ঢাকা ০৭:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নীলফামারীতে আলু’র আকাশচুম্বী দরে ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে

আজিজুল বুলু,নীলফামারী
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৩:০৪:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ ৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আলু’র রক্ষানাবেক্ষন হিমাগারে পর্যাপ্ত মজুত থাকার পরও নীলফামারী’র হাট-বাজারে আলু’র আকাশচুম্বী দরে ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার বইরে।আলু’র বাজার নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা ব্যাক্তি’র উদাসিনতাকে দায়ি করছেন ভোক্কারা।

সরেজমিনে এ অঞ্চলের বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে ভোক্তাদের কাছ থেকে জানা গেছে:নীলফামারী জেলায় প্রায় ১০ লাখ মানুষের বসবাস।খাদ্য তালিকার শীর্ষে অবস্থান আলু’র।তাই হাট-বাজার গুলোতে আলু’র চাহিদা বেশী থাকার আলু’র বাজার নিয়ন্ত্রণ করে কতিপয় অসাধু আলু ব্যবসায়ী আর আলু রক্ষনাবেক্ষন কারী হিমাগার মালিক।
তারা অতি মুনাফার আশায় আলু’র কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে বাজার দর উদ্ধমুখী করে তোলে।আলু’র উদ্ধমুখী বাজার দর নিয়ন্ত্রণে কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের জেলা মনিটরিং ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা জেলা কৃষি বিপনন কর্মকর্তা উম্মে কুলসুম বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য হাট-বাজার গুলোতে বিশেষ অভিযানের ভ্রমান্য আদালতের মাধ্যমে জেল-জমিমানা করেও আলু বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না কতিপয় আসাধু ব্যবসায়ী ও কোল্ড স্টোরেজ মালিক সেন্ডিক্রেটের কারণে।

আজ শুক্রবার (১৫অক্টোবর) নীলফামারী শহরের কালিতলা,উকিলের মোড়,সাহেব বাজার নতুন বাজার,বড়বাজার ,গাছবাড়ী,বদিয়ার মোড়,পাঁচমাথা মোড়,কাঁচাবাজরে খাওয়া আলু’র প্রতিকেজী বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে।আর বীজ আলু বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। এক সপ্তাহ আগে খাওয়া আলু ে বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কজি দরে। আর বীজ আলু বিক্রি হয়েছে ৯৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে।

নীলফামারী সদর উপজেলার চড়াইখোলা ইউনিয়নের বসুনিয়া পাড়ার আব্দুল্লাহ আল-কাফী জানান, আলু’র বাজার দর নিয়ন্ত্রণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উদাসিনতায়কেই দায়ি করছেন তিনি।

কালিতলার কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী মহরম আলী জানান,এ জেলায় আলু সংরক্ষণের জন্য হিমাগার রয়েছে ১১ টি।এ সব হিমাগারে পর্যাপ্ত খাওয়া ও বীজ আলু মজুত রয়েছে।তার পরও আলু বাজহার উদ্ধমুখীর পিছনে নীলফামারী জেলায় হিমাগার মালিক ও আলু ব্যবসায়ী দের ভুমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

কাঁচাবাজারে আলু,পোটল,বেগুন,বাঁধাকপি,ফুলকপিসহ সকল প্রকার শাকসবজী বাজারে ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে এবং মধ্যেস্বত্বভোগীদের দুরত্ব কমাতে কৃষকের বাজার বসানোর উদ্দ্যোগ নিয়েছে জেলা কৃষি বিভাগ।এ মাসে এ বাজার খোলার সকল প্রস্ততুতি গ্রহন করা হয়েছে।কৃষি বিভাগ বলছে: কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পন্য এ বাজারে সরাসরি ভোক্তাদের হাতে তুলে দিবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড,এসএম আবু বকর সাইফুল ইসলাম জানান, আলু বাজার আগামী সপ্তাহ থেকে কমতে শুরু করবে কারণ আগমী সপ্তাহ থেকে বাজারে নতুন আলু কৃষকরা বাজারজাত শুরু করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

