ময়লার ভাগারে ঝুপড়ি ঘরে বসবাস
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৪:৪৩:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫ ২৮ বার পড়া হয়েছে
দুর্গন্ধময় এলাকা দিয়ে সাধারণ মানুষ হেঁটে যেতেও নাক চেপে ধরতে হয়। দুর্গন্ধে পেট ফুলে আসে আর এখানে ছোট একটি ঝুপড়ি ঘর বানিয়ে বসবাস করছেন ফিরোজা দম্পতি।
কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বাগমারা বাজার রেললাইনের পূর্ব পাশেই বাজারের সকল ময়লা আবর্জনা ফেলেন ব্যবসায়ীরা। তাছাড়া, দু’টি রেললাইনের মাঝের স্থানেও ময়লার অভাব নেই। বাগমারা বাজারের বাইপাস সড়ক দিয়ে চলাচল করলেই দুর্গন্ধে নাক মুখ বন্ধ হয়ে আসে। আর এই ময়লার স্তূপেই ছোট্ট একটি ঝুপড়ি ঘর বানিয়ে দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবৎ রাত দিন পার করছেন উপজেলার জয়কামতা গ্রামের মৃত. লালমিয়া বড় মেয়ে ফিরোজা ও তার স্বামী হোসেন মিয়া।
ফিরোজা বেগমের প্রথম বিয়ে হয়েছিল গৌরিপুরের দিনমজুর রশিদ মিয়ার সাথে। কিন্তু ভাগ্যর নির্মমতায় দু’টি মেয়ে সন্তান রেখেই পরপারে পারি দিতে হলো রশিদ মিয়াকে। দুই মেয়েসহ বাবার বাড়িতে আসে ফিরোজা । কিন্তু স্থান না পাওয়ায় হোসেন মিয়াকে বিয়ে করে গত পাঁচ বছর যাবৎ বাগমারা বাজারের ময়লার স্তূপে ঝুপড়ি একটি ঘর বানিয়ে থাকছেন। বহু চেষ্টা করেও মাথা গোঁজার জন্য একটি ঘরও মেলেনি ফিরোজার। বর্তমানে স্বামী হোসেন মিয়া দিনমুজুরি করে টান পোড়নের সংসার চালাচ্ছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাগমারা রেললাইনের পূর্ব পাশে প্রায় ১০টি পরিবার ভূমিহীন যাদের জীবন জীবিকা চলে প্রতিনিয়ত সংগ্রামের মাধ্যমে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন বলেন, বাগমারা বাজারের ব্যবসায়ীদের না করা সত্বেও রাতের বেলা তারা এই স্থানে ময়লা ফেলছে। তাছাড়া, এখানে ময়লার স্তূপে ঘর বানিয়ে থাকছে তা জানা ছিল না। এখন যেহেতু শুনেছি ইউএনও স্যারের সাথে বিষয়টা নিয়ে কথা বলবো।
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মারজানা আক্তার বলেন, যেহেতু গৃহহীনদের ঘর দেওয়া এখন কোন নির্দেশনা নেই, তাই এই দরনের কোন বিষয়ে আগাতে পারছি না। কিন্তু আমাদের তৈরিকৃত যে ঘরগুলো আছে এগুলো সার্চ করে দেখবো যদি খালি থাকে সেক্ষেত্রে আমরা দেখবো, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার। তাছাড়া, শীত চলমান আছে সরকার থেকে দেওয়ার যা আছে। আমরা অবশ্যই বিষয়টা দেখবো।
লালমাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার এহসান মুরাদ বলেন, বিষয়টা যেহেতু জানলাম- ইনশাআল্লাহ ফিরোজাসহ ঐখানে যারা বসবাস করছে যাচাই করে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।