ঢাকা ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘ছোটদের সুন্দর জীবন নিশ্চিত করাই ছিলো বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য’

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৪:২৭:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪ ৫১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ছোটদের সুন্দর জীবন নিশ্চিত করাই ছিলো বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য। আজকের ছোট শিশুরাই হবে আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশের কারিগর। আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ব। শিশুরাই হবে আসল স্মার্ট, তারাই দেশ চালাবে। আমরা একসময় চাঁদেও যাব। সেভাবেই সবাইকে এখন থেকে প্রস্তুত হতে হবে। এজন্য পড়াশোনা করতে হবে।

শনিবার (৬ জুলাই) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় গিমাডাঙ্গা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্ণার উদ্ধোধন এবং ‘এসো বঙ্গবন্ধুকে জানি শীর্ষক’ এ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন শেষে শিক্ষার্থীদের সাথে কুশল বিনিময় কাল তিনি এসব কথা বলেন ।

বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট বেলা থেকেই মানুষের জন্য আলাদা একটা দরদ ছিল। অন্ন হীন, ছিন্ন কাপড় পরিহিত মানুষ, থাকার জায়গা নেই, এই জিনিষগুলো তাঁকে খুব ব্যথিত করতো। সেজন্য ছোটবেলা থেকেই তিনি মানুষের জন্যই কাজ করতেন। নিজের জীবনের কোন সুখ, সুবিধা কিছুই দেখেন নি। শুধু একটাই চিন্তা ছিল এদেশের মানুষকে কীভাবে দারিদ্রের হাত থেকে মুক্তি দেবেন। কীভাবে একটা উন্নত জীবন দিবেন এবং ছোট্ট শিশুরা যাতে একটা সুন্দর জীবন পেতে পারে সেটাই তাঁর লক্ষ্য ছিল।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, আমি মনে করি আজ যে উদ্যোগ এখানে নেওয়া হয়েছে অথবা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন যেসব শিশু, তাদের আঁকা ছবি দিয়ে অ্যালবাম করা বা ছবির মাধ্যমে ইতিহাসকে যে তুলে ধরা-আসলে ছবিতো কথা বলে এবং এর মাধ্যমে শিশুদের ইতিহাস জানার সুযোগ হচ্ছে। ৭৫ পরবর্তীতে এদেশের ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে, এটাই দুর্ভাগ্য। দেশের মানুষের জানা উচিত কিভাবে স্বাধীনতা এলো। স্বাধীনতার পর দেশ গড়তে বঙ্গবন্ধুর কাজগুলো সবার সামনে তুলে ধরার প্রয়োজনীতার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি এই উদ্যোগের জন্য শিক্ষক, প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, ‘আর আমার ছোট্ট সোনামনি, তোমাদের জন্য দোয়া ও আশির্বাদ রইল। তোমরা লেখাপড়া শিখে বড় হও। কারণ যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো তার তোমরাই হবে তার স্মার্ট নাগরিক, যারা দেশ চালাবে।

শেখ হাসিনা বলেন, তোমাদের মাঝ থেকেই বের হয়ে আসবে আমার মত প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, তোমরা বড় বড় জায়গায় যাবে গবেষণা করবে, বিজ্ঞানী হবে। আর আমরা একসময় চাঁদেও যাব, কোন চিন্তা নেই। কাজেই সবাইকে এখন থেকে সেভাবে প্রস্ততি নিতে হবে, পড়াশোনা করতে হবে।

এরআগে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছেলে বেলার বিদ্যালয়ে পৌঁছালে শিক্ষার্থীরা তাঁকে স্বাগত জানায়।
গোপালগঞ্জ সফরের দ্বিতীয় দিন টুঙ্গিপাড়া মাল্টিপারপাস পৌর সুপার মার্কেট পরিদর্শন এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা এবং মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন শেখ হাসিনা।

