ঢাকা ১১:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

চিরনিদ্রায় শায়িত আব্দুল্লাহ, পেলেন গার্ড অব অনার

শহিদুল ইসলাম দইচ, যশোর
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:১৫:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ ১৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ আব্দুল্লাহ টানা ৩ লড়াই করে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বেলা ১১টার দিকে যশোর তার দাফন হয়।

এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টায় যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল বলফিল্ড মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরে যশোরের বেনাপোলে তার নানা বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে নানা-নানীর কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হন আব্দুল্লাহ।

তার জানাজায় উপস্থিত ছিলেন-শার্শার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ড. কাজী নাজিব হাসান, বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল মিয়া, যশোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক (সাবু), জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির কর্ম পরিষদের সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান প্রমুখ।

পেশায় একজন শ্রমিক ছিলেন আবদুল্লাহর বাবা আব্দুল জব্বার। অর্থাভাবে কোনো ছেলে-মেয়েকে লেখাপড়া করাতে পারেননি। আব্দুল্লাহ ছোট থেকেই ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী। চার ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন তিনি। তাকে ঘিরে আকাশসম স্বপ্ন ছিল দরিদ্র বাবা-মা ও ভাই-বোনদের। তাকে হারিয়ে মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে পরিবারটির।

মেধা ও আচরণের কারণে গ্রামে সবার প্রিয় ছিলেন আব্দুল্লাহ। তিনি ঢাকায় বোনের বাসায় থেকে লেখাপড়া করতেন। তিনি রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্র্ষের ছাত্র ছিলেন। আন্দোলনের শুরু থেকেই আবদুল্লাহ সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।

শার্শা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ড. কাজী নাজিব হাসান বলেন, রাষ্ট্রীয় বিশেষ মর্যাদায় শহীদ আব্দুল্লাহকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়েছে। আমরা সব সময় আব্দুল্লাহর পরিবারের পাশে আছি এবং থাকবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

চিরনিদ্রায় শায়িত আব্দুল্লাহ, পেলেন গার্ড অব অনার

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:১৫:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ আব্দুল্লাহ টানা ৩ লড়াই করে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বেলা ১১টার দিকে যশোর তার দাফন হয়।

এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টায় যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল বলফিল্ড মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরে যশোরের বেনাপোলে তার নানা বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে নানা-নানীর কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হন আব্দুল্লাহ।

তার জানাজায় উপস্থিত ছিলেন-শার্শার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ড. কাজী নাজিব হাসান, বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল মিয়া, যশোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক (সাবু), জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির কর্ম পরিষদের সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান প্রমুখ।

পেশায় একজন শ্রমিক ছিলেন আবদুল্লাহর বাবা আব্দুল জব্বার। অর্থাভাবে কোনো ছেলে-মেয়েকে লেখাপড়া করাতে পারেননি। আব্দুল্লাহ ছোট থেকেই ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী। চার ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন তিনি। তাকে ঘিরে আকাশসম স্বপ্ন ছিল দরিদ্র বাবা-মা ও ভাই-বোনদের। তাকে হারিয়ে মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে পরিবারটির।

মেধা ও আচরণের কারণে গ্রামে সবার প্রিয় ছিলেন আব্দুল্লাহ। তিনি ঢাকায় বোনের বাসায় থেকে লেখাপড়া করতেন। তিনি রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্র্ষের ছাত্র ছিলেন। আন্দোলনের শুরু থেকেই আবদুল্লাহ সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।

শার্শা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ড. কাজী নাজিব হাসান বলেন, রাষ্ট্রীয় বিশেষ মর্যাদায় শহীদ আব্দুল্লাহকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়েছে। আমরা সব সময় আব্দুল্লাহর পরিবারের পাশে আছি এবং থাকবো।