ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করলেন পা-হারানো লিমন
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৫২:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪ ১০ বার পড়া হয়েছে
র্যাব হাতে পা হারানো সেই লিমন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা তারেক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক র্যাব কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউট কার্যালয়ে লিমন নিজে এসে অভিযোগ দায়ের করেন।
পরে তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ন্যায়বিচার পাইনি। ন্যায়বিচারের আশা নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করলাম।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ। তিনি বলেন, গণবিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এই শিক্ষক আজ মামলা দায়ের করলেন।
২০১১ সালের ২৩ মার্চ বিকেলে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার জমাদ্দারহাটে র্যাবের অভিযানের সময় লিমন হোসেন গুলিবিদ্ধ হন। তিনি জানান, র্যাব সদস্যরা তাকে ধরে নিয়ে পায়ে গুলি করেন। এর কয়েকদিন পর ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালের চিকিৎসকরা তার বাম পা কেটে ফেলতে বাধ্য হন।
উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষার মাত্র ১২ দিন আগে এ ঘটনা ঘটে। তখন লিমনের বয়স ছিল ১৬ বছর। সে বছর আর পরীক্ষা দেওয়া হয়নি তার। তবে দমে যাননি দরিদ্র পরিবারের সন্তান মেধাবী লিমন।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় পড়াশোনা করে পরের বছর পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার কাঁঠালিয়া পিজিএস বহুমুখী স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৪ পান তিনি। এরপর ভর্তি হন সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয়ে।
এ ঘটনায় লিমনের মা বাদী হয়ে ২০১১ সালের ১০ এপ্রিল র্যাব-৮-এর তৎকালীন ডিএডি লুৎফর রহমান, করপোরাল মাজহারুল ইসলাম, মো. আবদুল আজিজ, নায়েক মুক্তাদির হোসেন, সৈনিক প্রহ্লাদ চন্দ ও সৈনিক কার্তিক কুমার বিশ্বাসের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ছয় র্যাব সদস্যের নামে ঝালকাঠির আদালতে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন।
মামলাটি রাজাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল হালিম তালুকদার তদন্ত করেন। তিনি ২০১২ সালের ১৪ আগস্ট আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে র্যাব সদস্যদের অব্যাহতির সুপারিশ করেন।
লিমনের মা হেনোয়ারা বেগম ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ৩০ আগস্ট ঝালকাঠির সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে নারাজি দাখিল করেন। আদালত ২০১৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি তার নারাজি আবেদন খারিজ করে দেন।
পরে নারাজি খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ২০১৩ সালের ১৮ মার্চ রিভিশন দায়ের করেন হেনোয়ারা বেগম।