ঢাকা ০৩:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এইচপিভি টিকা কার্যক্রম বন্ধের দাবিতে ‘সচেতন নাগরিক সমাজ’র সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৩৬:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪ ১৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কিশোরীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে দেশব্যাপী হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকা দেয়ার কার্যক্রম বন্ধ করতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়ে সমাবেশ করেছে ‘সচেতন নাগরিক সমাজ’ নেতৃবৃন্দ।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর মালবিাগ মোড় ফাল ইয়াফরাহু চত্ত্বরে এ সমাবেশে তারা তিনটি বিষয়ের দাবি উত্থাপন করেন।

দাবীগুলো হলো- জরায়ুমুখ ক্যান্সারের টিকা কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে, দ্রব্যমূল্য ও চিকিৎসা সেবামূল্য হ্রাস করা, পলিথিন নিষিদ্ধ নয় রিসাইক্লিং পদ্ধতি চালু করা।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দরা বলেন, সম্প্রতি স্কুল ও মাদ্রাসাগুলোতে ছাত্রীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সারের (এইচপিভি) টিকা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী ৬২ লাখের বেশী কিশোরীকে এই টিকা দেয়া হবে।

বক্তাগণ বলেন, আমরা সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, করোনার টিকার সময় বলা হয়েছে, টিকা দিলে করোনা হবে না। এই কথা প্রচার করা হয়েছিলো। কিন্তু টিকা দেয়ার পর পরই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, এইচপিভি টিকা দেয়ার পর যদি মেয়েদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার দেখা দেয়, তবে তার দায়িত্ব নেবে কে?

করোনার টিকার দেয়ার পরে কম বয়সীদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক দেখা দেয়। ঠিক একইভাবে এইচপিভি টিকা দেয়ার পর স্ট্রোকের প্রমাণ আছে। ২০১২ সালে টিকা নেয়ার পর দুই কিশোরীর মৃত্যু হলে তাদের ময়না তদন্ত করে দেখা যায়, এইচপিভি টিকাতে যে এন্টিজেন ব্যবহার করা হচ্ছে, তা কিশোরীদের মস্তিষ্কের রক্তনালীতে রক্ত জমাট তৈরী করছে যা থেকে কিশোরীদের ব্রেন স্ট্রোক হয়ে রক্তনালী ছিড়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যে রোগের নাম অটোইমিউন সেরেব্রাল ভাস্কুলাইটিস (autoimmune cerebral vasculitis)।

বিষয়টি ঐ সময় রিসার্চ জার্নাল ও মিডিয়ায় বেশ আলোচিত হয়। কিন্তু এখন সেগুলো এড়িয়ে গিয়ে ফের কিশোরী মেয়েদের গিনিপিগ বানানো হচ্ছে। বক্তাগণ বলেন, জরায়ুমুখ ক্যান্সারের মূল কারণ হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস। এই ভাইরাসটি বাহিত হয় শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে। নারী-পুরুষ যখন অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পরে, তখন পুরুষের মাধ্যমে নারীর শরীরে এই ভাইরাসটি প্রবেশ করে। এ কারণে এ ভাইরাসের বিরুদ্ধ যদি প্রতিরোধ গড়তে হয়, তবে সর্ব প্রকার অবৈধ সম্পর্ক বন্ধ করতে হবে। বিশেষ করে দেশে যত পতিতালয়, রিসোর্ট আর হোটেল ব্যবসা আছে, সেগুলো বন্ধ করতে হবে। এছাড়া পশ্চিমা ও ভারতীয় সংস্কৃতিতে বাংলাদেশের প্রবেশ করানো হচ্ছে বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড-জাস্টফ্রেন্ড-বেস্টটি-পরকীয়া কালচার। এগুলো মাধ্যমেই মূলত জরায়ুমুখ ক্যান্সার ভাইরাস ছড়ায়। তাই এগুলো বন্ধ করলেই জরায়ুমুখ ক্যান্সারের আসল প্রতিরোধ সম্ভব।

