ঢাকা ০৬:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খেয়ে ফেলছে বীজ আলু, দু:শ্চিন্তায় কৃষকরা

রাজশাহী ব্যুরো
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:০৯:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪ ৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজশাহীতে আলু বীজ সংকটে দিশেহারা কৃষক। কৃষকরা জানান, ৮০ টাকা কেজি দরের উচ্চ ফলনশীল জাতের আলু বীজ ১০০ টাকা কেজিতেও মিলছে না। চাহিদা অনুযায়ী কাঙ্ক্ষিত আলু বীজ সংগ্রহ করতে না পারায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। এমন উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে চলতি মৌসুমে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এদিকে, রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বীজ আলুর সংকট নিরসন করে প্রকৃত আলু চাষীদের বীজ আলু প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে জরুরী সভা করা হয়েছে।

রাজশাহী অঞ্চলের বাঘা, তানোর, মোহনপুর এলাকায় সবচেয়ে বেশী আলু উৎপাদন হয়। এরমধ্যে রাজশাহীর বাঘা উপজেলা অন্যতম। কিন্তু চলতি বছর বাজারে খাওয়ার আলুর দাম অনেক বেশী হওয়ায়, বীজ আলু-খাবার আলু হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে বীজ আলুর সংকট দেখা দিয়েছে। কৃষকদের দাবি, সরকার যে কোন মূল্যে বাজারে আলুর দাম নিয়ন্ত্রন করতে ব্যর্থ হলে, এবার ডিসেম্বরে শুরুতে মৌসুম ভিত্তিক আলুর উৎপাদন ব্যাপক হারে কমে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

বাঘার চরাঞ্চলের কৃষকরা বলছেন, এবার আলুর দাম বেশি হওয়ায় ব্যবসায়ীরা বীজ আলু খাবার আলু হিসাবে কাজে লাগাচ্ছে। যদি এমন অবস্থা চলতে থাকে, তাহলে সামনের মৌসুমে শুরু থেকে নতুন আলুর দাম ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে বিপাকে পড়বে কৃষকরা।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সূত্রে জানা গেছে, অক্টোবর শেষে দেশে বীজ আলুর মজুত ছিল ৫.৬৭ লাখ টন। আর বীজ আলুর চাহিদা ছিল ৭.৫ লাখ টন। এরমধ্যেই প্রায় ২ লাখ টন বীজ আলুর মজুত খাওয়ার আলু হিসেবে ব্যবহার হয়ে গেছে। এর ফলে চরম হতাশার মধ্যে রয়েছেন আলু চাষীরা।

বাঘার কৃষকরা বলেন, সরকার পরিবর্তনের পর সকল পণ্যের দাম বেড়েছে। এরমধ্যে আলু অন্যতম। এখন বাজারে প্রতি কেজি খাবার আলু বিক্রয় হচ্ছে ৭৫ টাকা বা তারও বেশি দামে। কিন্তু প্রকার ভেদে বিভিন্ন কোম্পানি বীজ আলু বিক্রি করছে ৭০ থেকে ৭৩ টাকা কেজি দরে। ফলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বীজ আলু খাবার আলু হিসেবে ব্যবহার হওয়ায়।

তারা আরও জানান, যদি এমনি ভাবে চলতে থাকে এবং বাজার নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব না হয়, তাহলে এখন থেকে বীজ আলুর আরও সংকট তৈরি হবে। তখন সরকার দেশের বাইরে থেকে বীজ সরবরাহ করতে না পারলে কৃষকদের মাথায় হাত পড়বে।

বাঘার চরাঞ্চলের আলু চাষী গোলাম মোস্তফা জানান, প্রতি বছর বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) ও বেসরকারি খাত বীজ আলুর জোগান দেয়। এ ছাড়াও চাষিদের কাছে অল্প কিছু বীজের জোগান থাকে। বর্তমানে বীজ আলু যা আছে, তা যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা সম্ভব হলে শুধু কৃষক নয়, সরকারও বিপাকে পড়বেন।