নীলফামারীতে আলু’র আকাশচুম্বী দরে ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৩:০৪:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

আলু’র রক্ষানাবেক্ষন হিমাগারে পর্যাপ্ত মজুত থাকার পরও নীলফামারী’র হাট-বাজারে আলু’র আকাশচুম্বী দরে ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার বইরে।আলু’র বাজার নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা ব্যাক্তি’র উদাসিনতাকে দায়ি করছেন ভোক্কারা।

সরেজমিনে এ অঞ্চলের বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে ভোক্তাদের কাছ থেকে জানা গেছে:নীলফামারী জেলায় প্রায় ১০ লাখ মানুষের বসবাস।খাদ্য তালিকার শীর্ষে অবস্থান আলু’র।তাই হাট-বাজার গুলোতে আলু’র চাহিদা বেশী থাকার আলু’র বাজার নিয়ন্ত্রণ করে কতিপয় অসাধু আলু ব্যবসায়ী আর আলু রক্ষনাবেক্ষন কারী হিমাগার মালিক।
তারা অতি মুনাফার আশায় আলু’র কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে বাজার দর উদ্ধমুখী করে তোলে।আলু’র উদ্ধমুখী বাজার দর নিয়ন্ত্রণে কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের জেলা মনিটরিং ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা জেলা কৃষি বিপনন কর্মকর্তা উম্মে কুলসুম বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য হাট-বাজার গুলোতে বিশেষ অভিযানের ভ্রমান্য আদালতের মাধ্যমে জেল-জমিমানা করেও আলু বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না কতিপয় আসাধু ব্যবসায়ী ও কোল্ড স্টোরেজ মালিক সেন্ডিক্রেটের কারণে।

আজ শুক্রবার (১৫অক্টোবর) নীলফামারী শহরের কালিতলা,উকিলের মোড়,সাহেব বাজার নতুন বাজার,বড়বাজার ,গাছবাড়ী,বদিয়ার মোড়,পাঁচমাথা মোড়,কাঁচাবাজরে খাওয়া আলু’র প্রতিকেজী বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে।আর বীজ আলু বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। এক সপ্তাহ আগে খাওয়া আলু ে বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কজি দরে। আর বীজ আলু বিক্রি হয়েছে ৯৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে।

নীলফামারী সদর উপজেলার চড়াইখোলা ইউনিয়নের বসুনিয়া পাড়ার আব্দুল্লাহ আল-কাফী জানান, আলু’র বাজার দর নিয়ন্ত্রণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উদাসিনতায়কেই দায়ি করছেন তিনি।

কালিতলার কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী মহরম আলী জানান,এ জেলায় আলু সংরক্ষণের জন্য হিমাগার রয়েছে ১১ টি।এ সব হিমাগারে পর্যাপ্ত খাওয়া ও বীজ আলু মজুত রয়েছে।তার পরও আলু বাজহার উদ্ধমুখীর পিছনে নীলফামারী জেলায় হিমাগার মালিক ও আলু ব্যবসায়ী দের ভুমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

কাঁচাবাজারে আলু,পোটল,বেগুন,বাঁধাকপি,ফুলকপিসহ সকল প্রকার শাকসবজী বাজারে ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে এবং মধ্যেস্বত্বভোগীদের দুরত্ব কমাতে কৃষকের বাজার বসানোর উদ্দ্যোগ নিয়েছে জেলা কৃষি বিভাগ।এ মাসে এ বাজার খোলার সকল প্রস্ততুতি গ্রহন করা হয়েছে।কৃষি বিভাগ বলছে: কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পন্য এ বাজারে সরাসরি ভোক্তাদের হাতে তুলে দিবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড,এসএম আবু বকর সাইফুল ইসলাম জানান, আলু বাজার আগামী সপ্তাহ থেকে কমতে শুরু করবে কারণ আগমী সপ্তাহ থেকে বাজারে নতুন আলু কৃষকরা বাজারজাত শুরু করবে।