সান্তাহার হার্ভে স্কুলের গৌরবময় শতবর্ষ উদযাপন
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৪:২৯:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ৪২ বার পড়া হয়েছে
বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সান্তাহার হার্ভে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতবর্ষ অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয়েছে। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনে নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে শতবর্ষ অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয়েছে।
তিনটি পর্বে বিভক্ত অনুষ্ঠান উদ্বোধনের পর জাকজমকপূর্ণ একটি রালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে স্কুলে ফিরে আসে। মূল অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন। পবিত্র কুরআন ও অন্যান্য ধর্গ্রমন্থ পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়। শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে শোক প্রস্তাব, বিদ্যালয়ের ডকুমেন্টারী প্রদর্শন, শিক্ষকদের সম্মাননা প্রদান, বিশেষ অতিথির বক্তব্য, প্রধান অতিথির বক্তব্য, সভাপতির বক্তব্যের মাধ্যমে প্রথম পর্ব শেষ হয়।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের স্মৃতিচারণ ও মধ্যাহ্ন ভোজ তৃতীয় পর্বে ছিলো বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় ও জাতীয় শিল্পীদের অংশ গ্রহণে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রাতে লটারির রাফেল ড্রয়ের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।
সান্তাহার হার্ভে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শতবর্ষ উদযাপন কমিটির আহবায়ক খালেদা খানমের সভাপতিত্বে এবং সহকারী শিক্ষক রতন কুমার ও প্রাক্তন ছাত্র শহীদ লেফটেন্যান্ট আহসানুল হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মাসুদুর রহমানের সঞ্চালনায় শতবর্ষ অনুষ্ঠান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আফরোজ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রহিম প্রধান।
বিশেষ অতিথি এবং শতবর্ষ অনুষ্ঠানের উপদেষ্টা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপি’র সভাপতি ও পৌরসভার সাবেক মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু। বিশেষ অতিথি এবং শতবর্ষ অনুষ্ঠানের মধ্যমণি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাষা আন্দোলন বর্ষে প্রথম শ্রেণির ছাত্র লায়ন রবিউল হক।
দেশের স্বনামধন্য ব্যবসায়ী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব লায়ন রবিউল হক স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগ আপ্লূত হয়ে বলেন, আমার বাবার কর্মের সুবাদে আমরা স্কুলের পাশে ইয়ার্ড কলোনি রেলওয়ে স্টাফ কোয়ার্টারে থাকতাম। আমি ১৯৫২ সালে এই স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করি। ৬৮ বছর পর এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমার ছোটো বেলার বহু স্মৃতি বিজরিত বিদ্যালয়ে আসার সুযোগ পেয়ে আমি ভিষণ আনন্দিত এবং গর্বিত।