এর আগে বেলা ১১ টায় টুঙ্গিপাড়া গিমাডাঙ্গা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্ণার উদ্ধোধন এবং ‘এসো বঙ্গবন্ধুকে জানি শীর্ষক’ এ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর চাচা শেখ কবির হোসেন, শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল এমপি, শেখ সারহান নাসের তন্ময় এমপি, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধি অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার, গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, সাধারণ সম্পাদক জিএম সাহাব উদ্দিন আজম, গোপালগঞ্জ পৌরসভার মেয়র শেখ রাকিব হোসেন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবুল বশার খায়ের, উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ বাবুল শেখ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মঈনুল হক, পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, সাবেক মেয়র মোঃ ইলিয়াস হোসেন সহ পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

পরে বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজরিত এ স্কুলের প্রাক্ প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের সাথে কুশল বিনিময় করেন ও তাদের খোঁজ খবর নেন। তিনি সেখানে সময় কাটান। বঙ্গবন্ধু কর্ণার ঘুরেঘুরে দেখেন। তারপর খুঁদে শিক্ষার্থীদের সাথে তোলেন ছবি । এ স্কুলেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছেলে বেলায় চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন।

এরআগে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে ফাতেহাপাঠ ও বিশেষ দোয়া-মোনাজাতে অংশ নেন। এছাড়া দাদা শেখ লুৎফর রহমান ও দাদী শেখ সায়েরা খাতুনের কবরে দোয়া-মোনাজাত করেন তিনি।

দুপুর ১ টা ৩৫ মিনিটে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া থেকে সড়ক পথে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
শুক্রবার পদ্মাসেতু প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে প্রধানমন্ত্রী সন্ধ্যায় ২ দিনের সফরে পিতৃভ’মি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া এসে পৌঁছান। তিনি টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ বেদীতে সরকার প্রধান হিসেবে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। অংশ নেন দোয়া-মোনাজাতে। কুশল বিনিময় করেন পরিবারের সদস্য ও আত্মীয় স্বজনদের সাথে। শক্রবার রাতে টুঙ্গিপাড়ার নিজ বাড়িতে অবস্থান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর এ সফরকে ঘিরে গোপালগঞ্জ ছিল উৎসব মুখর। প্রধানমন্ত্রীর এ সফরকে ঘিরে আইন শৃংখলা বাহিনী কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করে ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

‘ছোটদের সুন্দর জীবন নিশ্চিত করাই ছিলো বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য’

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৪:২৭:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ছোটদের সুন্দর জীবন নিশ্চিত করাই ছিলো বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য। আজকের ছোট শিশুরাই হবে আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশের কারিগর। আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ব। শিশুরাই হবে আসল স্মার্ট, তারাই দেশ চালাবে। আমরা একসময় চাঁদেও যাব। সেভাবেই সবাইকে এখন থেকে প্রস্তুত হতে হবে। এজন্য পড়াশোনা করতে হবে।

শনিবার (৬ জুলাই) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় গিমাডাঙ্গা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্ণার উদ্ধোধন এবং ‘এসো বঙ্গবন্ধুকে জানি শীর্ষক’ এ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন শেষে শিক্ষার্থীদের সাথে কুশল বিনিময় কাল তিনি এসব কথা বলেন ।

বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট বেলা থেকেই মানুষের জন্য আলাদা একটা দরদ ছিল। অন্ন হীন, ছিন্ন কাপড় পরিহিত মানুষ, থাকার জায়গা নেই, এই জিনিষগুলো তাঁকে খুব ব্যথিত করতো। সেজন্য ছোটবেলা থেকেই তিনি মানুষের জন্যই কাজ করতেন। নিজের জীবনের কোন সুখ, সুবিধা কিছুই দেখেন নি। শুধু একটাই চিন্তা ছিল এদেশের মানুষকে কীভাবে দারিদ্রের হাত থেকে মুক্তি দেবেন। কীভাবে একটা উন্নত জীবন দিবেন এবং ছোট্ট শিশুরা যাতে একটা সুন্দর জীবন পেতে পারে সেটাই তাঁর লক্ষ্য ছিল।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, আমি মনে করি আজ যে উদ্যোগ এখানে নেওয়া হয়েছে অথবা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন যেসব শিশু, তাদের আঁকা ছবি দিয়ে অ্যালবাম করা বা ছবির মাধ্যমে ইতিহাসকে যে তুলে ধরা-আসলে ছবিতো কথা বলে এবং এর মাধ্যমে শিশুদের ইতিহাস জানার সুযোগ হচ্ছে। ৭৫ পরবর্তীতে এদেশের ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে, এটাই দুর্ভাগ্য। দেশের মানুষের জানা উচিত কিভাবে স্বাধীনতা এলো। স্বাধীনতার পর দেশ গড়তে বঙ্গবন্ধুর কাজগুলো সবার সামনে তুলে ধরার প্রয়োজনীতার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি এই উদ্যোগের জন্য শিক্ষক, প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, ‘আর আমার ছোট্ট সোনামনি, তোমাদের জন্য দোয়া ও আশির্বাদ রইল। তোমরা লেখাপড়া শিখে বড় হও। কারণ যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো তার তোমরাই হবে তার স্মার্ট নাগরিক, যারা দেশ চালাবে।

শেখ হাসিনা বলেন, তোমাদের মাঝ থেকেই বের হয়ে আসবে আমার মত প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, তোমরা বড় বড় জায়গায় যাবে গবেষণা করবে, বিজ্ঞানী হবে। আর আমরা একসময় চাঁদেও যাব, কোন চিন্তা নেই। কাজেই সবাইকে এখন থেকে সেভাবে প্রস্ততি নিতে হবে, পড়াশোনা করতে হবে।

এরআগে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছেলে বেলার বিদ্যালয়ে পৌঁছালে শিক্ষার্থীরা তাঁকে স্বাগত জানায়।
গোপালগঞ্জ সফরের দ্বিতীয় দিন টুঙ্গিপাড়া মাল্টিপারপাস পৌর সুপার মার্কেট পরিদর্শন এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা এবং মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন শেখ হাসিনা।

এর আগে বেলা ১১ টায় টুঙ্গিপাড়া গিমাডাঙ্গা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্ণার উদ্ধোধন এবং ‘এসো বঙ্গবন্ধুকে জানি শীর্ষক’ এ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর চাচা শেখ কবির হোসেন, শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল এমপি, শেখ সারহান নাসের তন্ময় এমপি, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধি অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার, গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, সাধারণ সম্পাদক জিএম সাহাব উদ্দিন আজম, গোপালগঞ্জ পৌরসভার মেয়র শেখ রাকিব হোসেন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবুল বশার খায়ের, উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ বাবুল শেখ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মঈনুল হক, পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, সাবেক মেয়র মোঃ ইলিয়াস হোসেন সহ পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

পরে বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজরিত এ স্কুলের প্রাক্ প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের সাথে কুশল বিনিময় করেন ও তাদের খোঁজ খবর নেন। তিনি সেখানে সময় কাটান। বঙ্গবন্ধু কর্ণার ঘুরেঘুরে দেখেন। তারপর খুঁদে শিক্ষার্থীদের সাথে তোলেন ছবি । এ স্কুলেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছেলে বেলায় চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন।

এরআগে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে ফাতেহাপাঠ ও বিশেষ দোয়া-মোনাজাতে অংশ নেন। এছাড়া দাদা শেখ লুৎফর রহমান ও দাদী শেখ সায়েরা খাতুনের কবরে দোয়া-মোনাজাত করেন তিনি।

দুপুর ১ টা ৩৫ মিনিটে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া থেকে সড়ক পথে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
শুক্রবার পদ্মাসেতু প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে প্রধানমন্ত্রী সন্ধ্যায় ২ দিনের সফরে পিতৃভ’মি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া এসে পৌঁছান। তিনি টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ বেদীতে সরকার প্রধান হিসেবে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। অংশ নেন দোয়া-মোনাজাতে। কুশল বিনিময় করেন পরিবারের সদস্য ও আত্মীয় স্বজনদের সাথে। শক্রবার রাতে টুঙ্গিপাড়ার নিজ বাড়িতে অবস্থান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর এ সফরকে ঘিরে গোপালগঞ্জ ছিল উৎসব মুখর। প্রধানমন্ত্রীর এ সফরকে ঘিরে আইন শৃংখলা বাহিনী কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করে ।