ঢাকা ০১:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কবি হিমেল বরকতের চতুর্থ মৃত্যু বার্ষিকী পালিত

বাগেরহাট প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:২৪:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ১০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অকাল প্রয়াত কবি, গবেষক, প্রাবন্ধিক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. হিমেল বরকতের চতুর্থ বার্ষিকী পালিত হয়েছে। শুক্রবার বাগেরহাটের মোংলার মিঠাখালীতে রুদ্র স্মৃতি সংসদ, মোংলা নাগরিক সমাজ, সর্বদলীয় সম্প্রীতি উদ্যোগসহ বিভিন্ন রাজনৈক দল ও বিভিন্ন সামাজিক এবং পেশাজীবি সংগঠনের যৌথ আয়োজনে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি মধ্য দিয়ে কবি ড. হিমেল বরকতের মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হয়।

শুক্রবার সকালে শোভাযাত্রা সহকারে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর প্রয়ত কবির বাড়িতে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টায় কবি হিমেল বরকতের বাড়িতে স্মরণানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। স্মরণানুষ্ঠানে রুদ্র স্মৃতি সংসদের সভাপতি সাংবাদিক সুমেল সারাফাত’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, ওয়াটারকিপার বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় সংগঠক ইবনুল সাইদ রানা, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর সমন্বয়কারী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র কবি মামুন কবীর, মোংলা নাগরিক সমাজের সভাপতি নুর আলম শেখ, কবি হিমেলের বাল্যবন্ধু জানে আলম বাবু প্রমুখ। আলোচনা শেষে হিমেল বরকতের লেখা গান পরিবেশন করে অন্তর বাজাও শিল্পী গোষ্ঠী।

স্মরণানুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, হিমেল বরকত ছিলেন একাধারে অধ্যাপক, খ্যাতিমান কবি, প্রাবন্ধিক, গীতিকার ও সাহিত্য গবেষক। তিনি তার লেখায় সমাজের সকল বৈষম্য আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন। মাত্র ৪৩ বছর বয়সেই তিনি বাংলা সাহিত্যাংগনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন। হিমেল বরকতের প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হলো- চোখে চৌদিকে (২০০১), দশ মাতৃক দৃশ্যাবলি (২০১৪), গবেষণাধর্মী গ্রন্থ প্রান্তস্বর ব্রাত্যভাবনা (২০১৭), সাহিত্য সমালোচক বুদ্ধদেব বসু গবেষণা গ্রন্থ (২০১৩), ছড়ায় ছড়ায় প্রকৃতির বিস্ময়, ছোট গল্প আয়না এবং পেনসিল ও রাবারের গল্প। তার সম্পাদিত গ্রন্থগুলো হলো রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ রচনাবলী (২০০৫), কবি ত্রিদিব দস্তিদারের কবিতা সমগ্র (২০০৫), চন্দ্রাবতীর রামায়ণ ও প্রাসঙ্গিক পাঠ (২০১২),রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর শ্রেষ্ঠ কবিতা (২০১২), বাংলাদেশের আদিবাসী কাব্য সংগ্রহ (২০১৩), রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ স্মারক গ্রন্থ (২০১৫) ও রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর প্রেমের কবিতা নিয়ে অনুকাব্য। এ ছাড়া অপ্রকাশিত রয়েছে হিমেলের বেশ কিছু কবিতার বই ও গান।

প্রসঙ্গত, ড. হিমেল বরকত ১৯৭৭ সালের ২৭ জুলাই বাগেরহাট জেলার মোংলার মিঠেখালী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। হিমেল বরকত প্রয়াত কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর ছোট ভাই। হিমেল বরকত ১৯৯৪ সালে মোংলার সেন্ট পলস উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ১৯৯৬ সালে ঢাকার নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি এবং পরবর্তী সময়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় অনার্স-মাস্টার্স ও ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কবি হিমেল বরকতের চতুর্থ মৃত্যু বার্ষিকী পালিত

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:২৪:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

অকাল প্রয়াত কবি, গবেষক, প্রাবন্ধিক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. হিমেল বরকতের চতুর্থ বার্ষিকী পালিত হয়েছে। শুক্রবার বাগেরহাটের মোংলার মিঠাখালীতে রুদ্র স্মৃতি সংসদ, মোংলা নাগরিক সমাজ, সর্বদলীয় সম্প্রীতি উদ্যোগসহ বিভিন্ন রাজনৈক দল ও বিভিন্ন সামাজিক এবং পেশাজীবি সংগঠনের যৌথ আয়োজনে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি মধ্য দিয়ে কবি ড. হিমেল বরকতের মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হয়।

শুক্রবার সকালে শোভাযাত্রা সহকারে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর প্রয়ত কবির বাড়িতে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টায় কবি হিমেল বরকতের বাড়িতে স্মরণানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। স্মরণানুষ্ঠানে রুদ্র স্মৃতি সংসদের সভাপতি সাংবাদিক সুমেল সারাফাত’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, ওয়াটারকিপার বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় সংগঠক ইবনুল সাইদ রানা, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর সমন্বয়কারী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র কবি মামুন কবীর, মোংলা নাগরিক সমাজের সভাপতি নুর আলম শেখ, কবি হিমেলের বাল্যবন্ধু জানে আলম বাবু প্রমুখ। আলোচনা শেষে হিমেল বরকতের লেখা গান পরিবেশন করে অন্তর বাজাও শিল্পী গোষ্ঠী।

স্মরণানুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, হিমেল বরকত ছিলেন একাধারে অধ্যাপক, খ্যাতিমান কবি, প্রাবন্ধিক, গীতিকার ও সাহিত্য গবেষক। তিনি তার লেখায় সমাজের সকল বৈষম্য আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন। মাত্র ৪৩ বছর বয়সেই তিনি বাংলা সাহিত্যাংগনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন। হিমেল বরকতের প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হলো- চোখে চৌদিকে (২০০১), দশ মাতৃক দৃশ্যাবলি (২০১৪), গবেষণাধর্মী গ্রন্থ প্রান্তস্বর ব্রাত্যভাবনা (২০১৭), সাহিত্য সমালোচক বুদ্ধদেব বসু গবেষণা গ্রন্থ (২০১৩), ছড়ায় ছড়ায় প্রকৃতির বিস্ময়, ছোট গল্প আয়না এবং পেনসিল ও রাবারের গল্প। তার সম্পাদিত গ্রন্থগুলো হলো রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ রচনাবলী (২০০৫), কবি ত্রিদিব দস্তিদারের কবিতা সমগ্র (২০০৫), চন্দ্রাবতীর রামায়ণ ও প্রাসঙ্গিক পাঠ (২০১২),রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর শ্রেষ্ঠ কবিতা (২০১২), বাংলাদেশের আদিবাসী কাব্য সংগ্রহ (২০১৩), রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ স্মারক গ্রন্থ (২০১৫) ও রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর প্রেমের কবিতা নিয়ে অনুকাব্য। এ ছাড়া অপ্রকাশিত রয়েছে হিমেলের বেশ কিছু কবিতার বই ও গান।

প্রসঙ্গত, ড. হিমেল বরকত ১৯৭৭ সালের ২৭ জুলাই বাগেরহাট জেলার মোংলার মিঠেখালী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। হিমেল বরকত প্রয়াত কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর ছোট ভাই। হিমেল বরকত ১৯৯৪ সালে মোংলার সেন্ট পলস উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ১৯৯৬ সালে ঢাকার নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি এবং পরবর্তী সময়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় অনার্স-মাস্টার্স ও ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন।