ঢাকা ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ন্যায় বিচারের দাবীতে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন

সদরপুর (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০২:২৬:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাড়িতে যাওয়ার একমাত্র হালট পথটি বন্ধ করে দেওয়ার কারনে মহা বিপাকে পরেছেন খগেন চন্দ্র বিশ্বাস। তিনি ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার মোলামের ডাঙ্গী গ্রামের মৃত লক্ষিকান্ত বিশ্বাসের পুত্র।

শত বছরের পুরোনো রাস্থা বন্ধ হওয়ায় বাড়ি থেকে বের হতে এবং বাড়িতে প্রবেশ করতে প্রতিবন্ধকতা এবং চক্রান্তের শিকার হয়ে অসহায় জীবন যাপন করছেন তিনি। গত পহেলা সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং ন্যায় বিচার চেয়ে ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের বরাবরে আবেদন করেছেন খগেন চন্দ্র বিশ্বাস।

অভিযোগে জানান, গত ১৯ জুলাই ২০২৪ ইং একই গ্রামের মৃত পূণ্য মন্ডলের পুত্র রতন মন্ডল শত বছরের পুরোনো হালট রাস্থাটি নিজ দখলে নিয়ে পথটি বন্ধ করে দেয়। এর কারন জানতে চাইলে রতন মন্ডল বলেন এই জায়গা আমি কিনে নিয়েছি।

তখন আমি রতন কে বলি তুমি কিনেছো ভালো কথা, কিন্তু কাগজের বাইরে হালট দখল করলে কেন? তখন রতন মন্ডল চরম উত্তেজিত হয়ে গেলে আমি কোন কথা না বলে চলে যাই। খগেন বিশ্বাস জানান, পুর্বে রতনের দাদা ঠাকুরের আমলে তাদের এবং এলাকা বাসীর চলাচলের জন্য ২১৪২ এবং ২১৪৩ নং দাগের মাঝখানে ১১ ফুট চওড়া এজমালি হালট রেখে নিজেদের এবং এলাকাবাসীর চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

যেটা দীর্ঘকাল যাবৎ চলে আসছে। এবং হালটটি এজমালি হওয়ার কারনে আর,এস, এস,এ এবং বি,এস কোন রেকর্ডেই ১১ ফুট চওড়া হালটটি রেকর্ড ভুক্ত হয়নি। আর ২১৪২ এবং ২১৪৩ দাগের জমির মালিক ছিলেন মাখন মন্ডল। তার মৃত্যুর পর থেকে রতন মন্ডল প্রকাশ্যে বলে বেরাচ্ছে জমি আমি কিনে নিয়েছি। অথচ রতন মন্ডল ২১৪২ ও ২১৪৩ দাগের মাঝখানের ১১ ফুট চওরা হালটটি ২১৪৭ নং দাগের সাথে সংযুক্ত করে জোর পুর্বক দখলে নেয়। এই সুযগে স্বার্থ পাইয়া আলোমগীর গং রা রতনের সাথে যৌথভাবে হালট পথটি বন্ধ পুরোপুরি আটকিয়ে দেয়। আমি কিছু বলতে চাইলেই ওরা বাড়ির মহিলাদের কে দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করায়।

আমি এর কোন প্রতিবাদ করতে সাহস পাইনা। কারন, এদের সাথে প্রতিবাদ করলে আমার বিরুদ্ধে ওরা মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলা দায়েরের চক্রান্ত করতে পারে এই ভয়ে। এছারাও অভিযোগ কারীকে বিভিন্ন সময়ে অশালিন ভাষা ব্যবহার ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করার কারনে আলোমগীর বেপারী এবং অপর দুই ভাই লিয়াকত বেপারী ও আফজাল বেপারী ও রতন মন্ডল সহ ৪ জনকে বিবাদী করে জেলা প্রশাসকের বরাবরে আবেদন করেছেন খগেন চন্দ্র বিশ্বাস।

