ঢাকা ১২:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশ ছাড়ার আগে শেখ হাসিনা যা বলতে চেয়েছিলেন

বিশেষ প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৪৬:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪ ৫৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে গণ বিক্ষোভের মুখে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। চলতি বছরের ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বিভিন্ন সময়ে নানা কথা বললেও নীরব ছিলেন শেখ হাসিনা।

দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার আগ মুহূর্তে রেডিও-টেলিভিশনে ভাষণ দেয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছিলেন- দীর্ঘ নয়, অল্প সময় কথা বলবেন।

কিন্তু পরিবেশ-পরিস্থিতি এবং সেনাপ্রধানের অনাগ্রহে সেই সুযোগ পাননি শেখ হাসিনা। তাকে বলা হয়, চারদিকে লোকজন জড়ো হয়ে গেছে। সবাই মারমুখো। অল্প সময়ের মধ্যেই তারা গণভবনে পৌঁছে যেতে পারে।

তার নিরাপত্তার কথা ভেবেই তাকে সে সুযোগ দেয়া যাবে না। হাসিনা বিরক্ত, ক্ষুব্ধ। কিন্তু করার কিছুই ছিল না। বক্তৃতার একটি খসড়া তৈরি করেছিলেন তিনি।

সূত্রমতে, ভাষণে তিনি বলতে চেয়েছিলেন- তার ইচ্ছায় নয়, জোড়পূর্বক তাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে। কারা এবং কোনো বিদেশি শক্তি তার সরকারকে উৎখাত করতে চেয়েছে এটাও তিনি দেশবাসীকে জানাতে চেয়েছিলেন। তার শাসনকালে দেশের কী কী উন্নয়ন হয়েছে তারও বয়ান ছিলো। এদিন সকাল থেকে দুপুর, এ সময় নানাভাবে দর-কষাকষিও চলছিলো। বারবার ফোন আসছিল নয়াদিল্লি থেকে।

বলা হচ্ছিলো, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা যেন বিঘ্নিত না হয়। ঢাকার তরফে দিল্লিকে বলা হয়েছিলো- তারা যেন বিমান পাঠিয়ে হাসিনাকে নিয়ে যায়। তবে সেই অনুরোধে সাড়া দেয়নি দিল্লি। এরপর বাংলাদেশের স্ব-উদ্যোগে বিমানবাহিনীর একটি সি-১৩০ বিমানে তাকে দিল্লি পাঠানো হয়। হাসিনাকে বহনকারী বিমানে আরও দু’জন ছিলেন। তার ছোট বোন শেখ রেহানা ও নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক।

এ সময় গোয়েন্দাদের কাছ থেকে খবর আসে, বিপুল পরিমাণ জনতা গণভবনের দিকে আসছে। ৪৫ মিনিটের মধ্যে গণভবন ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য তৈরি হতে বলা হয়। তার কিছুক্ষণ পর তেজগাঁওয়ের পুরনো বিমানবন্দরের হেলিপ্যাডে যান হাসিনা। সেখানে তাদের কিছু জিনিসপত্র চপারে ওঠানো হয়। এরপর পদত্যাগের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে সামরিক বাহিনীর হেলিকপ্টারে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।

তথ্যসূত্র : দৈনিক কালের কন্ঠ

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

দেশ ছাড়ার আগে শেখ হাসিনা যা বলতে চেয়েছিলেন

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৪৬:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে গণ বিক্ষোভের মুখে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। চলতি বছরের ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বিভিন্ন সময়ে নানা কথা বললেও নীরব ছিলেন শেখ হাসিনা।

দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার আগ মুহূর্তে রেডিও-টেলিভিশনে ভাষণ দেয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছিলেন- দীর্ঘ নয়, অল্প সময় কথা বলবেন।

কিন্তু পরিবেশ-পরিস্থিতি এবং সেনাপ্রধানের অনাগ্রহে সেই সুযোগ পাননি শেখ হাসিনা। তাকে বলা হয়, চারদিকে লোকজন জড়ো হয়ে গেছে। সবাই মারমুখো। অল্প সময়ের মধ্যেই তারা গণভবনে পৌঁছে যেতে পারে।

তার নিরাপত্তার কথা ভেবেই তাকে সে সুযোগ দেয়া যাবে না। হাসিনা বিরক্ত, ক্ষুব্ধ। কিন্তু করার কিছুই ছিল না। বক্তৃতার একটি খসড়া তৈরি করেছিলেন তিনি।

সূত্রমতে, ভাষণে তিনি বলতে চেয়েছিলেন- তার ইচ্ছায় নয়, জোড়পূর্বক তাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে। কারা এবং কোনো বিদেশি শক্তি তার সরকারকে উৎখাত করতে চেয়েছে এটাও তিনি দেশবাসীকে জানাতে চেয়েছিলেন। তার শাসনকালে দেশের কী কী উন্নয়ন হয়েছে তারও বয়ান ছিলো। এদিন সকাল থেকে দুপুর, এ সময় নানাভাবে দর-কষাকষিও চলছিলো। বারবার ফোন আসছিল নয়াদিল্লি থেকে।

বলা হচ্ছিলো, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা যেন বিঘ্নিত না হয়। ঢাকার তরফে দিল্লিকে বলা হয়েছিলো- তারা যেন বিমান পাঠিয়ে হাসিনাকে নিয়ে যায়। তবে সেই অনুরোধে সাড়া দেয়নি দিল্লি। এরপর বাংলাদেশের স্ব-উদ্যোগে বিমানবাহিনীর একটি সি-১৩০ বিমানে তাকে দিল্লি পাঠানো হয়। হাসিনাকে বহনকারী বিমানে আরও দু’জন ছিলেন। তার ছোট বোন শেখ রেহানা ও নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক।

এ সময় গোয়েন্দাদের কাছ থেকে খবর আসে, বিপুল পরিমাণ জনতা গণভবনের দিকে আসছে। ৪৫ মিনিটের মধ্যে গণভবন ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য তৈরি হতে বলা হয়। তার কিছুক্ষণ পর তেজগাঁওয়ের পুরনো বিমানবন্দরের হেলিপ্যাডে যান হাসিনা। সেখানে তাদের কিছু জিনিসপত্র চপারে ওঠানো হয়। এরপর পদত্যাগের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে সামরিক বাহিনীর হেলিকপ্টারে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।

তথ্যসূত্র : দৈনিক কালের কন্ঠ