ঢাকা ০৪:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রাইভেটকার উল্টে ৫ বন্ধুর মৃত্যু, এলাকায় শোকের মাতম

মাসুদ রানা, পাবনা
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:১০:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪ ৩৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পাবনার ঈশ্বরদীতে প্রাইভেটকার উল্টে পাঁচ বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মরদেহ বহনের জন্য খাটিয়া নিয়ে অপেক্ষা করছেন স্বজনরা। শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে উপজেলার আজমপুর ও ভাড়ইমারী গ্রামে গিয়ে এই দৃশ্য দেখা যায়

নিহত শিশিরের স্বজন মুকুল হোসেন বলেন, ময়নাতদন্ত না করে মরদেহ হস্তান্তরের জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছি।
অল্প সময়ের মধ্যেই মরদেহ বাড়ি নেয়া হবে। দাফনের জন্য প্রস্তুত কবরও।

নিহত সিফাতের দাদা সলেমান প্রামাণিক বলেন, নাতির মরদেহ কিছুক্ষণের মধ্যে আসবে। এজন্য খাটিয়া নিয়ে অপেক্ষা করছি।
সিফাতের বাবাও ২০১৪ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়।

আজমপুর গ্রামের আলী হোসেন বলেন, একই সাথে ৫ জন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। মরদেহ দাফনের প্রস্তুতির জন্য গ্রামের মসজিদের খাটিয়াসহ পার্শ্ববর্তী মসজিদের খাটিয়ে আনা হয়েছে। পুরো গ্রামের মানুষ শোকাহত।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাত সোয়া ৯টার দিকে ঈশ্বরদী-পাবনা মহাসড়কের পাবনা সুগার মিলের সামনে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মারা যায় ৫ বন্ধু। নিহতরা হলো- সিফাত হোসেন, বিজয় হোসেন (১৯), জিহাদ হোসেন (১৭), রিয়াদুল ইসলাম শিশির (১৮) ও শাওন (১৮)। নিহতদের মধ্যে চালক বিজয় হোসেন ছাড়া বাকি চারজন ঈশ্বরদী টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের ছাত্র।

পাকশী হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বেলাল উদ্দিন এ বিষয়ে জানান, মরদেহ কিছুক্ষণের মধ্যে নিহতের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

প্রাইভেটকার উল্টে ৫ বন্ধুর মৃত্যু, এলাকায় শোকের মাতম

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:১০:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪

পাবনার ঈশ্বরদীতে প্রাইভেটকার উল্টে পাঁচ বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মরদেহ বহনের জন্য খাটিয়া নিয়ে অপেক্ষা করছেন স্বজনরা। শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে উপজেলার আজমপুর ও ভাড়ইমারী গ্রামে গিয়ে এই দৃশ্য দেখা যায়

নিহত শিশিরের স্বজন মুকুল হোসেন বলেন, ময়নাতদন্ত না করে মরদেহ হস্তান্তরের জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছি।
অল্প সময়ের মধ্যেই মরদেহ বাড়ি নেয়া হবে। দাফনের জন্য প্রস্তুত কবরও।

নিহত সিফাতের দাদা সলেমান প্রামাণিক বলেন, নাতির মরদেহ কিছুক্ষণের মধ্যে আসবে। এজন্য খাটিয়া নিয়ে অপেক্ষা করছি।
সিফাতের বাবাও ২০১৪ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়।

আজমপুর গ্রামের আলী হোসেন বলেন, একই সাথে ৫ জন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। মরদেহ দাফনের প্রস্তুতির জন্য গ্রামের মসজিদের খাটিয়াসহ পার্শ্ববর্তী মসজিদের খাটিয়ে আনা হয়েছে। পুরো গ্রামের মানুষ শোকাহত।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাত সোয়া ৯টার দিকে ঈশ্বরদী-পাবনা মহাসড়কের পাবনা সুগার মিলের সামনে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মারা যায় ৫ বন্ধু। নিহতরা হলো- সিফাত হোসেন, বিজয় হোসেন (১৯), জিহাদ হোসেন (১৭), রিয়াদুল ইসলাম শিশির (১৮) ও শাওন (১৮)। নিহতদের মধ্যে চালক বিজয় হোসেন ছাড়া বাকি চারজন ঈশ্বরদী টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের ছাত্র।

পাকশী হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বেলাল উদ্দিন এ বিষয়ে জানান, মরদেহ কিছুক্ষণের মধ্যে নিহতের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।