রাজশাহী সাহেব বাজার মাষ্টার পাড়া এলাকার নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক ব্যাবসায়ী বলেন, সাধারণত প্রতি বছর আলুর দাম উৎপাদন মৌসুমে ২০-৩০ টাকা এবং মৌসুম শেষে ৪৫-৫০ টাকায় ওঠে। কিন্তু এ বছর উৎপাদন মৌসুম থেকেই আলুর দাম চড়া, এখন সেটি ৭০-৭৫ টাকায় উঠেছে। এর প্রধান কারন ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। এর মধ্যে সরকার আলু আমদানির ওপর থেকে শুল্ক কমিয়ে আমদানি সহজ করেছে। কিন্তু আমদানি করেও বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। তবে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

অপরদিকে, রাজশাহীর তানোরেও আলু বীজের সংকট দিশেহারা কৃষক। কৃষকরা জানান, ৮০ টাকা কেজি দরের উচ্চ ফলনশীল জাতের আলু বীজ ১০০ টাকা কেজিতেও মিলছে না। আলুর ভরা মৌসুমে চাহিদা অনুযায়ী কাক্ষিত পরিমাণ প্রয়োজনীয় আলু বীজ সংগ্রহ করতে না পারায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সংশ্লিষ্ট কৃষকরা। এমন উদ্ভূত আলু বীজ সংকট পরিস্থিতির কারণে চলতি মৌসুমে উপজেলায় আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, জেলার তানোর উপজেলায় বেশী আলু চাষাবাদ হয়। কিন্ত তানোরে ব্র্যাকের মাত্র একজন আলু বীজ ডিলার রয়েছে। অন্যদিকে জেলার মোহনপুর উপজেলায় সব চাইতে কম আলু চাষাবাদ হয়। অথচ মোহনপুরে ব্র্যাকের ৪ জন বীজ ডিলার রয়েছে।

এদিকে, কৃষি বিভাগের দাবি, সংকট নয় একশ্রেণির মুনাফালোভী অসাধু বীজ ব্যবসায়ীদের কারসাজির কারণেই আলু বীজের দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগ তুলছেন কৃষকরা। কিন্তু ভুক্তভোগী কৃষকরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের দাবি, এ বছর সরকারি-বেসরকারি প্রতি কেজি ‘এ’ ও ‘বি’ গ্রেডের উচ্চ ফলনশীল আলু বীজ প্রকারভেদে ৭৮ থেকে ৮০ টাকা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু বাজারে ওই দামে কাক্ষিত বীজ মিলছে না।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়েশা সিদ্দিকার সভাপতিত্বে তার নিজ কার্যালয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় ছিলেন-উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) জোবায়দা সুলতানা, মোহনপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কামরুল ইমলাম, মোহনপুর থানার এস.আই নওশাদ আলী। এসময় উপজেলার আলু চাষী, আলু মজুদকারী, হিমাগার কর্তৃপক্ষ সহ গণমাধ্যম কর্মীদের কাছ থেকে মতামত জানা হয়।

আলু সংকট নিরসনে করণীয় হিসেবে, আলু মজুতদারদের তালিকা নিশ্চিত করা, মোহনপুরে অবস্থিত সকল হিমাগারের মালিক/ম্যানেজারদের সাথে আলু বীজের বিষয়টি নিয়ে নিয়মিত যোগাযোগ করা, পাইকারী থেকে খুচরা সকল পর্যায়ে পাকা রশিদ নিশ্চিত করাসহ রংপুরে প্রাণ এগ্রো ৪৫ টাকা দরে আলু বিক্রি শুরু করেছে। এমন কোন কার্যক্রম মোহনপুর এলাকায় ব্যবস্থা করা যায় কিনা। নতুন কোন কর্ম পরিকল্পনা হাতে নিয়ে আগামী দিনে খাবার আলু এবং বীজ আলুর দাম কমানো যায় কিনা, এরকম মতামত উঠে আসে এ আলোচনা সভায়।

এ বিষয়ে মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়শা সিদ্দিকা বলেন, খাবার আলু এবং বীজ আলুর ন্যায্যমূল্য গ্রাহক ও প্রান্তিক আলু চাষীদের নিকট নিশ্চিত করতে উপজেলা প্রশাসন এবং উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় পাইকারি থেকে খুচরা পর্যায়ে আলুর বাজার নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

