ঢাকা ০২:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজধানীতে কৃষিজমি নেই, আছে ৪২ কৃষি কর্মকর্তা

সুপন রায়
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০২:২৫:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫ ৮৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কৃষি জমি না থাকলেও রয়েছে কৃষি কর্মকর্তা। কাগজে-কলমে এসব কর্মকর্তা আছে- তবে তা সাধারণ মানুষ জানে না। এমনকি এসব কর্মকর্তাদের কি কাজ তা নিয়েও উঠছে নানান প্রশ্ন।

জানা গেছে, রাজধানী ঢাকার মিরপুর, উত্তরা, মোহাম্মদপুর, গুলশান ও কামরাঙ্গীর চরে কোনো কৃষিজমি নেই। আবাদ হয় না কোনো ফসল। কিন্তু এসব এলাকার কৃষিকাজ দেখাশোনার জন্য রয়েছেন ৪২ জন কৃষি কর্মকর্তা। এমনকি স্পেয়ার মেকানিকসহ রয়েছেন আরও ২৯ জন কর্মচারী।

এসব কৃষি কর্মকর্তাদের কাজ কী বা তারা করেনবা কী? তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে এমন প্রশ্ন করা হলে সহজ উত্তর মেলে, ‘কেন, তারা ছাদবাগানের বিষয়ে পরামর্শ দেন।’

তবে এই কথা সাথে মিল পাওয়া গেলো না। এমনটা জানালেন মিরপুরের এক বাসিন্দা। তার বারান্দা-বাগানের একটি শস্যে পোকার আক্রমণ হয়। তিনি ওয়েবসাইট থেকে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের কৃষি কর্মকর্তাদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে ফোনে আক্রান্ত গাছের ছবিও তুলে পাঠান। ওই কর্মকর্তা ওষুধের নাম হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি।

এরপর তিনি অনেক চেষ্টা করেও একজন কৃষি কর্মকর্তা বা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার সহায়তা পাননি।

এসব কৃষি কর্মকর্তাদের সহায়তা পেয়েছেন, এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। ইয়াসিন আলী, মিরপুরের বাসিন্দা। ঢাকায় ছাদবাগানের বিষয়ে পরামর্শ বা সহায়তার জন্য কৃষি কর্মকর্তা রয়েছেন-তা তিনি জানেনই না। এ কারণেই দিন দিন মানুষ ছাদে বা বারান্দায় বাগান করায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন।

ঢাকার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতায় ঢাকার কৃষির জন্য ৬টি কৃষি মেট্রোপলিটন অঞ্চল রয়েছে। মিরপুর, মোহাম্মদপুর, গুলশান, উত্তরা, তেজগাঁও ও কামরাঙ্গীর চর। তেজগাঁওয়ে ১৭৭ বর্গকিলোমিটার এলাকার চার হাজার ২৯০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ফসল আবাদ হয়। এর বাইরে পাঁচটি অঞ্চলে কোনো আবাদি জমি নেই।

এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক (সম্প্রসারণ) সরকার শফি উদ্দীন আহমেদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, কৃষি কর্মকর্তারা ছাদবাগানের পরামর্শ দেন। এসব কর্মকর্তারা ছাদবাগান তদারকি করেন কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকায় ছাদের ওপর যে সবুজায়ন দেখছেন, তাতে কৃষি কর্মকর্তাদের অবদান রয়েছে। কৃষি কর্মকর্তারা দাবি করছেন, ঢাকা মহানগরীতে চার হাজার ৬০০ ছাদবাগান রয়েছে।

তবে এমন বক্তব্যের সাথে একমত নন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবুল ফয়েজ মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন। তিনি ছাদবাগান নিয়ে গবেষণা করেন, বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেন ও বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে বিনা মূল্যে চারা বিতরণ করেন। ঢাকার কৃষি কর্মকর্তা ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কোনো কাজ করেন না বলে জানান তিনি।