তিনি ঘটনাটি স্বরজমিনে তদন্ত পূর্বক রতন মন্ডলের দখলকৃত ১১ ফুট চওড়া হালট পথটি উদ্ধার করে স্থানীয় সর্বস্থরের জনসাধারণের চলাচল করার ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক এমুনটাই দাবী খগেন চন্দ্র বিশ্বাসের।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ন্যায় বিচারের দাবীতে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০২:২৬:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাড়িতে যাওয়ার একমাত্র হালট পথটি বন্ধ করে দেওয়ার কারনে মহা বিপাকে পরেছেন খগেন চন্দ্র বিশ্বাস। তিনি ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার মোলামের ডাঙ্গী গ্রামের মৃত লক্ষিকান্ত বিশ্বাসের পুত্র।

শত বছরের পুরোনো রাস্থা বন্ধ হওয়ায় বাড়ি থেকে বের হতে এবং বাড়িতে প্রবেশ করতে প্রতিবন্ধকতা এবং চক্রান্তের শিকার হয়ে অসহায় জীবন যাপন করছেন তিনি। গত পহেলা সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং ন্যায় বিচার চেয়ে ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের বরাবরে আবেদন করেছেন খগেন চন্দ্র বিশ্বাস।

অভিযোগে জানান, গত ১৯ জুলাই ২০২৪ ইং একই গ্রামের মৃত পূণ্য মন্ডলের পুত্র রতন মন্ডল শত বছরের পুরোনো হালট রাস্থাটি নিজ দখলে নিয়ে পথটি বন্ধ করে দেয়। এর কারন জানতে চাইলে রতন মন্ডল বলেন এই জায়গা আমি কিনে নিয়েছি।

তখন আমি রতন কে বলি তুমি কিনেছো ভালো কথা, কিন্তু কাগজের বাইরে হালট দখল করলে কেন? তখন রতন মন্ডল চরম উত্তেজিত হয়ে গেলে আমি কোন কথা না বলে চলে যাই। খগেন বিশ্বাস জানান, পুর্বে রতনের দাদা ঠাকুরের আমলে তাদের এবং এলাকা বাসীর চলাচলের জন্য ২১৪২ এবং ২১৪৩ নং দাগের মাঝখানে ১১ ফুট চওড়া এজমালি হালট রেখে নিজেদের এবং এলাকাবাসীর চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

যেটা দীর্ঘকাল যাবৎ চলে আসছে। এবং হালটটি এজমালি হওয়ার কারনে আর,এস, এস,এ এবং বি,এস কোন রেকর্ডেই ১১ ফুট চওড়া হালটটি রেকর্ড ভুক্ত হয়নি। আর ২১৪২ এবং ২১৪৩ দাগের জমির মালিক ছিলেন মাখন মন্ডল। তার মৃত্যুর পর থেকে রতন মন্ডল প্রকাশ্যে বলে বেরাচ্ছে জমি আমি কিনে নিয়েছি। অথচ রতন মন্ডল ২১৪২ ও ২১৪৩ দাগের মাঝখানের ১১ ফুট চওরা হালটটি ২১৪৭ নং দাগের সাথে সংযুক্ত করে জোর পুর্বক দখলে নেয়। এই সুযগে স্বার্থ পাইয়া আলোমগীর গং রা রতনের সাথে যৌথভাবে হালট পথটি বন্ধ পুরোপুরি আটকিয়ে দেয়। আমি কিছু বলতে চাইলেই ওরা বাড়ির মহিলাদের কে দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করায়।

আমি এর কোন প্রতিবাদ করতে সাহস পাইনা। কারন, এদের সাথে প্রতিবাদ করলে আমার বিরুদ্ধে ওরা মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলা দায়েরের চক্রান্ত করতে পারে এই ভয়ে। এছারাও অভিযোগ কারীকে বিভিন্ন সময়ে অশালিন ভাষা ব্যবহার ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করার কারনে আলোমগীর বেপারী এবং অপর দুই ভাই লিয়াকত বেপারী ও আফজাল বেপারী ও রতন মন্ডল সহ ৪ জনকে বিবাদী করে জেলা প্রশাসকের বরাবরে আবেদন করেছেন খগেন চন্দ্র বিশ্বাস।

তিনি ঘটনাটি স্বরজমিনে তদন্ত পূর্বক রতন মন্ডলের দখলকৃত ১১ ফুট চওড়া হালট পথটি উদ্ধার করে স্থানীয় সর্বস্থরের জনসাধারণের চলাচল করার ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক এমুনটাই দাবী খগেন চন্দ্র বিশ্বাসের।