বক্তাগণ আরো বলেন গবেষণায় দেখা যায়, যে সমস্ত নারী জন্মনিরোধকরণ পিল খায়, তাদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার হওয়ার সম্ভবনা ১৯৫% বেড়ে যায়। পাশাপাশি যে সমস্ত নারী ধূমপান করে তাদেরও জরায়ুমুখ ক্যান্সার হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায়। বর্তমানে পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রভাবে নারীবাদ যত বৃদ্ধি পাচ্ছে, তত জন্মনিরোধকরণ পিল ও নারীদের মধ্যে ধূমপান প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু এসবের বিরুদ্ধে না বলে সমস্যা সমাধানের নামে টিকা ব্যবসায়ীরা মাঠে নেমেছে। বক্তাগণ বলেন,পৃথিবীতে আমেরিকাতে এইসব টিকা-ভ্যাকসিন মানুষকে বেশি নিতে দেখা যায়। কিন্তু আমেরিকাতেই দেখা যায়, ক্যান্সার আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা অত্যধিক বেশি। ক্যান্সারের কেমো ও রেডিও থেরাপির ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকা কামাচ্ছে বড় বড় ওষুধ কোম্পানিগুলো। কম্পিউটারের ক্ষেত্রে দেখা যায়, যারা কম্পিউটার ভাইরাস বের করে, তারাই আবার এন্টি ভাইরাসের ব্যবসা করে। ঠিক একইভাবে টিকার নামে এইসব রোগ মানুষের শরীরে প্রবেশ করিয়ে আবার তারাই আবার কেমো থেরাপি-রেডিও থেরাপির ব্যবসা করবে না, তার গ্যারান্টি দেবে কে ?

বক্তাগণ আরো বলেন, পৃথিবীতে টিকা ব্যবসা বৃদ্ধির মূল নায়ক হচ্ছে মাইক্রোসফটের বিল গেটস। সে এতদিন কম্পিউটার নিয়ে ব্যবসা করতো, এখন মানুষের শরীরে নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছে। করোনার টিকা, জরায়ুমুখ ক্যান্সারের টিকা এগুলো সব তার অঙ্গসংগঠনের কাজ। এতদিন তারা আফ্রিকার গরীব রাষ্ট্রগুলো মানুষকে গিনিপিগ বানিয়ে এসব টিকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা (ট্রায়াল-এরর) করেছে, ফলশ্রুতিতে আফ্রিকান রাষ্ট্রগুলোতে নানাবিধ ভয়ঙ্কর সব রোগ ছড়িয়েছে। এখন তারা আরো বিস্তর পরিসরে মানুষকে গিনিপিগ বানাচ্ছে।

অভিজ্ঞমহল মনে করেন, আসলে এই টিকা দেয়ার নেপথ্যে মূল ষড়যন্ত্র হচ্ছে জনসংখ্যা হ্রাস করা। বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ৪০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। এই জনসংখ্যা বাংলাদেশের একটা বিরাট সম্পদ। এই জনসম্পদকে ধ্বংস করার লক্ষে তারা জরায়ু টিকার নামে মেয়েদের বন্ধ্যা করার কুটকৌশল শুরু করেছে। ইউরোপ, আমেরিকা, রাশিয়া এবং অন্যান্য অমুসলিম দেশে বেশী সংখ্যক সন্তান জন্ম দিলে পুরষ্কার ঘোষণা করা হয়। যে নারী ৫ এর অধিক সন্তান জন্ম দেয় তাকে মাদার হিরোইন উপাধিতে ভূষিত করা হয়। বাংলাদেশের মেয়েরা যাতে আগামীতে বন্ধ্যা হয়ে যায় তার জন্যই এই টিকা। এই টিকার মাধ্যমে পশ্চিমারা আগামী প্রজন্মকে নির্বংশ করার ঘড়যন্ত্র করেছে।

