ঢাকা ১১:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫, ১৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

থাকছে না নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:৫৫:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ৩৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

উপজেলা পরিষদে নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদ আর থাকছে না। এই পদটি তুলে দেয়ার বিধান আনার সুপারিশ করবে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। সেই সাথে উপজেলা ও জেলা পরিষদে ওয়ার্ড প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করছে তারা।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, দলিত ও প্রতিবন্ধীসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আয়োজিত বৈঠকে এ পরিকল্পনার কথা জানান সংস্কার কমিটির প্রধান ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ।

এ সময় তিনি বলেন, উপজেলায় কোনো ওয়ার্ড নেই। আমরা চিন্তা করছি এখানেও ওয়ার্ড হবে। একজন নারী, দুজন পুরুষের সাধারণ আসন থাকবে। স্থানীয় সরকারের নারীদের সরাসরি নির্বাচন করতে বাধা নাই। তারা পারে না বলেই সংরক্ষিত করা হয়। এখন কোনো ইউনিয়নের ১৩টি ওয়ার্ডেই যদি নারী প্রার্থী আসে কেউ বাধা দিতে পারবে না।

ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, সুপারিশগুলো হচ্ছে- উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান থাকছে না। প্রত্যেকটি উপজেলায় ওয়ার্ড হবে। একটা উপজেলায় ১০টি ইউনিয়ন থাকলে ৩০টি আসন হবে। ৩০ জন নির্বাচিত হয়ে একজন চেয়ারম্যান করবেন, ভাইস চেয়ারম্যান করবেন। সরাসরি এটা হবে না। জেলা পরিষদেরও কিন্তু ওয়ার্ড থাকবে বেশি আরও। তখন কিন্তু দাঁড়ানো ও নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ বাড়বে। তবে আদিবাসীদের জন্য কতটুকু বাড়বে তা দেখার বিষয়। না বাড়লে তাদের স্থায়ী কমিটিতে নিতে হবে।

ইসির সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও সংস্কার কমিটির সদস্য জেসমিন টুলী বলেন, গত তিনটি নির্বাচনে একেবারে সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। এর আগে কিন্তু এমনটি হয়নি। এখন কোনো প্রার্থী জয়ী হলেও সহিংসতা করে, আর না হলেও করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

থাকছে না নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:৫৫:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

উপজেলা পরিষদে নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদ আর থাকছে না। এই পদটি তুলে দেয়ার বিধান আনার সুপারিশ করবে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। সেই সাথে উপজেলা ও জেলা পরিষদে ওয়ার্ড প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করছে তারা।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, দলিত ও প্রতিবন্ধীসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আয়োজিত বৈঠকে এ পরিকল্পনার কথা জানান সংস্কার কমিটির প্রধান ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ।

এ সময় তিনি বলেন, উপজেলায় কোনো ওয়ার্ড নেই। আমরা চিন্তা করছি এখানেও ওয়ার্ড হবে। একজন নারী, দুজন পুরুষের সাধারণ আসন থাকবে। স্থানীয় সরকারের নারীদের সরাসরি নির্বাচন করতে বাধা নাই। তারা পারে না বলেই সংরক্ষিত করা হয়। এখন কোনো ইউনিয়নের ১৩টি ওয়ার্ডেই যদি নারী প্রার্থী আসে কেউ বাধা দিতে পারবে না।

ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, সুপারিশগুলো হচ্ছে- উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান থাকছে না। প্রত্যেকটি উপজেলায় ওয়ার্ড হবে। একটা উপজেলায় ১০টি ইউনিয়ন থাকলে ৩০টি আসন হবে। ৩০ জন নির্বাচিত হয়ে একজন চেয়ারম্যান করবেন, ভাইস চেয়ারম্যান করবেন। সরাসরি এটা হবে না। জেলা পরিষদেরও কিন্তু ওয়ার্ড থাকবে বেশি আরও। তখন কিন্তু দাঁড়ানো ও নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ বাড়বে। তবে আদিবাসীদের জন্য কতটুকু বাড়বে তা দেখার বিষয়। না বাড়লে তাদের স্থায়ী কমিটিতে নিতে হবে।

ইসির সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও সংস্কার কমিটির সদস্য জেসমিন টুলী বলেন, গত তিনটি নির্বাচনে একেবারে সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। এর আগে কিন্তু এমনটি হয়নি। এখন কোনো প্রার্থী জয়ী হলেও সহিংসতা করে, আর না হলেও করে।