য অনুযায়ী, ৩১ জানুয়ারি শাবানের প্রথম দিন। আর শাবানের ২৯তম দিনে রমজানের চাঁদের সন্ধান করা হয়। সে হিসেবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি মধ্যপ্রাচ্যে রজমানের চাঁদের সন্ধান করা হবে। গবেষকরা বলছেন, ওইদিন রাতেই রমজানের চাঁদ দেখা যাবে এবং আগামী ১ মার্চ থেকে ওই অঞ্চলে শুরু হবে পবিত্র মাস।

আমিরাত জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র শাবান মাস শুরু হওয়ার ব্যাপারে বলেছে, ২৯ জানুয়ারী বুধবার ১৪৪৬ হিজরি সনের রজব মাসের ২৯তম দিন হবে। কিন্তু ওইদিন সূর্যাস্তের সময় বা আগে চাঁদ অস্ত যাবে। ফলে ওইদিন ইসলামিক বিশ্বে শাবানের চাঁদ দেখা অসম্ভব হবে। এতে, এসব দেশে রজম মাসটি ৩০দিন পূর্ণ করবে এবং ৩১ জানুয়ারি হবে শাবানের প্রথম দিন।

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, আগামী ৩০ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সব মুসলিশ দেশ, দক্ষিণ ইউরোপ, আফ্রিকা এবং যুক্তরাষ্ট্রে খালি চোখে চাঁদ দেখা যাবে। যার অর্থ হলো যেসব দেশে বৃহস্পতিবার ২৯ রজব হবে সেসব দেশেও ৩১ জানুয়ারি শাবান শুরু হবে। এরমধ্যে রয়েছে-আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইরান, বাংলাদেশ, মরক্কো, ক্যামেরুন ও আলবেনিয়া।

এদিকে চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে রমজান শুরু হওয়ার একটি সম্ভাবনা তৈরি হলেও; জ্যোতির্বিদদের সর্বশেষ তথ্য বলছে, ফেব্রুয়ারিতে রজমান মাস দেখতে আরও এক বছর অপেক্ষা করতে হবে।

সাধারণত সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে রোজা শুরুর একদিন পর বাংলাদেশে পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়। সেই হিসাবে বাংলাদেশে ২ মার্চ রোজা শুরু হতে পারে।

উল্লেখ্য, চন্দ্র বর্ষপঞ্জিকা অনুযায়ী আরবি/হিজরি বছর গণনা করা হয়। ফলে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে কবে কোন মাস শুরু হবে। আর রমজানের চাঁদ দেখা যাওয়ার পর ওইদিন রাতেই তারাবির নামাজ পড়েন মুসল্লিরা। এরপর সূর্যোদয়ের আগে গ্রহণ করেন সেহরি। সারাদিন সব ধরনের পানাহার থেকে বিরত থাকার পর সূর্যাস্তের পর ইফতারের মাধ্যমে রোজা পূর্ণ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

পবিত্র রমজান শুরু ২ মার্চ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:১৩:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫

মধ্যপ্রাচ্যে ১ মার্চ থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে পারে। এ তথ্য জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের জ্যোতির্বিদরা। তারা বলেছে, হিসাক-নিকাশ অনুযায়ী ৩১ জানুয়ারি শাবানের প্রথম দিন হবে।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সংযুক্ত আরব আমিরাতের জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে এ তথ্য জানিয়েছে।

তথ্য অনুযায়ী, ৩১ জানুয়ারি শাবানের প্রথম দিন। আর শাবানের ২৯তম দিনে রমজানের চাঁদের সন্ধান করা হয়। সে হিসেবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি মধ্যপ্রাচ্যে রজমানের চাঁদের সন্ধান করা হবে। গবেষকরা বলছেন, ওইদিন রাতেই রমজানের চাঁদ দেখা যাবে এবং আগামী ১ মার্চ থেকে ওই অঞ্চলে শুরু হবে পবিত্র মাস।

আমিরাত জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র শাবান মাস শুরু হওয়ার ব্যাপারে বলেছে, ২৯ জানুয়ারী বুধবার ১৪৪৬ হিজরি সনের রজব মাসের ২৯তম দিন হবে। কিন্তু ওইদিন সূর্যাস্তের সময় বা আগে চাঁদ অস্ত যাবে। ফলে ওইদিন ইসলামিক বিশ্বে শাবানের চাঁদ দেখা অসম্ভব হবে। এতে, এসব দেশে রজম মাসটি ৩০দিন পূর্ণ করবে এবং ৩১ জানুয়ারি হবে শাবানের প্রথম দিন।

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, আগামী ৩০ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সব মুসলিশ দেশ, দক্ষিণ ইউরোপ, আফ্রিকা এবং যুক্তরাষ্ট্রে খালি চোখে চাঁদ দেখা যাবে। যার অর্থ হলো যেসব দেশে বৃহস্পতিবার ২৯ রজব হবে সেসব দেশেও ৩১ জানুয়ারি শাবান শুরু হবে। এরমধ্যে রয়েছে-আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইরান, বাংলাদেশ, মরক্কো, ক্যামেরুন ও আলবেনিয়া।

এদিকে চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে রমজান শুরু হওয়ার একটি সম্ভাবনা তৈরি হলেও; জ্যোতির্বিদদের সর্বশেষ তথ্য বলছে, ফেব্রুয়ারিতে রজমান মাস দেখতে আরও এক বছর অপেক্ষা করতে হবে।

সাধারণত সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে রোজা শুরুর একদিন পর বাংলাদেশে পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়। সেই হিসাবে বাংলাদেশে ২ মার্চ রোজা শুরু হতে পারে।

উল্লেখ্য, চন্দ্র বর্ষপঞ্জিকা অনুযায়ী আরবি/হিজরি বছর গণনা করা হয়। ফলে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে কবে কোন মাস শুরু হবে। আর রমজানের চাঁদ দেখা যাওয়ার পর ওইদিন রাতেই তারাবির নামাজ পড়েন মুসল্লিরা। এরপর সূর্যোদয়ের আগে গ্রহণ করেন সেহরি। সারাদিন সব ধরনের পানাহার থেকে বিরত থাকার পর সূর্যাস্তের পর ইফতারের মাধ্যমে রোজা পূর্ণ করেন।