তাই এদের কার্যকলাপ থেকে সবাইকে সাবধান থাকা জরুরী। বিশেষ করে অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে, যেন স্কুল বা মাদ্রাসাগুলো কিশোরীদের এসব টিকা না দিতে পারে। সরকারকেও এসব টিকা দেয়ার কর্মসূচি প্রত্যাহার করতে হবে। বিদেশীদের টাকা খেয়ে কোনো মতেই দেশের জনগণের স্বাস্থ্য হুমকির মুখে ফেলা যাবে না। সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে অতিসত্বর এই এইচটিভি টিকা দেয়া কার্যক্রম এবং পরিবার পরিকল্পনা বন্ধ করে দেয়া।

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য এবং চিকিৎসা সেবা মূল্য হ্রাস করুণ, জীবন বাঁচান। খাদ্য-পানীয়সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পণ্যসামগ্রীর দ্রব্যমূল্য এবং চিকিৎসা সেবা ও ওষুধপত্রের মূল্য কমাতে হবে। দ্রব্যমূল্যের ও সেবামূল্যের উর্ধগতি রোধ করে তা জনসাধারণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে হবে। বর্তমানে বাজারে আগুন লেগেছে। চাল, ডাল, আটা, তেল, শাক-সবজি, ফল-মূল, মাছ-গোশত, ডিম সব কিছুই এখন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। যার ফলে নিম্ন আয়ের এবং মধ্যবিত্ত জনগণসহ দেশের অনেক মানুষ এখন পেটে ক্ষুধা নিয়ে জীবনযাপন করছে। তাই রাষ্ট্র সংস্কারের পূর্বে চাই মানুষের ক্ষুধা নিবারণ করা। ছাত্র-জনতার প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত এই বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশে সকলের আশা ছিলো জুলুম নির্যাতন মুক্ত একটি সমাজ। ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের আমলে রাজনৈতিক নেতারা দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে দেশের সাধারণ জনগণকে জুলুম করতো আর নিজেদের পকেটভরে বিদেশে টাকা পাচার করতো। জনসাধারণের আশা ছিলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জিনিস পত্রের দাম কমাবে। অথচ বর্তমানে দেখা যাচ্ছে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আসার পরে আগের সরকারের চেয়ে বেশি জুলুম হচ্ছে এবং বেশি আত্নসাতের ঘটনা ঘটছে। এখন জিনিস পত্রের দাম ফ্যাসিস্টদের আমলের থেকে আরো বেড়েছে। একটি ডিমের দাম এখন ১৪-১৫ টাকা। এক কেজি সবজির দাম ৭০ থেকে ১৫০ টাকা। এক কেজি কাঁচা মরিচের দাম প্রায় ৫০০ টাকা। এই অতিরিক্ত দামের কারণে এখন মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা এবং ওষুধ পত্রের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। অতিসত্ত্বর এই জুলুম বন্ধ করতে হবে। সিন্ডিকেটের অজুহাতে দ্রব্যমূল্য না বাড়িয়ে, নতুন নতুন করের বোঝা জনগণের উপর না চাপিয়ে দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনতে হবে। এটা সরকারের প্রথম দায়িত্ব। খাদ্য না পেলে ক্ষুধার্ত নির্যাতিত মানুষ পূর্বের সরকারের মতই আবারো এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে। তাতে দেশে নতুন করে দেশে বিশৃঙ্খলা দেখা দিবে। এই বিষয়ে সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে।

