ঢাকা ০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাগরিত্ব পেতে আগাম সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন নারীরা

বাংলা টাইমস ডেস্ক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:২৫:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫ ২০ বার পড়া হয়েছে

প্রতিকী ছবি

বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অভিবাসীদের সন্তানরা জন্মসূত্রে আর আমেরিকার নাগরিকত্ব পাবে না। মসনদে ফিরেই এমন আদেশনামা জারি করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর তা কার্যকর হবে ২০ ফেব্রুয়ারি।

এই পরিস্থিতিতে মার্কিন মুলুকে যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আর সেই কারণে তড়িঘড়ি সি সেকশন করিয়ে সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন সেদেশে বসবাসকারী বিদেশী নারীরা। কেননা এরমধ্যে সন্তানের জন্ম হলে তারা মার্কিন নাগরিক বলেই গণ্য হবে! এর ফলে শুরু হয়েছে তাড়াহুড়ো।

পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে ‘সিঁদুরে মেঘ’ দেখছেন টেক্সাসের চিকিৎসক ড. এস জি মুক্কালা। এক সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলার সময় তিনি সতর্ক করেছেন হবু মায়েদের। তার দাবি, নির্দিষ্ট সময়ের আগে সন্তানের জন্ম দিলে তা বিরাট ঝুঁকির হতে পারে। সেক্ষেত্রে সদ্যোজাতর অপরিণত ফুসফুস, কম ওজন ও স্নায়ুগত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি হবু মায়েদের বলতে চাই, সময়ের আগে সন্তানজন্ম বড়সড় ঝুঁকির কারণ হতে পারে। আমি ইতিমধ্যেই ১৫ থেকে ২০টি দম্পতির সঙ্গে কথা বলেছি।

উল্লেখ্য, নির্বাচনী প্রচার থেকেই রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের নিশানায় ছিল অভিবাসীরা। এই মুহূর্তে আমেরিকার মাটিতে ১ কোটি ৪০ লাখ অভিবাসী। এরমধ্যে ৭ লাখ ২৫ হাজার ভারতীয়। এছাড়া রয়েছে বিভিন্ন দেশের মানুষ।

মার্কিন মুলুকে এবার তীব্র শীতের কামড়ে নয়, বরং ট্রাম্প-আতঙ্কেই কাঁপছেন তারা। কারণ অফিসে এসে প্রথমদিনই ট্রাম্প হুঙ্কার দিয়েছেন, নথিবিহীন অভিবাসীদের আমেরিকা থেকে বের করে দেওয়া হবে। শুধু তা-ই নয়, কর্মসূত্রে অভিবাসী যাঁদের সন্তানের জন্ম হয়েছে আমেরিকার মাটিতে, তারাও আর পুরনো আইনের সুবিধায় মার্কিন নাগরিকত্ব পাবেন না।

এছাড়া বাবা কিংবা মায়ের মধ্যে অন্তত একজনের গ্রিনকার্ড না থাকলে, সন্তান পাবে না জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের সুযোগ। এ অবস্থায় আতঙ্ক ক্রমেই বাড়ছে। একজন এইচ১বি হোল্ডার বলছেন, ‘আমরা অনেক ত্যাগ স্বীকার করে এখানে পৌঁছেছি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে সব দরজা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

নাগরিত্ব পেতে আগাম সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন নারীরা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:২৫:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫

অভিবাসীদের সন্তানরা জন্মসূত্রে আর আমেরিকার নাগরিকত্ব পাবে না। মসনদে ফিরেই এমন আদেশনামা জারি করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর তা কার্যকর হবে ২০ ফেব্রুয়ারি।

এই পরিস্থিতিতে মার্কিন মুলুকে যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আর সেই কারণে তড়িঘড়ি সি সেকশন করিয়ে সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন সেদেশে বসবাসকারী বিদেশী নারীরা। কেননা এরমধ্যে সন্তানের জন্ম হলে তারা মার্কিন নাগরিক বলেই গণ্য হবে! এর ফলে শুরু হয়েছে তাড়াহুড়ো।

পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে ‘সিঁদুরে মেঘ’ দেখছেন টেক্সাসের চিকিৎসক ড. এস জি মুক্কালা। এক সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলার সময় তিনি সতর্ক করেছেন হবু মায়েদের। তার দাবি, নির্দিষ্ট সময়ের আগে সন্তানের জন্ম দিলে তা বিরাট ঝুঁকির হতে পারে। সেক্ষেত্রে সদ্যোজাতর অপরিণত ফুসফুস, কম ওজন ও স্নায়ুগত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি হবু মায়েদের বলতে চাই, সময়ের আগে সন্তানজন্ম বড়সড় ঝুঁকির কারণ হতে পারে। আমি ইতিমধ্যেই ১৫ থেকে ২০টি দম্পতির সঙ্গে কথা বলেছি।

উল্লেখ্য, নির্বাচনী প্রচার থেকেই রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের নিশানায় ছিল অভিবাসীরা। এই মুহূর্তে আমেরিকার মাটিতে ১ কোটি ৪০ লাখ অভিবাসী। এরমধ্যে ৭ লাখ ২৫ হাজার ভারতীয়। এছাড়া রয়েছে বিভিন্ন দেশের মানুষ।

মার্কিন মুলুকে এবার তীব্র শীতের কামড়ে নয়, বরং ট্রাম্প-আতঙ্কেই কাঁপছেন তারা। কারণ অফিসে এসে প্রথমদিনই ট্রাম্প হুঙ্কার দিয়েছেন, নথিবিহীন অভিবাসীদের আমেরিকা থেকে বের করে দেওয়া হবে। শুধু তা-ই নয়, কর্মসূত্রে অভিবাসী যাঁদের সন্তানের জন্ম হয়েছে আমেরিকার মাটিতে, তারাও আর পুরনো আইনের সুবিধায় মার্কিন নাগরিকত্ব পাবেন না।

এছাড়া বাবা কিংবা মায়ের মধ্যে অন্তত একজনের গ্রিনকার্ড না থাকলে, সন্তান পাবে না জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের সুযোগ। এ অবস্থায় আতঙ্ক ক্রমেই বাড়ছে। একজন এইচ১বি হোল্ডার বলছেন, ‘আমরা অনেক ত্যাগ স্বীকার করে এখানে পৌঁছেছি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে সব দরজা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।’