ঢাকা ০৯:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমতলীতে দুর্ঘটনা/ নিহত ৭ জন শিবচরের একই পরিবারের

মাদারীপুর প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:৩০:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুন ২০২৪ ৮১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বরগুনার আমতলীতে সেতু ভেঙে মাইক্রেবাস খালে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনায় নিহত নয়জনের মধ্যে ৭ জনই মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার সাহাপাড়া এলাকার। তারা একই পরিবারের সদস্য। নিহতরা একটি বৌভাত অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন।

শনিবার(২২ জুন) দুপুরে বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া-চাওড়া সীমান্তবর্তী চাওড়া হলদিয়া খালের ওপর লোহার সেতু ভেঙে মাইক্রোবাস পানিতে পড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় নারী-শিশুসহ ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বরগুনার আমতলিতে বোনের মেয়ে হুমায়রার বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকা থেকে যায় শিবচরের ভদ্রাসনের চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ব্যাংক কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, তার স্ত্রী টেলিটক চাকুরীজীবি মুন্নী বেগম (৪০), ২ মেয়ে তাহিয়া (৭), তাসফিহা(১১)।

এর আগে বুধবার শিবচরেরর সাহাপাড়া গ্রামের বোন ফরিদা বেগম (৪০), ভাবী ফাতেমা বেগম (৪০), দুই ভাগ্নে মাহাবুব খান , সোহেল খান, তার স্ত্রী রাইতি(৩০), রাইতির মা রুমি বেগমসহ (৪০) পরিবারের সদস্যরা ও আত্মীয় স্বজন ওই অনুষ্ঠানে যায়।


শুক্রবার (২১ জুন) বিয়েতে তারা অংশ নেয়। শনিবার (২২ জুন) আত্মীয়-স্বজন নিয়ে বৌভাতে যাওয়ার পথে দুপুরে বরগুনা জেলার আমতলী এলাকার হলদিয়া-চাওড়া সীমান্ত বর্তী চাওড়া হলদিয়া খালের ওপর লোহার সেতু ভেঙে মাইক্রোবাস পানিতে পড়ে যায়।

এতে ব্যাংকার আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী মুন্নী বেগম (৪০), ২ মেয়ে তাহিয়া (৭), তাসফিহা(১১) তার বড় ভাই বাবুল মাদবরের স্ত্রী ফাতেমা বেগম(৪০), বোন ফরিদা বেগম(৪০), ফরিদা বেগমের ছেলে সোহেল খানের স্ত্রী রাইতি বেগম(৩০) , রাইতির মা রুমি বেগম(৪০) নিহত হয়। তাদের বাড়ি ভদ্রাসনের সাহাপাড়া ও চর পাড়া গ্রামে। এছাড়া এ দুর্ঘটনায় নিহতদের আত্মীয় ছাড়াও বরগুনার আমতলীর দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া জহিরুল ইসলামের স্ত্রী জাকিয়া এবং কন্যা রিদি(৫) মারা যায়।

এদিকে, দুর্ঘটনার খবর গ্রামের বাড়িতে পৌছালে শোকের মাতম হয়ে উঠে বাড়িতে। শোকে স্তদ্ধ হয়ে পড়ে গোটা এলাকা। এলাকাবাসী এসে ভিড় জমায় মাহাবুবুর রহমান সবুজের বাড়িতে।

নিহত ফাতেমা বেগমের স্বামী বাবুল মাদবর কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমার সব শেষ হয়ে গেলো। ওরা বিয়ের আনন্দ করতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরছে। এই দুঃখ আমি কোথায় রাখি।’

নিহত ফরিদা বেগমের ছেলে মাহাবুব খান ফোনে বলেন, ‘আমরা বুধবার এসে শুক্রবার বিয়ে হয়। আজ (শনিবার) বৌভাগে যাওয়ার পথে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে।’

ভদ্রাসন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বেপারী বলেন, খবর পেয়েই বাড়িতে এসেছি। এতো বড় দুর্ঘটনায় সবাই বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছি। এখন তাদের মরদেহ বাড়িতে আনা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

