তিস্তার জট ছাড়ানোর বার্তা দিলেন মোদি
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৩৭:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুন ২০২৪ ৮৮ বার পড়া হয়েছে
‘ভারত আমাদের সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু, শনিবার (২২ জুন) দিল্লিতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন হায়দরাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। আর সেই বৈঠকে একাধিক চুক্তি সাক্ষরিত হয় দুই দেশের মধ্যে। এরপর যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তি নিয়েও সদর্থক বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
জানা গেছে, শনিবার (২২ জুন) হায়দরাবাদ হাউসে দুই রাষ্ট্র প্রধানের বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ চুক্তির রূপরেখা তৈরি হয়েছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় সমুদ্রাঞ্চলে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা চুক্তি। সেকথা তুলে ধরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন হাসিনা।
তিনি বলেন, সমুদ্রাঞ্চলে এই দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার মাধ্যমে আর্থিক উন্নতির পথে একসাথে চলবে দুই দেশ। এছাড়াও বৈঠকে তিস্তা জট ছাড়ানোর বার্তা দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সাংবাদিক বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন থেকে আটকে থাকা তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে পর্যালোচনা করার জন্য ভারত থেকে একটি দল পাঠানো হবে বাংলাদেশে। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে ভারত সরকার।
পাশাপাশি দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের তরফে আরো জানানো হয়েছে, ভারত ও বাংলাদেশ একটি সার্বিক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তিতে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদি বলেন, বাংলাদেশ আমাদের বৃহত্তম উন্নয়ন সাথী। প্রতিবেশীর স্বার্থকে ভারত সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়।
বাংলাদেশের সাথে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতার পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি, মহাকাশ গবেষণা, রেল যোগাযোগ এবং পরমাণু গবেষণার ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে এই বৈঠকে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে মনমোহন সিংয়ের সরকার তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে অন্তর্বর্তী চুক্তিতে প্রাথমিক সম্মতি দিয়েছিলো। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাতে সায় না দেয়া তা আটকে আছে। তার আপত্তির কারণ ছিলো, তিস্তার পানিচুক্তি হলে শুকনো মৌসুমে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে পানির অভাব দেখা দেবে। এরপর গত এক দশকের বেশি সময়েও তিস্তা নদীর পানিবণ্টন নিয়ে কোনো সমাধান মেলেনি। অবশেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বার্তায় সেই ‘অচলাবস্থার’ প্রথম ধাপ পার হলো বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।