পলিথিন নিষিদ্ধ নয় রিসাইক্লিং পদ্ধতি চালু করতে হবে। বক্তাগণ বলেন, সম্প্রতি পরিবেশ, বন ও পানিবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান এক বিৃতিতে আগামী ১ নভেম্বর থেকে দেশের সব কাঁচাবাজারে পলিথিন ও পলিপ্রপাইলিনের তৈরি ব্যাগ ব্যবহার বন্ধ করার কথা জানিয়েছে। একইসময় থেকে পলিথিন ব্যাগের উৎপাদন বন্ধেও অভিযান চলবে। এর আগে ১ অক্টোবর থেকে সুপারশপে পলি ব্যাগ ব্যবহার বন্ধের কথাও জাননো হয়েছে।
সচেতন নাগরিক সমাজের বক্তাগণ বলেন, রাজধানীসহ সারা দেশে পলিথিন তৈরীর হাজার হাজার কারখানা রয়েছে। পলিথিন ও প্ল্যাস্টিক পণ্যের সাথে প্রায় ২ কোটি মানুষের জীবন জীবিকা জড়িত। সম্প্রতি দেশে গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এমনিতেই বেকারত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে পলিথিন বন্ধ করে দিলে ২ কোটি মানুষের জীবন জীবিকা হুমকির মুখে পড়বে। যা দেশকে ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে ঢেলে দিবে।
সচেতন নাগরিক সমাজের বক্তাগণ বলেন, কোন শিল্প কারখানা বন্ধ করার আগে দেখা প্রয়োজন, ঐ শিল্পের সাথে জড়িত মানুষের বিকল্প জীবিকার কোন ব্যবস্থা হয়েছে কী না। কিন্তু সেটা না করে হুট করে কোটি কোটি মানুষের মানুষের জীবন জীবিকা বন্ধ করে দেয়া কখন মানবিক বিষয় হতে পারে না। পলিথিন কারখানায় হাত দিতে হলে আগে এর সাথে জড়িত ২ কোটি মানুষের নতুন জীবিকার ব্যবস্থা করতে হবে, এর আগে নয়।


সচেতন নাগরিক সমাজের বক্তারা বলেন, বিশ্বজুড়ে পলিথিন ও পলিপ্রপাইলিনের ব্যবহার রয়েছে। এর ক্ষতি থেকে বাচতে পলিথিন নিষিদ্ধ নয়, বরং তার রিসাইক্লিং এর ব্যবস্থা করেছে সবাই। বাংলাদেশে পলিথিনের ক্ষতি থেকে বাচতে এর রিসাইক্লিং এর উদ্যোগ নিতে হবে। এতে পরিবেশ বাচানোর সাথে সাথে মানুষের জীবন জীবিকাও বাচবে, সাথে নতুন মানুষের কর্মসংস্থানও তৈরী হবে।


সচেতন নাগরিক সমাজের বক্তাগণ বলেন, ২০০২ সাল থেকে কাগজে কলমে পলিথিন নিষিদ্ধ করার কথা থাকলেও বাস্তবে তা প্রয়োগ করা সম্ভব হয় না, কারণ পণ্য বহণে পলিথিনের থেকে সস্তা ও সহজলভ্য কোন কিছু বাজারে এখনও আসেনি। এর আগেও বেশ কয়েকটি সরকার এ উদ্যোগ নিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। দেখা যায় নিষিদ্ধের কয়েকদিন পর বাজারে পুনরায় পলিথিন ফিরে এসেছে। বর্তমান সরকারও পলিথিনের বিকল্প তৈরী ব্যতীত এমন কোন উদ্যোগ নিলে তা ব্যর্থ হবে। তাই বিকল্প ব্যবস্থা না করে পলিথিন নিষিদ্ধের ঘোষণা দেয়া এক ধরণের অদূরদর্শী ও শিশুতোষ কাজ।

রাষ্ট্রের বিভিন্ন পরিকল্পনা বা কার্যক্রম গ্রহণ করা যেমন কিশোরীদের টিকা প্রদান, পলিথিন নিষিদ্ধ করা বা জনগণের জন্য কোনো প্রকল্প গ্রহণ করা যেখানে জনগণের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয় রয়েছে ইত্যাদি করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ নয়, এটা নির্বাচিত সরকারের কাজ। এই সরকারের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করে আম মানুষের জীবনযত্রা সহজ করা এবং দ্রুততম সময়ে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। প্রতিবাদ সমাবেশে সচেতন নাগরিক সমাজের শতাধিক কর্মী এবং দুই শতাধিক আম জনতা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

