এক পাহাড় থেকে আরেক পাহাড়ে ছুটছেন পর্যটকরা
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:৫২:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪ ১২ বার পড়া হয়েছে
ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর জমে উঠেছে বান্দরবানের পর্যটন কেন্দ্র গুলো। জেলার মেঘলা নীলাচল শৈলপ্রপাত চিম্বুক নীলগিরি, প্রান্তিকলেকসহ জেলার সবগুলো দর্শনীয় স্থানে এখন পর্যটকের ভিড়। শুধু তাই নয় হোটেল মোটেল রিসোর্টগুলোও পর্যটকে পরিপূর্ণ।
পর্যটকরা পরিবার পরিজন বন্ধু বান্ধব নিয়ে চাঁদের গাড়ীতে করে ছুটে বেড়াচ্ছে এক পাহাড় থেকে আরেক পাহাড়ে। কেউ বা ছুটে যাচ্ছে সুউচ্চ পাহাড়ের সৌন্দর্য্য দেখতে কেউ বা যাচ্ছে মেঘের সাথে পাহাড়ের মিতালি দেখতে। আবার কেউ বা যাচ্ছে শৈলপ্রপাতসহ ঝর্ণার স্বচ্ছ জলে গা ভাসাতে। এক কথায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পর্যটকরা চষে বেড়াচ্ছে বান্দরবানের সব দর্শনীয় স্থান গুলো।
ঢাকা থেকে ঘুরতে আশা কয়েকজন পর্যটক জানান, আমরা দীর্ঘদিন ধরে বান্দরবানের পাহাড়ে সৌন্দর্য্য দেখতে আসতে চেয়েছি কিন্তু বিভিন্ন সমস্যার কারণে নিষেধাজ্ঞা থাকায় আসতে পারি নাই। তাই দীর্ঘদিন পর নগর জীবনের ব্যস্ততা ছেড়ে একটু প্রশান্তি নিতে পাহাড়ে ঘুরতে আসছি। আসলে শীতে পাহাড় এতটা সুন্দর হয়, যা স্ব-চোখে না দেখলে বোঝা যাবে না। পাহাড়, মেঘ-বৃষ্টি একসাথে মিশে একাকার হয়ে গেছে।
তারা আরও বলেন, আমরা অনেকেই ঘুরতে দেশের বাহিরে ভ্রমণে যায়। অথচ, আমাদের দেশে অনেক সুন্দর সুন্দর দেখার মত জায়গা রয়েছে। তাই ভ্রমনপিপাসুদের বলবো যারা এখনো বান্দরবানে আসেন নাই, তারা একবার হলেও বান্দরবানের সৌন্দর্য্য উপভোগ করে যান।
এদিকে, বান্দরবানে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দীর্ঘদিন বান্দরবানে পর্যটক না আসলেও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর সাপ্তাহিক ছুটিকে কেন্দ্র করে পর্যটক আসতে শুরু করেছে। আমরা আগত পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি। সামনের দিনগুলোতেও আরও পর্যটকের সমাগম ঘটবে বলেও আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
বান্দরবান জেলার ট্যুরিস্ট পুলিশের ইনচার্জ মো: বখতিয়ার বলেন, যাতে করে বান্দরবানে আগত পর্যটকরা জেলার সব কয়টি পর্যটন স্পট নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়াতে পারে সেজন্য আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ট্যুরিষ্ট পুলিশের সদস্যরা পোষাকে এবং সাদা পোষাকে বিভিন্ন স্পটে ডিউটি করবে। যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সর্বোচ্চ নজরদারী রাখবে বলে জানান ট্যুরিষ্ট পুলিশের এই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, জেলায় পর্যটকদের সেবায় রয়েছে শতাধিক হোটেল মোটেল রিসোর্ট গেস্ট হাউস এছাড়াও পর্যটক পরিবহনে রয়েছে ৪ শতাধিক চাঁদের গাড়ী, সব মিলিয়ে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জেলার ২০ হাজার মানুষ পর্যটন ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্ট।