আমতলীতে দুর্ঘটনা/ নিহত ৭ জন শিবচরের একই পরিবারের

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:৩০:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুন ২০২৪

বরগুনার আমতলীতে সেতু ভেঙে মাইক্রেবাস খালে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনায় নিহত নয়জনের মধ্যে ৭ জনই মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার সাহাপাড়া এলাকার। তারা একই পরিবারের সদস্য। নিহতরা একটি বৌভাত অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন।

শনিবার(২২ জুন) দুপুরে বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া-চাওড়া সীমান্তবর্তী চাওড়া হলদিয়া খালের ওপর লোহার সেতু ভেঙে মাইক্রোবাস পানিতে পড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় নারী-শিশুসহ ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বরগুনার আমতলিতে বোনের মেয়ে হুমায়রার বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকা থেকে যায় শিবচরের ভদ্রাসনের চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ব্যাংক কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, তার স্ত্রী টেলিটক চাকুরীজীবি মুন্নী বেগম (৪০), ২ মেয়ে তাহিয়া (৭), তাসফিহা(১১)।

এর আগে বুধবার শিবচরেরর সাহাপাড়া গ্রামের বোন ফরিদা বেগম (৪০), ভাবী ফাতেমা বেগম (৪০), দুই ভাগ্নে মাহাবুব খান , সোহেল খান, তার স্ত্রী রাইতি(৩০), রাইতির মা রুমি বেগমসহ (৪০) পরিবারের সদস্যরা ও আত্মীয় স্বজন ওই অনুষ্ঠানে যায়।


শুক্রবার (২১ জুন) বিয়েতে তারা অংশ নেয়। শনিবার (২২ জুন) আত্মীয়-স্বজন নিয়ে বৌভাতে যাওয়ার পথে দুপুরে বরগুনা জেলার আমতলী এলাকার হলদিয়া-চাওড়া সীমান্ত বর্তী চাওড়া হলদিয়া খালের ওপর লোহার সেতু ভেঙে মাইক্রোবাস পানিতে পড়ে যায়।

এতে ব্যাংকার আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী মুন্নী বেগম (৪০), ২ মেয়ে তাহিয়া (৭), তাসফিহা(১১) তার বড় ভাই বাবুল মাদবরের স্ত্রী ফাতেমা বেগম(৪০), বোন ফরিদা বেগম(৪০), ফরিদা বেগমের ছেলে সোহেল খানের স্ত্রী রাইতি বেগম(৩০) , রাইতির মা রুমি বেগম(৪০) নিহত হয়। তাদের বাড়ি ভদ্রাসনের সাহাপাড়া ও চর পাড়া গ্রামে। এছাড়া এ দুর্ঘটনায় নিহতদের আত্মীয় ছাড়াও বরগুনার আমতলীর দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া জহিরুল ইসলামের স্ত্রী জাকিয়া এবং কন্যা রিদি(৫) মারা যায়।

এদিকে, দুর্ঘটনার খবর গ্রামের বাড়িতে পৌছালে শোকের মাতম হয়ে উঠে বাড়িতে। শোকে স্তদ্ধ হয়ে পড়ে গোটা এলাকা। এলাকাবাসী এসে ভিড় জমায় মাহাবুবুর রহমান সবুজের বাড়িতে।

নিহত ফাতেমা বেগমের স্বামী বাবুল মাদবর কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমার সব শেষ হয়ে গেলো। ওরা বিয়ের আনন্দ করতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরছে। এই দুঃখ আমি কোথায় রাখি।’

নিহত ফরিদা বেগমের ছেলে মাহাবুব খান ফোনে বলেন, ‘আমরা বুধবার এসে শুক্রবার বিয়ে হয়। আজ (শনিবার) বৌভাগে যাওয়ার পথে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে।’

ভদ্রাসন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বেপারী বলেন, খবর পেয়েই বাড়িতে এসেছি। এতো বড় দুর্ঘটনায় সবাই বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছি। এখন তাদের মরদেহ বাড়িতে আনা হচ্ছে।