এইচপিভি টিকা কার্যক্রম বন্ধের দাবিতে ‘সচেতন নাগরিক সমাজ’র সমাবেশ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৩৬:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪

কিশোরীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে দেশব্যাপী হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকা দেয়ার কার্যক্রম বন্ধ করতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়ে সমাবেশ করেছে ‘সচেতন নাগরিক সমাজ’ নেতৃবৃন্দ।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর মালবিাগ মোড় ফাল ইয়াফরাহু চত্ত্বরে এ সমাবেশে তারা তিনটি বিষয়ের দাবি উত্থাপন করেন।

দাবীগুলো হলো- জরায়ুমুখ ক্যান্সারের টিকা কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে, দ্রব্যমূল্য ও চিকিৎসা সেবামূল্য হ্রাস করা, পলিথিন নিষিদ্ধ নয় রিসাইক্লিং পদ্ধতি চালু করা।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দরা বলেন, সম্প্রতি স্কুল ও মাদ্রাসাগুলোতে ছাত্রীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সারের (এইচপিভি) টিকা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী ৬২ লাখের বেশী কিশোরীকে এই টিকা দেয়া হবে।

বক্তাগণ বলেন, আমরা সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, করোনার টিকার সময় বলা হয়েছে, টিকা দিলে করোনা হবে না। এই কথা প্রচার করা হয়েছিলো। কিন্তু টিকা দেয়ার পর পরই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, এইচপিভি টিকা দেয়ার পর যদি মেয়েদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার দেখা দেয়, তবে তার দায়িত্ব নেবে কে?

করোনার টিকার দেয়ার পরে কম বয়সীদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক দেখা দেয়। ঠিক একইভাবে এইচপিভি টিকা দেয়ার পর স্ট্রোকের প্রমাণ আছে। ২০১২ সালে টিকা নেয়ার পর দুই কিশোরীর মৃত্যু হলে তাদের ময়না তদন্ত করে দেখা যায়, এইচপিভি টিকাতে যে এন্টিজেন ব্যবহার করা হচ্ছে, তা কিশোরীদের মস্তিষ্কের রক্তনালীতে রক্ত জমাট তৈরী করছে যা থেকে কিশোরীদের ব্রেন স্ট্রোক হয়ে রক্তনালী ছিড়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যে রোগের নাম অটোইমিউন সেরেব্রাল ভাস্কুলাইটিস (autoimmune cerebral vasculitis)।

বিষয়টি ঐ সময় রিসার্চ জার্নাল ও মিডিয়ায় বেশ আলোচিত হয়। কিন্তু এখন সেগুলো এড়িয়ে গিয়ে ফের কিশোরী মেয়েদের গিনিপিগ বানানো হচ্ছে। বক্তাগণ বলেন, জরায়ুমুখ ক্যান্সারের মূল কারণ হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস। এই ভাইরাসটি বাহিত হয় শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে। নারী-পুরুষ যখন অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পরে, তখন পুরুষের মাধ্যমে নারীর শরীরে এই ভাইরাসটি প্রবেশ করে। এ কারণে এ ভাইরাসের বিরুদ্ধ যদি প্রতিরোধ গড়তে হয়, তবে সর্ব প্রকার অবৈধ সম্পর্ক বন্ধ করতে হবে। বিশেষ করে দেশে যত পতিতালয়, রিসোর্ট আর হোটেল ব্যবসা আছে, সেগুলো বন্ধ করতে হবে। এছাড়া পশ্চিমা ও ভারতীয় সংস্কৃতিতে বাংলাদেশের প্রবেশ করানো হচ্ছে বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড-জাস্টফ্রেন্ড-বেস্টটি-পরকীয়া কালচার। এগুলো মাধ্যমেই মূলত জরায়ুমুখ ক্যান্সার ভাইরাস ছড়ায়। তাই এগুলো বন্ধ করলেই জরায়ুমুখ ক্যান্সারের আসল প্রতিরোধ সম্ভব।

