ঢাকা ১০:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাগেরহাটে আইনজীবিকে মারধর ও হত্যার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

বাগেরহাট প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:৩৬:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ১৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাগেরহাটের রামপালে সুপ্রিমকোর্টের এক আইনজীবিকে মারধর, হত্যা চেষ্টা, জোরপূর্বক তার জমি দখল ও মালামাল লুটের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এসব ঘটনায় করা মামলা তুলে নিতে হুমকী-ধামকী দেওয়ার পাশাপাশি ওই আইনজীবির বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছেন প্রতিপক্ষরা।জমিতে গেলে মোঃ কামলাল হোসেন নামের ওই আইনজীবিকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছেন দখলকারীরা।

রবিবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন আইনজীবি মোঃ কামাল হোসেন।

মোঃ কামাল হোসেন রামপাল উপজেলার মানিকনগর গ্রামের মরহুম দাউদ আলী শেখের ছেলে।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি সুপ্রিমকোর্ট বার এসোসিয়েশনের একজন নিয়মিত সদস্য হওয়ায় বেশিরভাগ সময় ঢাকায় অবস্থান করি। সেই সুযোগে মানিকনগর বাজারে থাকা পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ১৭ শতক জমি একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী বাহিনী দখলের চেষ্টা চালায়। এর অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতা খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বাজারের দুটি দোকান গৌরম্ভা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিনের ভাগ্নে আসলাম ও কামালকে দখল করিয়ে দেয়। আমাকে রাজাকার বলে সম্বোধন করে ওকালতি ছুটাইয়া দেওয়ার হুমকি দেয় সিটি মেয়র।

ফেসিবাদী আওয়ামী সরকার পতনের পরে গেল ১০ অক্টোবর আসলাম ও কামালের ইন্ধনে মানিকনগর এলাকার শেখ মুজিবুর রহমানসহ অন্তত ১০ জন মিলে বাজারে থাকা অন্য জমি ও দোকান ঘর দখল করে নেয়। দোনাকে থাকা মালামাল লুটে নেয় দখলকারীরা। বর্তমানে বাজারে থাকা ১৭ শতক জমির মধ্যে মাত্র ৩ শতক জমি আমার দখলে রয়েছে। অন্য সব জমি ও দোকান শেখ মুজিবুর রহমান ও তার দোসররা দখল করে নিয়েছেন।

জমি উদ্ধারে রামপাল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)‘র কাছে অভিযোগ করি। তিনি জমির কাজগপত্র যাচাই-বাছাই ও বিশ্লেষন করে আমার মালিকানার পক্ষে রায় দেন। এর প্রেক্ষিতে সন্ত্রাসী চক্রটি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের বিভিন্ন ভাবে ভয় ভীতি ও প্রাননাশের হুমকি দেয়। গেল ১৫ নভেম্বর শেখ মুজিবুর রহমান, আরফুজ শেখ, রবিউল শেখ, বেলাল শেখ ও রাসেল শেখসহ কয়েকজন আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে। আমার কাছে থাকা নগদ অর্থ ও বিভিন্ন মালামাল লুটে নেয়। তাদের হামলায় গুরুত্বর আহত হলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে ১০জনকে আসামী করে রামপাল থানায় মামলা করি। এদের মধ্যে একজন জামিনে মুক্ত হলেও, অন্য কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। বরং তারা আমাকে মামলা তোলার জন্য হুমকি-ধামকী দিচ্ছে।জমিতে গেলে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছে।এই অবস্থায় আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। আমি যেকোন মূল্যে আমার পৈত্রিক জমি ফিরে চাই। আসামীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এই আইনজীবি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বাগেরহাটে আইনজীবিকে মারধর ও হত্যার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:৩৬:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

বাগেরহাটের রামপালে সুপ্রিমকোর্টের এক আইনজীবিকে মারধর, হত্যা চেষ্টা, জোরপূর্বক তার জমি দখল ও মালামাল লুটের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এসব ঘটনায় করা মামলা তুলে নিতে হুমকী-ধামকী দেওয়ার পাশাপাশি ওই আইনজীবির বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছেন প্রতিপক্ষরা।জমিতে গেলে মোঃ কামলাল হোসেন নামের ওই আইনজীবিকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছেন দখলকারীরা।

রবিবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন আইনজীবি মোঃ কামাল হোসেন।

মোঃ কামাল হোসেন রামপাল উপজেলার মানিকনগর গ্রামের মরহুম দাউদ আলী শেখের ছেলে।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি সুপ্রিমকোর্ট বার এসোসিয়েশনের একজন নিয়মিত সদস্য হওয়ায় বেশিরভাগ সময় ঢাকায় অবস্থান করি। সেই সুযোগে মানিকনগর বাজারে থাকা পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ১৭ শতক জমি একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী বাহিনী দখলের চেষ্টা চালায়। এর অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতা খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বাজারের দুটি দোকান গৌরম্ভা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিনের ভাগ্নে আসলাম ও কামালকে দখল করিয়ে দেয়। আমাকে রাজাকার বলে সম্বোধন করে ওকালতি ছুটাইয়া দেওয়ার হুমকি দেয় সিটি মেয়র।

ফেসিবাদী আওয়ামী সরকার পতনের পরে গেল ১০ অক্টোবর আসলাম ও কামালের ইন্ধনে মানিকনগর এলাকার শেখ মুজিবুর রহমানসহ অন্তত ১০ জন মিলে বাজারে থাকা অন্য জমি ও দোকান ঘর দখল করে নেয়। দোনাকে থাকা মালামাল লুটে নেয় দখলকারীরা। বর্তমানে বাজারে থাকা ১৭ শতক জমির মধ্যে মাত্র ৩ শতক জমি আমার দখলে রয়েছে। অন্য সব জমি ও দোকান শেখ মুজিবুর রহমান ও তার দোসররা দখল করে নিয়েছেন।

জমি উদ্ধারে রামপাল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)‘র কাছে অভিযোগ করি। তিনি জমির কাজগপত্র যাচাই-বাছাই ও বিশ্লেষন করে আমার মালিকানার পক্ষে রায় দেন। এর প্রেক্ষিতে সন্ত্রাসী চক্রটি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের বিভিন্ন ভাবে ভয় ভীতি ও প্রাননাশের হুমকি দেয়। গেল ১৫ নভেম্বর শেখ মুজিবুর রহমান, আরফুজ শেখ, রবিউল শেখ, বেলাল শেখ ও রাসেল শেখসহ কয়েকজন আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে। আমার কাছে থাকা নগদ অর্থ ও বিভিন্ন মালামাল লুটে নেয়। তাদের হামলায় গুরুত্বর আহত হলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে ১০জনকে আসামী করে রামপাল থানায় মামলা করি। এদের মধ্যে একজন জামিনে মুক্ত হলেও, অন্য কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। বরং তারা আমাকে মামলা তোলার জন্য হুমকি-ধামকী দিচ্ছে।জমিতে গেলে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছে।এই অবস্থায় আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। আমি যেকোন মূল্যে আমার পৈত্রিক জমি ফিরে চাই। আসামীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এই আইনজীবি।