হার্টিকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. জসীম উদ্দিনের বলেন, সাধারণ মানুষ কৃষি কর্মকর্তাদের সম্পর্কে জানেন না। তারা নার্সারি থেকে গাছ কিনে সেখান থেকেই পরামর্শ নেন।

ঢাকার মিরপুর মেট্রোপলিটন কৃষি অফিসে দু’জন কৃষি কর্মকর্তা ও ছয়জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রয়েছে। এছাড়াও রয়েছেন স্পেয়ার মেকানিকসহ আরও সাতজন কর্মচারী। মোহাম্মদপুর মেট্রোপলিটন কৃষি অফিসে দুজন কৃষি কর্মকর্তা ও সাতজন উপসহকারী কর্মকর্তা রয়েছে। এর বাইরেও কর্মচারী রয়েছেন পাঁচজন। দুজন কৃষি কর্মকর্তা ও সাতজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রয়েছে উত্তরায়। এখানে রয়েছে আরও ৬ জন কর্মচারী।

কামরাঙ্গীর চরে কৃষি কর্মকর্তা রয়েছে দুজন, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ছয়জন। রয়েছে আরও ৬ জন কর্মচারী। গুলশান কৃষি অফিসে দুজন কৃষি কর্মকর্তা, ৬ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রয়েছে। রয়েছেন আরও ৬ জন কর্মচারী।

তেজগাঁও থানা কৃষি সার্কেল ২৪ জনবলের একটি বহর। এই সার্কেলের অধীন চার হাজার ২০০ একর আবাদি জমি রয়েছে।

ঢাকার খামারবাড়ির সন্নিকটেই মিরপুর, উত্তরা, গুলশান ও কামরাঙ্গীর চরের কার্যালয়। দুই তলাবিশিষ্ট ভবনে চারটি মেট্রোপলিটন কৃষি অফিস ও জেলা অফিসের কার্যালয়। ফলে পাঁচটি অফিস একই ভবনে থাকায় কর্মচারীতে ঠাসা থাকে এই ভবন। এসব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বসে আড্ডা দেয়া ছাড়া আর কোনো কাজ নেই। ঢাকায় থাকার জন্য বদলি হয়ে আসেন এখানে। পাঁচজন নিরাপত্তাকর্মী রয়েছে পাঁচটি অফিসের একটি ছোট ভবনের নিরাপত্তার জন্য। বিভিন্ন ব্লকের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মনিটর করার কথা কৃষি কর্মকর্তাদের। কিন্তু সঠিকভাবে মনিটরিং হয় না বলে জানিয়েছেন কৃষিবিদরাই।

সরকারি সংস্থা কৃষি তথ্য সার্ভিস জানিয়েছে, দেশের কৃষকদের এবং কৃষি সম্পর্কিত সবার মধ্যে কৃষিভিত্তিক সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, সেবা এবং তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে ‘কৃষি কল সেন্টার’ কাজ করছে। কৃষি কল সেন্টারের শর্ট কোড নম্বর ১৬১২৩-এ যেকোনো অপারেটরের মোবাইল ফোন থেকে প্রতি মিনিটে ২৫ পয়সা হারে (ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক ব্যতীত) কল করে কৃষকরা কৃষি বিষয়ে যেকোনো সমস্যার তাত্ক্ষণিক বিশেষজ্ঞ পরামর্শ পাচ্ছেন।

ঢাকার কৃষি উন্নয়নের লক্ষ্যে নগর কৃষি উন্নয়নের নামে ২০১৮ সালে একটি পাইলট প্রকল্প নেয়া হয়েছিল। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কিছু ছাদবাগান প্রদর্শনী করা হয়েছিল। রাজনীতিবিদ ও প্রকল্প পরিচালকদের স্বজন ও কিছু আগ্রহী ব্যক্তির বাড়ির ছাদে সরকারি অর্থায়নে ছাদবাগান করা হয়েছিল। কিন্তু পরে এই প্রকল্পের অব্যস্থাপনার কারণে সাফল্য আসেনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