বক্তাগণ আরো বলেন গবেষণায় দেখা যায়, যে সমস্ত নারী জন্মনিরোধকরণ পিল খায়, তাদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার হওয়ার সম্ভবনা ১৯৫% বেড়ে যায়। পাশাপাশি যে সমস্ত নারী ধূমপান করে তাদেরও জরায়ুমুখ ক্যান্সার হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায়। বর্তমানে পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রভাবে নারীবাদ যত বৃদ্ধি পাচ্ছে, তত জন্মনিরোধকরণ পিল ও নারীদের মধ্যে ধূমপান প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু এসবের বিরুদ্ধে না বলে সমস্যা সমাধানের নামে টিকা ব্যবসায়ীরা মাঠে নেমেছে। বক্তাগণ বলেন,পৃথিবীতে আমেরিকাতে এইসব টিকা-ভ্যাকসিন মানুষকে বেশি নিতে দেখা যায়। কিন্তু আমেরিকাতেই দেখা যায়, ক্যান্সার আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা অত্যধিক বেশি। ক্যান্সারের কেমো ও রেডিও থেরাপির ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকা কামাচ্ছে বড় বড় ওষুধ কোম্পানিগুলো। কম্পিউটারের ক্ষেত্রে দেখা যায়, যারা কম্পিউটার ভাইরাস বের করে, তারাই আবার এন্টি ভাইরাসের ব্যবসা করে। ঠিক একইভাবে টিকার নামে এইসব রোগ মানুষের শরীরে প্রবেশ করিয়ে আবার তারাই আবার কেমো থেরাপি-রেডিও থেরাপির ব্যবসা করবে না, তার গ্যারান্টি দেবে কে ?

বক্তাগণ আরো বলেন, পৃথিবীতে টিকা ব্যবসা বৃদ্ধির মূল নায়ক হচ্ছে মাইক্রোসফটের বিল গেটস। সে এতদিন কম্পিউটার নিয়ে ব্যবসা করতো, এখন মানুষের শরীরে নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছে। করোনার টিকা, জরায়ুমুখ ক্যান্সারের টিকা এগুলো সব তার অঙ্গসংগঠনের কাজ। এতদিন তারা আফ্রিকার গরীব রাষ্ট্রগুলো মানুষকে গিনিপিগ বানিয়ে এসব টিকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা (ট্রায়াল-এরর) করেছে, ফলশ্রুতিতে আফ্রিকান রাষ্ট্রগুলোতে নানাবিধ ভয়ঙ্কর সব রোগ ছড়িয়েছে। এখন তারা আরো বিস্তর পরিসরে মানুষকে গিনিপিগ বানাচ্ছে।

অভিজ্ঞমহল মনে করেন, আসলে এই টিকা দেয়ার নেপথ্যে মূল ষড়যন্ত্র হচ্ছে জনসংখ্যা হ্রাস করা। বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ৪০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। এই জনসংখ্যা বাংলাদেশের একটা বিরাট সম্পদ। এই জনসম্পদকে ধ্বংস করার লক্ষে তারা জরায়ু টিকার নামে মেয়েদের বন্ধ্যা করার কুটকৌশল শুরু করেছে। ইউরোপ, আমেরিকা, রাশিয়া এবং অন্যান্য অমুসলিম দেশে বেশী সংখ্যক সন্তান জন্ম দিলে পুরষ্কার ঘোষণা করা হয়। যে নারী ৫ এর অধিক সন্তান জন্ম দেয় তাকে মাদার হিরোইন উপাধিতে ভূষিত করা হয়। বাংলাদেশের মেয়েরা যাতে আগামীতে বন্ধ্যা হয়ে যায় তার জন্যই এই টিকা। এই টিকার মাধ্যমে পশ্চিমারা আগামী প্রজন্মকে নির্বংশ করার ঘড়যন্ত্র করেছে।

তাই এদের কার্যকলাপ থেকে সবাইকে সাবধান থাকা জরুরী। বিশেষ করে অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে, যেন স্কুল বা মাদ্রাসাগুলো কিশোরীদের এসব টিকা না দিতে পারে। সরকারকেও এসব টিকা দেয়ার কর্মসূচি প্রত্যাহার করতে হবে। বিদেশীদের টাকা খেয়ে কোনো মতেই দেশের জনগণের স্বাস্থ্য হুমকির মুখে ফেলা যাবে না। সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে অতিসত্বর এই এইচটিভি টিকা দেয়া কার্যক্রম এবং পরিবার পরিকল্পনা বন্ধ করে দেয়া।

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য এবং চিকিৎসা সেবা মূল্য হ্রাস করুণ, জীবন বাঁচান। খাদ্য-পানীয়সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পণ্যসামগ্রীর দ্রব্যমূল্য এবং চিকিৎসা সেবা ও ওষুধপত্রের মূল্য কমাতে হবে। দ্রব্যমূল্যের ও সেবামূল্যের উর্ধগতি রোধ করে তা জনসাধারণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে হবে। বর্তমানে বাজারে আগুন লেগেছে। চাল, ডাল, আটা, তেল, শাক-সবজি, ফল-মূল, মাছ-গোশত, ডিম সব কিছুই এখন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। যার ফলে নিম্ন আয়ের এবং মধ্যবিত্ত জনগণসহ দেশের অনেক মানুষ এখন পেটে ক্ষুধা নিয়ে জীবনযাপন করছে। তাই রাষ্ট্র সংস্কারের পূর্বে চাই মানুষের ক্ষুধা নিবারণ করা। ছাত্র-জনতার প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত এই বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশে সকলের আশা ছিলো জুলুম নির্যাতন মুক্ত একটি সমাজ। ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের আমলে রাজনৈতিক নেতারা দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে দেশের সাধারণ জনগণকে জুলুম করতো আর নিজেদের পকেটভরে বিদেশে টাকা পাচার করতো। জনসাধারণের আশা ছিলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জিনিস পত্রের দাম কমাবে। অথচ বর্তমানে দেখা যাচ্ছে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আসার পরে আগের সরকারের চেয়ে বেশি জুলুম হচ্ছে এবং বেশি আত্নসাতের ঘটনা ঘটছে। এখন জিনিস পত্রের দাম ফ্যাসিস্টদের আমলের থেকে আরো বেড়েছে। একটি ডিমের দাম এখন ১৪-১৫ টাকা। এক কেজি সবজির দাম ৭০ থেকে ১৫০ টাকা। এক কেজি কাঁচা মরিচের দাম প্রায় ৫০০ টাকা। এই অতিরিক্ত দামের কারণে এখন মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা এবং ওষুধ পত্রের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। অতিসত্ত্বর এই জুলুম বন্ধ করতে হবে। সিন্ডিকেটের অজুহাতে দ্রব্যমূল্য না বাড়িয়ে, নতুন নতুন করের বোঝা জনগণের উপর না চাপিয়ে দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনতে হবে। এটা সরকারের প্রথম দায়িত্ব। খাদ্য না পেলে ক্ষুধার্ত নির্যাতিত মানুষ পূর্বের সরকারের মতই আবারো এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে। তাতে দেশে নতুন করে দেশে বিশৃঙ্খলা দেখা দিবে। এই বিষয়ে সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে।