খেয়ে ফেলছে বীজ আলু, দু:শ্চিন্তায় কৃষকরা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:০৯:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

রাজশাহীতে আলু বীজ সংকটে দিশেহারা কৃষক। কৃষকরা জানান, ৮০ টাকা কেজি দরের উচ্চ ফলনশীল জাতের আলু বীজ ১০০ টাকা কেজিতেও মিলছে না। চাহিদা অনুযায়ী কাঙ্ক্ষিত আলু বীজ সংগ্রহ করতে না পারায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। এমন উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে চলতি মৌসুমে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এদিকে, রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বীজ আলুর সংকট নিরসন করে প্রকৃত আলু চাষীদের বীজ আলু প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে জরুরী সভা করা হয়েছে।

রাজশাহী অঞ্চলের বাঘা, তানোর, মোহনপুর এলাকায় সবচেয়ে বেশী আলু উৎপাদন হয়। এরমধ্যে রাজশাহীর বাঘা উপজেলা অন্যতম। কিন্তু চলতি বছর বাজারে খাওয়ার আলুর দাম অনেক বেশী হওয়ায়, বীজ আলু-খাবার আলু হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে বীজ আলুর সংকট দেখা দিয়েছে। কৃষকদের দাবি, সরকার যে কোন মূল্যে বাজারে আলুর দাম নিয়ন্ত্রন করতে ব্যর্থ হলে, এবার ডিসেম্বরে শুরুতে মৌসুম ভিত্তিক আলুর উৎপাদন ব্যাপক হারে কমে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

বাঘার চরাঞ্চলের কৃষকরা বলছেন, এবার আলুর দাম বেশি হওয়ায় ব্যবসায়ীরা বীজ আলু খাবার আলু হিসাবে কাজে লাগাচ্ছে। যদি এমন অবস্থা চলতে থাকে, তাহলে সামনের মৌসুমে শুরু থেকে নতুন আলুর দাম ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে বিপাকে পড়বে কৃষকরা।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সূত্রে জানা গেছে, অক্টোবর শেষে দেশে বীজ আলুর মজুত ছিল ৫.৬৭ লাখ টন। আর বীজ আলুর চাহিদা ছিল ৭.৫ লাখ টন। এরমধ্যেই প্রায় ২ লাখ টন বীজ আলুর মজুত খাওয়ার আলু হিসেবে ব্যবহার হয়ে গেছে। এর ফলে চরম হতাশার মধ্যে রয়েছেন আলু চাষীরা।

বাঘার কৃষকরা বলেন, সরকার পরিবর্তনের পর সকল পণ্যের দাম বেড়েছে। এরমধ্যে আলু অন্যতম। এখন বাজারে প্রতি কেজি খাবার আলু বিক্রয় হচ্ছে ৭৫ টাকা বা তারও বেশি দামে। কিন্তু প্রকার ভেদে বিভিন্ন কোম্পানি বীজ আলু বিক্রি করছে ৭০ থেকে ৭৩ টাকা কেজি দরে। ফলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বীজ আলু খাবার আলু হিসেবে ব্যবহার হওয়ায়।

তারা আরও জানান, যদি এমনি ভাবে চলতে থাকে এবং বাজার নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব না হয়, তাহলে এখন থেকে বীজ আলুর আরও সংকট তৈরি হবে। তখন সরকার দেশের বাইরে থেকে বীজ সরবরাহ করতে না পারলে কৃষকদের মাথায় হাত পড়বে।

বাঘার চরাঞ্চলের আলু চাষী গোলাম মোস্তফা জানান, প্রতি বছর বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) ও বেসরকারি খাত বীজ আলুর জোগান দেয়। এ ছাড়াও চাষিদের কাছে অল্প কিছু বীজের জোগান থাকে। বর্তমানে বীজ আলু যা আছে, তা যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা সম্ভব হলে শুধু কৃষক নয়, সরকারও বিপাকে পড়বেন।

