মসজিদে শিশু ধর্ষণকারী ইমাম কারাগারে
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৪০:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪ ১৪ বার পড়া হয়েছে
কক্সবাজার বড়ছড়া দরিয়ানগর মসজিদের ভিতরে আট বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. সাইফুল্লাহ ইরফান নামে এক ইমামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অবুঝ কন্যা শিশুটির সাথে নিন্দনীয় ঘটনায় অভিযুক্ত ইমাম সাইফুলের কঠোর শাস্তি চান পরিবার।
বুধবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে শিশু কন্যাটির মা বলেন, প্রতিদিনের মতো গতকাল সকালে আমার মেয়ে মসজিদে আরবি পড়তে যায়। সেখানে ইমাম সাইফুল্লাহ ইরফান সকল ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ছুটি দিলেও আমার মেয়েকে কৌশলে মসজিদে রেখে তাকে ধর্ষণ করে। যাতে ধর্ষণের কথা কাউকে না বলে একশত টাকা দিয়ে ভয় দেখান হয় এ কথা কাউকে বললে তোকে ও তোর মা-বাবাকে মেরে ফেলব।
বড়ছড়া আশ্রয়ন প্রকল্পের সভাপতি মাহবুব আলম বলেন, শিশুটির বয়স ৮ বছর। মেয়ের বাবা, তার পরিবারের লোকজন আমাকে এবং সমাজের লোকদেরকে বিষয়টি জানায়। আমিসহ এলাকার সমাজ কমিটি ও মসজিদ কমিটি বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তি মসজিদের ইমাম সাইফুল্লাহ ইরফানকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, মেয়েটির পরিবার যেমনটি আমাদের বলেছে একইভাবে সাইফুল্লাহ ইরফান ধর্ষণের বিষয় নিজেই স্বীকার করেছে।
তিনি আরো বলেন, প্রথমে আমরা বিশ্বাস করতে পারিনি। যাচাই করতে যেয়ে সত্য প্রমাণিত হয়ে গেছে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় যে সিদ্ধান্ত হয় সেটাই মানতে হবে।
বড়ছড়া আশ্রয়ন প্রকল্পের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন বলেন, এই হুজুর এমন খারাপ জঘন্য অপরাধ করবে এটা মানতেই পারছিলাম না। এখন আমাদের কাছে ডকুমেন্ট আছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা দিয়ে সুপর্দ করতে হবে।
ঘটনার বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য অর্থ প্রলোভন ও হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পরিবারের। এ নিয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছেন তারা।
এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়জুল আযীম নোমান বলেন, গতকাল রাত সাড়ে ১১টায় দরিয়ানগর এলাকা থেকে ইমামকে গ্রেফতার করে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ। সে পেশায় বড়ছড়া দরিয়ানগর জামে মসজিদের ইমাম। গ্রেপ্তার ইমাম সাইফুল্লাহ ইরফান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।