পলিথিন নিষিদ্ধ নয় রিসাইক্লিং পদ্ধতি চালু করতে হবে। বক্তাগণ বলেন, সম্প্রতি পরিবেশ, বন ও পানিবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান এক বিৃতিতে আগামী ১ নভেম্বর থেকে দেশের সব কাঁচাবাজারে পলিথিন ও পলিপ্রপাইলিনের তৈরি ব্যাগ ব্যবহার বন্ধ করার কথা জানিয়েছে। একইসময় থেকে পলিথিন ব্যাগের উৎপাদন বন্ধেও অভিযান চলবে। এর আগে ১ অক্টোবর থেকে সুপারশপে পলি ব্যাগ ব্যবহার বন্ধের কথাও জাননো হয়েছে।
সচেতন নাগরিক সমাজের বক্তাগণ বলেন, রাজধানীসহ সারা দেশে পলিথিন তৈরীর হাজার হাজার কারখানা রয়েছে। পলিথিন ও প্ল্যাস্টিক পণ্যের সাথে প্রায় ২ কোটি মানুষের জীবন জীবিকা জড়িত। সম্প্রতি দেশে গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এমনিতেই বেকারত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে পলিথিন বন্ধ করে দিলে ২ কোটি মানুষের জীবন জীবিকা হুমকির মুখে পড়বে। যা দেশকে ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে ঢেলে দিবে।
সচেতন নাগরিক সমাজের বক্তাগণ বলেন, কোন শিল্প কারখানা বন্ধ করার আগে দেখা প্রয়োজন, ঐ শিল্পের সাথে জড়িত মানুষের বিকল্প জীবিকার কোন ব্যবস্থা হয়েছে কী না। কিন্তু সেটা না করে হুট করে কোটি কোটি মানুষের মানুষের জীবন জীবিকা বন্ধ করে দেয়া কখন মানবিক বিষয় হতে পারে না। পলিথিন কারখানায় হাত দিতে হলে আগে এর সাথে জড়িত ২ কোটি মানুষের নতুন জীবিকার ব্যবস্থা করতে হবে, এর আগে নয়।


সচেতন নাগরিক সমাজের বক্তারা বলেন, বিশ্বজুড়ে পলিথিন ও পলিপ্রপাইলিনের ব্যবহার রয়েছে। এর ক্ষতি থেকে বাচতে পলিথিন নিষিদ্ধ নয়, বরং তার রিসাইক্লিং এর ব্যবস্থা করেছে সবাই। বাংলাদেশে পলিথিনের ক্ষতি থেকে বাচতে এর রিসাইক্লিং এর উদ্যোগ নিতে হবে। এতে পরিবেশ বাচানোর সাথে সাথে মানুষের জীবন জীবিকাও বাচবে, সাথে নতুন মানুষের কর্মসংস্থানও তৈরী হবে।


সচেতন নাগরিক সমাজের বক্তাগণ বলেন, ২০০২ সাল থেকে কাগজে কলমে পলিথিন নিষিদ্ধ করার কথা থাকলেও বাস্তবে তা প্রয়োগ করা সম্ভব হয় না, কারণ পণ্য বহণে পলিথিনের থেকে সস্তা ও সহজলভ্য কোন কিছু বাজারে এখনও আসেনি। এর আগেও বেশ কয়েকটি সরকার এ উদ্যোগ নিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। দেখা যায় নিষিদ্ধের কয়েকদিন পর বাজারে পুনরায় পলিথিন ফিরে এসেছে। বর্তমান সরকারও পলিথিনের বিকল্প তৈরী ব্যতীত এমন কোন উদ্যোগ নিলে তা ব্যর্থ হবে। তাই বিকল্প ব্যবস্থা না করে পলিথিন নিষিদ্ধের ঘোষণা দেয়া এক ধরণের অদূরদর্শী ও শিশুতোষ কাজ।

রাষ্ট্রের বিভিন্ন পরিকল্পনা বা কার্যক্রম গ্রহণ করা যেমন কিশোরীদের টিকা প্রদান, পলিথিন নিষিদ্ধ করা বা জনগণের জন্য কোনো প্রকল্প গ্রহণ করা যেখানে জনগণের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয় রয়েছে ইত্যাদি করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ নয়, এটা নির্বাচিত সরকারের কাজ। এই সরকারের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করে আম মানুষের জীবনযত্রা সহজ করা এবং দ্রুততম সময়ে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। প্রতিবাদ সমাবেশে সচেতন নাগরিক সমাজের শতাধিক কর্মী এবং দুই শতাধিক আম জনতা উপস্থিত ছিলেন।