রাজধানীতে কৃষিজমি নেই, আছে ৪২ কৃষি কর্মকর্তা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০২:২৫:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫

কৃষি জমি না থাকলেও রয়েছে কৃষি কর্মকর্তা। কাগজে-কলমে এসব কর্মকর্তা আছে- তবে তা সাধারণ মানুষ জানে না। এমনকি এসব কর্মকর্তাদের কি কাজ তা নিয়েও উঠছে নানান প্রশ্ন।

জানা গেছে, রাজধানী ঢাকার মিরপুর, উত্তরা, মোহাম্মদপুর, গুলশান ও কামরাঙ্গীর চরে কোনো কৃষিজমি নেই। আবাদ হয় না কোনো ফসল। কিন্তু এসব এলাকার কৃষিকাজ দেখাশোনার জন্য রয়েছেন ৪২ জন কৃষি কর্মকর্তা। এমনকি স্পেয়ার মেকানিকসহ রয়েছেন আরও ২৯ জন কর্মচারী।

এসব কৃষি কর্মকর্তাদের কাজ কী বা তারা করেনবা কী? তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে এমন প্রশ্ন করা হলে সহজ উত্তর মেলে, ‘কেন, তারা ছাদবাগানের বিষয়ে পরামর্শ দেন।’

তবে এই কথা সাথে মিল পাওয়া গেলো না। এমনটা জানালেন মিরপুরের এক বাসিন্দা। তার বারান্দা-বাগানের একটি শস্যে পোকার আক্রমণ হয়। তিনি ওয়েবসাইট থেকে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের কৃষি কর্মকর্তাদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে ফোনে আক্রান্ত গাছের ছবিও তুলে পাঠান। ওই কর্মকর্তা ওষুধের নাম হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি।

এরপর তিনি অনেক চেষ্টা করেও একজন কৃষি কর্মকর্তা বা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার সহায়তা পাননি।

এসব কৃষি কর্মকর্তাদের সহায়তা পেয়েছেন, এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। ইয়াসিন আলী, মিরপুরের বাসিন্দা। ঢাকায় ছাদবাগানের বিষয়ে পরামর্শ বা সহায়তার জন্য কৃষি কর্মকর্তা রয়েছেন-তা তিনি জানেনই না। এ কারণেই দিন দিন মানুষ ছাদে বা বারান্দায় বাগান করায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন।

ঢাকার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতায় ঢাকার কৃষির জন্য ৬টি কৃষি মেট্রোপলিটন অঞ্চল রয়েছে। মিরপুর, মোহাম্মদপুর, গুলশান, উত্তরা, তেজগাঁও ও কামরাঙ্গীর চর। তেজগাঁওয়ে ১৭৭ বর্গকিলোমিটার এলাকার চার হাজার ২৯০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ফসল আবাদ হয়। এর বাইরে পাঁচটি অঞ্চলে কোনো আবাদি জমি নেই।

এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক (সম্প্রসারণ) সরকার শফি উদ্দীন আহমেদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, কৃষি কর্মকর্তারা ছাদবাগানের পরামর্শ দেন। এসব কর্মকর্তারা ছাদবাগান তদারকি করেন কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকায় ছাদের ওপর যে সবুজায়ন দেখছেন, তাতে কৃষি কর্মকর্তাদের অবদান রয়েছে। কৃষি কর্মকর্তারা দাবি করছেন, ঢাকা মহানগরীতে চার হাজার ৬০০ ছাদবাগান রয়েছে।

তবে এমন বক্তব্যের সাথে একমত নন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবুল ফয়েজ মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন। তিনি ছাদবাগান নিয়ে গবেষণা করেন, বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেন ও বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে বিনা মূল্যে চারা বিতরণ করেন। ঢাকার কৃষি কর্মকর্তা ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কোনো কাজ করেন না বলে জানান তিনি।