রাজশাহী সাহেব বাজার মাষ্টার পাড়া এলাকার নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক ব্যাবসায়ী বলেন, সাধারণত প্রতি বছর আলুর দাম উৎপাদন মৌসুমে ২০-৩০ টাকা এবং মৌসুম শেষে ৪৫-৫০ টাকায় ওঠে। কিন্তু এ বছর উৎপাদন মৌসুম থেকেই আলুর দাম চড়া, এখন সেটি ৭০-৭৫ টাকায় উঠেছে। এর প্রধান কারন ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। এর মধ্যে সরকার আলু আমদানির ওপর থেকে শুল্ক কমিয়ে আমদানি সহজ করেছে। কিন্তু আমদানি করেও বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। তবে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

অপরদিকে, রাজশাহীর তানোরেও আলু বীজের সংকট দিশেহারা কৃষক। কৃষকরা জানান, ৮০ টাকা কেজি দরের উচ্চ ফলনশীল জাতের আলু বীজ ১০০ টাকা কেজিতেও মিলছে না। আলুর ভরা মৌসুমে চাহিদা অনুযায়ী কাক্ষিত পরিমাণ প্রয়োজনীয় আলু বীজ সংগ্রহ করতে না পারায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সংশ্লিষ্ট কৃষকরা। এমন উদ্ভূত আলু বীজ সংকট পরিস্থিতির কারণে চলতি মৌসুমে উপজেলায় আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, জেলার তানোর উপজেলায় বেশী আলু চাষাবাদ হয়। কিন্ত তানোরে ব্র্যাকের মাত্র একজন আলু বীজ ডিলার রয়েছে। অন্যদিকে জেলার মোহনপুর উপজেলায় সব চাইতে কম আলু চাষাবাদ হয়। অথচ মোহনপুরে ব্র্যাকের ৪ জন বীজ ডিলার রয়েছে।

এদিকে, কৃষি বিভাগের দাবি, সংকট নয় একশ্রেণির মুনাফালোভী অসাধু বীজ ব্যবসায়ীদের কারসাজির কারণেই আলু বীজের দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগ তুলছেন কৃষকরা। কিন্তু ভুক্তভোগী কৃষকরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের দাবি, এ বছর সরকারি-বেসরকারি প্রতি কেজি ‘এ’ ও ‘বি’ গ্রেডের উচ্চ ফলনশীল আলু বীজ প্রকারভেদে ৭৮ থেকে ৮০ টাকা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু বাজারে ওই দামে কাক্ষিত বীজ মিলছে না।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়েশা সিদ্দিকার সভাপতিত্বে তার নিজ কার্যালয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় ছিলেন-উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) জোবায়দা সুলতানা, মোহনপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কামরুল ইমলাম, মোহনপুর থানার এস.আই নওশাদ আলী। এসময় উপজেলার আলু চাষী, আলু মজুদকারী, হিমাগার কর্তৃপক্ষ সহ গণমাধ্যম কর্মীদের কাছ থেকে মতামত জানা হয়।

আলু সংকট নিরসনে করণীয় হিসেবে, আলু মজুতদারদের তালিকা নিশ্চিত করা, মোহনপুরে অবস্থিত সকল হিমাগারের মালিক/ম্যানেজারদের সাথে আলু বীজের বিষয়টি নিয়ে নিয়মিত যোগাযোগ করা, পাইকারী থেকে খুচরা সকল পর্যায়ে পাকা রশিদ নিশ্চিত করাসহ রংপুরে প্রাণ এগ্রো ৪৫ টাকা দরে আলু বিক্রি শুরু করেছে। এমন কোন কার্যক্রম মোহনপুর এলাকায় ব্যবস্থা করা যায় কিনা। নতুন কোন কর্ম পরিকল্পনা হাতে নিয়ে আগামী দিনে খাবার আলু এবং বীজ আলুর দাম কমানো যায় কিনা, এরকম মতামত উঠে আসে এ আলোচনা সভায়।

এ বিষয়ে মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়শা সিদ্দিকা বলেন, খাবার আলু এবং বীজ আলুর ন্যায্যমূল্য গ্রাহক ও প্রান্তিক আলু চাষীদের নিকট নিশ্চিত করতে উপজেলা প্রশাসন এবং উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় পাইকারি থেকে খুচরা পর্যায়ে আলুর বাজার নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে।