ঢাকা ০৫:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১২ মামলার আসামি ফয়সাল ধরা ছোঁয়ার বাইরে

নোয়াখালী প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:৫৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪ ৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের ছত্রছাত্রায় এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার অভিযোগ রয়েছে মো.ফয়সাল নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ১২টি মামলা রয়েছে।

অভিযুক্ত মো.ফয়সাল ভূঁইয়া (৪৩) জেলার সদর উপজেলার পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং একই ইউনিয়নের চরকাউনিয়া গ্রামের মোকারম ভূঁইয়ার ছেলে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর তিনি গা ঢাকা দেন।

গত ৭ অক্টোবর ফয়সালের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন, মতিউর রহমান সাজ্জাদ নামে এক ভুক্তভোগী।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, উপজেলার ১৯ নং পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নে আওয়ামী রাজনীতির ছত্রছায়ায় গত ১৫-১৬ বছর ফয়সাল এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে প্রতিনিয়ত এলাকার জনগণকে জিম্মি করে রেখেছিল। অস্ত্রের মহড়া দিলেও স্থানীয় লোকজন তার বিরুদ্ধে ভয়ে মুখ খোলার সাহস পায়নি।

লিখিত অভিযোগে ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০১৭ ও ২০২০ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে দুটি পৃথম মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করে। এলাকায় মাদক বেচাকেনার সিন্ডিকেড নিয়ন্ত্রণও ছিল তার হাতে। সে মাদক সেবন ও বিক্রি করে এলাকার যুব সমাজকে ধ্বংস করে ফেলেছে। ২০২৩ সালে মাদক বিক্রি ও সেবনের সময় সে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে নাতে ধরা পড়ে। পরে তাকে একটি মাদক মামলায় গ্র্রেপ্তার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। তার বিরুদ্ধে সুধারামা থানায় ১২টি মামল রয়েছে।

মতিউর রহমান সাজ্জাদ বলেন, ২০২১ সালে ফয়সেল আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুম করে একদিন আটক করে রাখে। পরবর্তীতে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। তার কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করে তাকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

ভয়ে নাম প্রকাশ করে বক্তব্য দিতে রাজি নন জানিয়ে একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনসহ বেশ কয়েকটি স্থানীয় নির্বাচনে ফয়সাল ও তার অস্ত্রধারী ক্যাডারদের ভয়ে মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। অনেকেই ভোট দিতে যাননি প্রাণনাশের ঝুঁকি থাকায়। বেপরোয়া ছিল ফয়সাল ও তার অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনী।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো.ফয়সাল ভূঁইয়ার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাই এ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.কামরুল ইসলাম বলেন,বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

১২ মামলার আসামি ফয়সাল ধরা ছোঁয়ার বাইরে

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:৫৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের ছত্রছাত্রায় এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার অভিযোগ রয়েছে মো.ফয়সাল নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ১২টি মামলা রয়েছে।

অভিযুক্ত মো.ফয়সাল ভূঁইয়া (৪৩) জেলার সদর উপজেলার পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং একই ইউনিয়নের চরকাউনিয়া গ্রামের মোকারম ভূঁইয়ার ছেলে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর তিনি গা ঢাকা দেন।

গত ৭ অক্টোবর ফয়সালের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন, মতিউর রহমান সাজ্জাদ নামে এক ভুক্তভোগী।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, উপজেলার ১৯ নং পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নে আওয়ামী রাজনীতির ছত্রছায়ায় গত ১৫-১৬ বছর ফয়সাল এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে প্রতিনিয়ত এলাকার জনগণকে জিম্মি করে রেখেছিল। অস্ত্রের মহড়া দিলেও স্থানীয় লোকজন তার বিরুদ্ধে ভয়ে মুখ খোলার সাহস পায়নি।

লিখিত অভিযোগে ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০১৭ ও ২০২০ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে দুটি পৃথম মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করে। এলাকায় মাদক বেচাকেনার সিন্ডিকেড নিয়ন্ত্রণও ছিল তার হাতে। সে মাদক সেবন ও বিক্রি করে এলাকার যুব সমাজকে ধ্বংস করে ফেলেছে। ২০২৩ সালে মাদক বিক্রি ও সেবনের সময় সে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে নাতে ধরা পড়ে। পরে তাকে একটি মাদক মামলায় গ্র্রেপ্তার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। তার বিরুদ্ধে সুধারামা থানায় ১২টি মামল রয়েছে।

মতিউর রহমান সাজ্জাদ বলেন, ২০২১ সালে ফয়সেল আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুম করে একদিন আটক করে রাখে। পরবর্তীতে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। তার কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করে তাকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

ভয়ে নাম প্রকাশ করে বক্তব্য দিতে রাজি নন জানিয়ে একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনসহ বেশ কয়েকটি স্থানীয় নির্বাচনে ফয়সাল ও তার অস্ত্রধারী ক্যাডারদের ভয়ে মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। অনেকেই ভোট দিতে যাননি প্রাণনাশের ঝুঁকি থাকায়। বেপরোয়া ছিল ফয়সাল ও তার অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনী।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো.ফয়সাল ভূঁইয়ার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাই এ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.কামরুল ইসলাম বলেন,বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।