ঢাকা ০৫:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লক্ষ্মীপুরে ব্যতিক্রমধর্মী পিঠাপুলির উৎসব

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:৫৭:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫ ১২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গ্রাম বাংলার চিরচেনা ঐতিহ্য ধরে রাখতে এবং শিক্ষার্থীদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে লক্ষ্মীপুরে আয়োজন করা হয়েছে দিনব্যাপী ব্যতিক্রমধর্মী পিঠাপুলির উৎসব। শতাধিক স্টল নিয়ে বিভিন্ন পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেছেন লক্ষ্মীপুর ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা।

কুয়াশায় ঢাকা সকালে কিংবা সন্ধ্যায় হিমেল বাতাসে মুখরোচক পিঠার স্বাদ নেওয়া ভোজন বিলাসী বাঙালির ঐতিহ্যের অংশ। এই মাঘের শুরুতে হিম হিম ঠাণ্ডায় ক্যাম্পাস মাঠে শুরু হয় এই পিঠাপুলির উৎসব। শতাধিক স্টলে প্রায় ৩ শতাধিক গ্রাম বাংলার বিভিন্ন পিঠার পসরা সাজানো হয়।

১৮ জানুয়ারী (শনিবার) সকালে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই পিঠা উৎসব উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি সম্রাট খিসা, লক্ষ্মীপুর ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, উপাধ্যক্ষ হাবিবুর রহমানসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নতুন প্রজন্মের সঙ্গে দেশীয় পিঠার পরিচয় করিয়ে দিতে এমন আয়োজন বলে জানান আয়োজকরা। পিঠা উৎসবে স্থান পেয়েছে জিরা পিঠা, ভাপা, নকশি, চিতই, পাঠিসাপটা, জামাই বরণ পিঠা, ডাল ও তালের পিঠাসহ তিন শতাধিক পিঠার সমারাহ। উৎসবে ভিড় জমান জেলার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।

আয়োজকরা জানান, পিঠা-পুলির এ ধরনের সমারোহ সবসময় তরুণ প্রজন্মকে আকর্ষণ করে। পাশপাশি বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করে স্টলে বিক্রি করার মাঝেই আনন্দ তাদের। এতে তরুণরা বিভিন্ন পিঠার সাথের পরিচিত হতে পারছে।


গ্রাম বাংলার মানুষের চিত্ত বিনোদন ও নির্মল আনন্দ উপভোগের জন্য বছরের অধিকাংশ সময় আয়োজন করা হতো বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানের। এখন আর এসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় না। পিঠা উৎসবের মাধ্যমে গ্রাম বাংলার সেই হারানো ঐতিহ্য আবারও শহরে ফিরে আসবে এমনটিই মনে করেন আয়োজকরা। দিনব্যাপি এই উৎসবে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষের সমাগম ঘটে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

লক্ষ্মীপুরে ব্যতিক্রমধর্মী পিঠাপুলির উৎসব

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:৫৭:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

গ্রাম বাংলার চিরচেনা ঐতিহ্য ধরে রাখতে এবং শিক্ষার্থীদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে লক্ষ্মীপুরে আয়োজন করা হয়েছে দিনব্যাপী ব্যতিক্রমধর্মী পিঠাপুলির উৎসব। শতাধিক স্টল নিয়ে বিভিন্ন পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেছেন লক্ষ্মীপুর ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা।

কুয়াশায় ঢাকা সকালে কিংবা সন্ধ্যায় হিমেল বাতাসে মুখরোচক পিঠার স্বাদ নেওয়া ভোজন বিলাসী বাঙালির ঐতিহ্যের অংশ। এই মাঘের শুরুতে হিম হিম ঠাণ্ডায় ক্যাম্পাস মাঠে শুরু হয় এই পিঠাপুলির উৎসব। শতাধিক স্টলে প্রায় ৩ শতাধিক গ্রাম বাংলার বিভিন্ন পিঠার পসরা সাজানো হয়।

১৮ জানুয়ারী (শনিবার) সকালে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই পিঠা উৎসব উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি সম্রাট খিসা, লক্ষ্মীপুর ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, উপাধ্যক্ষ হাবিবুর রহমানসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নতুন প্রজন্মের সঙ্গে দেশীয় পিঠার পরিচয় করিয়ে দিতে এমন আয়োজন বলে জানান আয়োজকরা। পিঠা উৎসবে স্থান পেয়েছে জিরা পিঠা, ভাপা, নকশি, চিতই, পাঠিসাপটা, জামাই বরণ পিঠা, ডাল ও তালের পিঠাসহ তিন শতাধিক পিঠার সমারাহ। উৎসবে ভিড় জমান জেলার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।

আয়োজকরা জানান, পিঠা-পুলির এ ধরনের সমারোহ সবসময় তরুণ প্রজন্মকে আকর্ষণ করে। পাশপাশি বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করে স্টলে বিক্রি করার মাঝেই আনন্দ তাদের। এতে তরুণরা বিভিন্ন পিঠার সাথের পরিচিত হতে পারছে।


গ্রাম বাংলার মানুষের চিত্ত বিনোদন ও নির্মল আনন্দ উপভোগের জন্য বছরের অধিকাংশ সময় আয়োজন করা হতো বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানের। এখন আর এসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় না। পিঠা উৎসবের মাধ্যমে গ্রাম বাংলার সেই হারানো ঐতিহ্য আবারও শহরে ফিরে আসবে এমনটিই মনে করেন আয়োজকরা। দিনব্যাপি এই উৎসবে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষের সমাগম ঘটে।