স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ছে কমবয়সিদের, সতর্কতা ও করণীয়
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:১৮:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩৪ বার পড়া হয়েছে
বয়স্কদের মধ্যেই স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি-এমনটা মনে করতেন অনেকে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে কমবয়সিদেরও স্ট্রোক হতে পারে। বিশেষ করে ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সিদের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ছে।
এর কারণ অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাপনে অসংযম, অতিরিক্ত নেশার প্রবণতা। স্ট্রোকের প্রকারভেদ রয়েছে। ইস্কিমিক স্ট্রোক দেখা যায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষের ক্ষেত্রে। তবে কমবয়সিদের মধ্যে ‘ট্র্যানসিয়েন্ট ইসকিমিক অ্যাটাক’ বা ‘টিআইএ’ বেশি হতে দেখা যাচ্ছে।
চিকিৎসক দিলীপ কুমারের মত, স্ট্রোকের লক্ষণ জানান দেয় আগেই। সচেতনতার অভাবে তা বুঝতে পারেন না বেশির ভাগ মানুষ।
স্ট্রোকের কী কী সেই লক্ষণ? চিকিৎসক বলছেন, কথা বলতে বলতে আচমকা জিভ অবশ হয়ে গেল, হাত তুলে বোঝানোর চেষ্টা করতে গিয়ে দেখলেন, হাত তোলাও অসম্ভব। কয়েক মিনিটের মধ্যেই আবার সব আগের মতোই স্বাভাবিক। তাই সে যাত্রায় চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কথা মাথায়ই এল না। এরপর হয়তো কয়েক মাস পর আচমকা বড়সড় স্ট্রোকের ধাক্কায় একেবারে যমে-মানুষে টানাটানি। তখন শরীরের একদিক পক্ষাঘাতগ্রস্তও হয়ে যেতে পারে।
কয়েক মিনিট এ রকম কথা বলতে না পারা, হাত বা পা অসাড় হয়ে যাওয়া অথবা চোখে অন্ধকার দেখার মতো ঘটনাকে চিকিৎসার ভাষায় বলে ‘ট্র্যানসিয়েন্ট ইসকিমিক অ্যাটাক’ বা ‘টিআইএ’। সাধারণভাবে একে ‘মিনি স্ট্রোক’ বলা যায়। এ সময়ে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ না নিলে কিছু দিনের মধ্যেই বড়সড় বিপদ ঘটে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়।
স্ট্রোকের লক্ষণ দেখলেই যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানো প্রয়োজন। স্ট্রোক হওয়ার পর সাড়ে চার ঘণ্টা হল ‘গোল্ডেন আওয়ার’। এরমধ্যে ইন্টারভেনশন পদ্ধতির সাহায্যে মস্তিষ্কের রক্তবাহী ধমনীর রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক করে দিতে পারলে রোগীর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সময় লাগে না।
সুষম ডায়েট, নিয়ম মেনে শরীরচর্চা ও নেশার মাত্রা কমিয়ে দিলে স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা কমবে অনেকটাই। পর্যাপ্ত ঘুমও জরুরি। যারা রাতের পর রাত জেগে কাজ করেন, বাইরের খাবার বেশি খান, সেই সঙ্গে প্রবল মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তায় ভোগেন, তাদের ঝুঁকি অনেকটাই বেশি।
ঞঠাৎ দুর্বল বোধ করা, হাঁটাচলার সময়ে শরীরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা, কথা বলতে সমস্যা হওয়া, চিন্তাভাবনা গুলিয়ে যাওয়া, এক চোখে বা দুই চোখেই দৃষ্টি ঝাপসা হতে থাকলে দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। আগে থেকেই রোগ ধরা পড়লে বিপদ কমবে।