হার্টিকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. জসীম উদ্দিনের বলেন, সাধারণ মানুষ কৃষি কর্মকর্তাদের সম্পর্কে জানেন না। তারা নার্সারি থেকে গাছ কিনে সেখান থেকেই পরামর্শ নেন।

ঢাকার মিরপুর মেট্রোপলিটন কৃষি অফিসে দু’জন কৃষি কর্মকর্তা ও ছয়জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রয়েছে। এছাড়াও রয়েছেন স্পেয়ার মেকানিকসহ আরও সাতজন কর্মচারী। মোহাম্মদপুর মেট্রোপলিটন কৃষি অফিসে দুজন কৃষি কর্মকর্তা ও সাতজন উপসহকারী কর্মকর্তা রয়েছে। এর বাইরেও কর্মচারী রয়েছেন পাঁচজন। দুজন কৃষি কর্মকর্তা ও সাতজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রয়েছে উত্তরায়। এখানে রয়েছে আরও ৬ জন কর্মচারী।

কামরাঙ্গীর চরে কৃষি কর্মকর্তা রয়েছে দুজন, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ছয়জন। রয়েছে আরও ৬ জন কর্মচারী। গুলশান কৃষি অফিসে দুজন কৃষি কর্মকর্তা, ৬ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রয়েছে। রয়েছেন আরও ৬ জন কর্মচারী।

তেজগাঁও থানা কৃষি সার্কেল ২৪ জনবলের একটি বহর। এই সার্কেলের অধীন চার হাজার ২০০ একর আবাদি জমি রয়েছে।

ঢাকার খামারবাড়ির সন্নিকটেই মিরপুর, উত্তরা, গুলশান ও কামরাঙ্গীর চরের কার্যালয়। দুই তলাবিশিষ্ট ভবনে চারটি মেট্রোপলিটন কৃষি অফিস ও জেলা অফিসের কার্যালয়। ফলে পাঁচটি অফিস একই ভবনে থাকায় কর্মচারীতে ঠাসা থাকে এই ভবন। এসব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বসে আড্ডা দেয়া ছাড়া আর কোনো কাজ নেই। ঢাকায় থাকার জন্য বদলি হয়ে আসেন এখানে। পাঁচজন নিরাপত্তাকর্মী রয়েছে পাঁচটি অফিসের একটি ছোট ভবনের নিরাপত্তার জন্য। বিভিন্ন ব্লকের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মনিটর করার কথা কৃষি কর্মকর্তাদের। কিন্তু সঠিকভাবে মনিটরিং হয় না বলে জানিয়েছেন কৃষিবিদরাই।

সরকারি সংস্থা কৃষি তথ্য সার্ভিস জানিয়েছে, দেশের কৃষকদের এবং কৃষি সম্পর্কিত সবার মধ্যে কৃষিভিত্তিক সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, সেবা এবং তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে ‘কৃষি কল সেন্টার’ কাজ করছে। কৃষি কল সেন্টারের শর্ট কোড নম্বর ১৬১২৩-এ যেকোনো অপারেটরের মোবাইল ফোন থেকে প্রতি মিনিটে ২৫ পয়সা হারে (ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক ব্যতীত) কল করে কৃষকরা কৃষি বিষয়ে যেকোনো সমস্যার তাত্ক্ষণিক বিশেষজ্ঞ পরামর্শ পাচ্ছেন।

ঢাকার কৃষি উন্নয়নের লক্ষ্যে নগর কৃষি উন্নয়নের নামে ২০১৮ সালে একটি পাইলট প্রকল্প নেয়া হয়েছিল। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কিছু ছাদবাগান প্রদর্শনী করা হয়েছিল। রাজনীতিবিদ ও প্রকল্প পরিচালকদের স্বজন ও কিছু আগ্রহী ব্যক্তির বাড়ির ছাদে সরকারি অর্থায়নে ছাদবাগান করা হয়েছিল। কিন্তু পরে এই প্রকল্পের অব্যস্থাপনার কারণে সাফল্য আসেনি।