ঢাকা ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফুলবাড়ীতে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত

আজিজুল হক সরকার, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:১৬:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ৮২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

“দেশের স্বাধীন সার্বভৌমত্ব রক্ষায় গৌরবোজ্জ্বল তিন বাহিনীর আত্মত্যাগের কথা দেশবাসী শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে আসছে। এই তিন বাহিনীর উপর দেশের জনগণের যে দেশপ্রেম তা চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।”

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় যথাযথ মর্যাদায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপনকালে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যরা উপরিউক্ত মন্তব্য করেন ।

 আজ ২১নভেম্বর  বৃহস্পতিবার অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী কল্যাণ সংস্থা বাংলাদেশ এর আয়োজনে দিবসটি উযাপিত হয়েছে।

দেশের  সেনাবাহিনী, নৌ বাহিনী এবং বিমান বাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নতি ও অগ্রগতি ,দেশের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা, স্বাধীনতা যুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর শহীদের মাগফিরাত কামনা করে সকাল ৯ টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

 সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর কল্যাণ সংস্থার ফুলবাড়ী শাখার ফুলবাড়ী সভাপতি সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মো. মঞ্জুরুল হক বলেন, ২১ নভেম্বর হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের একটি অগ্রদূত। আমরা তিন বাহিনী  ও সাধারণ জনগণসহ  ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাবে বিভিন্ন জায়গায় অপারেশন করে ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন করি। এই দিনটাকে স্মরণীয়  করে রাখার জন্য আজকের আমাদের এই দিবস উদযাপন।

সাধারণ সম্পাদক সার্জেন্ট মো. খাইবুর রহমান চৌধুরী বলেন, প্রতিবছর বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও  অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ঢাকা সেনানিবাসের শিক্ষা অনির্বানে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে এই দিনে শুভ সূচনা করেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ আমরা এই দিনটিকে শ্রদ্ধা এবং সম্মানের সাথে পালন করছি। আগামীতে আরও এই দিনটিকে আমরা বৃহত্তর পরিসরে পালনের উদ্যোগ করব। 

 যুগ্ম সম্পাদক জনাব মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ১৯৭১-এর ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর তাণ্ডবলীলার জবাবে অস্ত্র তুলে নেয় বিপ্লবী ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস, পুলিশ, আনসার ও অন্য সদস্যরা। পরবর্তী সময়ে এগিয়ে আসেন পূর্ব পাকিস্তানের কর্মরত বাঙালি নাবিক ও নৌ-অফিসার, সেনা ও বিমান কর্মকর্তারা। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেয় সর্বস্তরের হাজার হাজার মুক্তিপাগল জনতা। বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম ধারণ করে সশস্ত্র সংগ্রামের রূপ। জাতির ঐ ক্রান্তিলগ্নে পাকিস্তানি শাসকদের স্বপ্ন নস্যাৎ ও তাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রয়োজন দেখা দেয় একটি সুসংগঠিত সশস্ত্র বাহিনীর। এর মাধ্যমেই স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে ও পাক-ভারত যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে।

 আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন মো. তারিকুল ইসলাম সিরাজী, ব্যবস্থাপক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ ফুলবাড়ী শাখা, মাওলানা মো.  তোহা, হজ মোয়াল্লেম, জনাব সাহাজুল ইসলাম, জনাব মানিক সরকার, জনাব এরশাদ হোসেন,  মো. আমিনুল ইসলাম, প্রধান উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মানিত লেফটেন্যান্ট মো. আব্দুল হান্নান। 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ফুলবাড়ীতে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:১৬:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

“দেশের স্বাধীন সার্বভৌমত্ব রক্ষায় গৌরবোজ্জ্বল তিন বাহিনীর আত্মত্যাগের কথা দেশবাসী শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে আসছে। এই তিন বাহিনীর উপর দেশের জনগণের যে দেশপ্রেম তা চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।”

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় যথাযথ মর্যাদায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপনকালে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যরা উপরিউক্ত মন্তব্য করেন ।

 আজ ২১নভেম্বর  বৃহস্পতিবার অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী কল্যাণ সংস্থা বাংলাদেশ এর আয়োজনে দিবসটি উযাপিত হয়েছে।

দেশের  সেনাবাহিনী, নৌ বাহিনী এবং বিমান বাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নতি ও অগ্রগতি ,দেশের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা, স্বাধীনতা যুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর শহীদের মাগফিরাত কামনা করে সকাল ৯ টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

 সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর কল্যাণ সংস্থার ফুলবাড়ী শাখার ফুলবাড়ী সভাপতি সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মো. মঞ্জুরুল হক বলেন, ২১ নভেম্বর হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের একটি অগ্রদূত। আমরা তিন বাহিনী  ও সাধারণ জনগণসহ  ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাবে বিভিন্ন জায়গায় অপারেশন করে ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন করি। এই দিনটাকে স্মরণীয়  করে রাখার জন্য আজকের আমাদের এই দিবস উদযাপন।

সাধারণ সম্পাদক সার্জেন্ট মো. খাইবুর রহমান চৌধুরী বলেন, প্রতিবছর বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও  অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ঢাকা সেনানিবাসের শিক্ষা অনির্বানে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে এই দিনে শুভ সূচনা করেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ আমরা এই দিনটিকে শ্রদ্ধা এবং সম্মানের সাথে পালন করছি। আগামীতে আরও এই দিনটিকে আমরা বৃহত্তর পরিসরে পালনের উদ্যোগ করব। 

 যুগ্ম সম্পাদক জনাব মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ১৯৭১-এর ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর তাণ্ডবলীলার জবাবে অস্ত্র তুলে নেয় বিপ্লবী ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস, পুলিশ, আনসার ও অন্য সদস্যরা। পরবর্তী সময়ে এগিয়ে আসেন পূর্ব পাকিস্তানের কর্মরত বাঙালি নাবিক ও নৌ-অফিসার, সেনা ও বিমান কর্মকর্তারা। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেয় সর্বস্তরের হাজার হাজার মুক্তিপাগল জনতা। বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম ধারণ করে সশস্ত্র সংগ্রামের রূপ। জাতির ঐ ক্রান্তিলগ্নে পাকিস্তানি শাসকদের স্বপ্ন নস্যাৎ ও তাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রয়োজন দেখা দেয় একটি সুসংগঠিত সশস্ত্র বাহিনীর। এর মাধ্যমেই স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে ও পাক-ভারত যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে।

 আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন মো. তারিকুল ইসলাম সিরাজী, ব্যবস্থাপক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ ফুলবাড়ী শাখা, মাওলানা মো.  তোহা, হজ মোয়াল্লেম, জনাব সাহাজুল ইসলাম, জনাব মানিক সরকার, জনাব এরশাদ হোসেন,  মো. আমিনুল ইসলাম, প্রধান উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মানিত লেফটেন্যান্ট মো. আব্দুল হান্নান।