ঢাকা ০৭:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষার্থীরা ঝড়ে পড়ার অনেক কারণ খুঁজে পেয়েছি: বিধান রঞ্জন

মোঃ মশিউর রহমান, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:১১:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ২৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, শিক্ষার্থীরা ঝড়ে পড়ার অনেকগুলো কারণ খুঁজে পেয়েছি। কোভিডের সময় আমাদের অনেক স্কুল বন্ধ ছিল পাশাপাশি কিছু কিছু অন্য ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু ছিল ফলে এটা একটা কারণ ছিল। আমরা ঝড়ে পড়ার আরেকটি কারণ দেখেছি যে অনেক গুলো জায়গা আছে যেখানে মা বাবারা চাকরি করে বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে যাওয়া আসার যে সময়টা প্রাইমারি স্কুলের সাথে তাদের সময় মিলে না। ফলে তারা অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দিয়ে দেন যেখানে বাচ্চাদের রাখার সুযোগ রয়েছে। এর বাইরে আরও কিছু সমস্যা রয়েছে আমাদের কোন কোন স্কুলগুলো ভালো চলে না। এমন একটা অভিযোগ আছে এটাও একটা কারন হয়তো। আরেকটি বিষয় হচ্ছে অনেক প্রাইভেট স্কুল আছে যেখানে তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্র সংগ্রহ করেন।

আমরা তো এখনও প্রকৌশলগত উন্নতি করি নাই ফলে এ সব অনেক গুলো কারণ আছে যে গুলো মিলে আল্টিমেটলি ফলাফল পান। যে সব বাচ্চারা ঝড়ে পড়ছে বিষয়টি আমরা জানি কি ভাবে তা রোধ করা যায় সে ব্যাপারে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) টাঙ্গাইল পৌর শহরের মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা আরও বলেন, এখনও আমাদের নদী ভাঙ্গণ কবলিত শিশুদের ক্ষেত্রে আলাদা কোন প্রকল্প নাই। নদী ভাঙ্গণে যে সব অঞ্চলগুলো পড়েছে সে সব এলাকার শিশুদের পরিসংখ্যান করার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিবো। নদী ভাঙ্গণ কবলিত এলাকার শিশুরা যাতে ঝড়ে না পড়ে সে লক্ষে কাজ করা হবে। যারা স্থানীয় মানুষজন আছেন তাদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতির বিকল্প সমাধান হতে পারে। সে জন্য প্রস্তাব দিতে এবং সে অনুযায়ী কি ব্যবস্থা নিতে পারি তা দেখা হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী, টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাহাব উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহেল রানা, মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা তসলিমা জাহানসহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।এর আগে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা টাঙ্গাইল পৌর শহরের মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। শিক্ষার্থীদের সাথে নানা বিষয় নিয়ে কথা বলে ক্লাস টেস্ট নেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

শিক্ষার্থীরা ঝড়ে পড়ার অনেক কারণ খুঁজে পেয়েছি: বিধান রঞ্জন

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:১১:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, শিক্ষার্থীরা ঝড়ে পড়ার অনেকগুলো কারণ খুঁজে পেয়েছি। কোভিডের সময় আমাদের অনেক স্কুল বন্ধ ছিল পাশাপাশি কিছু কিছু অন্য ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু ছিল ফলে এটা একটা কারণ ছিল। আমরা ঝড়ে পড়ার আরেকটি কারণ দেখেছি যে অনেক গুলো জায়গা আছে যেখানে মা বাবারা চাকরি করে বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে যাওয়া আসার যে সময়টা প্রাইমারি স্কুলের সাথে তাদের সময় মিলে না। ফলে তারা অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দিয়ে দেন যেখানে বাচ্চাদের রাখার সুযোগ রয়েছে। এর বাইরে আরও কিছু সমস্যা রয়েছে আমাদের কোন কোন স্কুলগুলো ভালো চলে না। এমন একটা অভিযোগ আছে এটাও একটা কারন হয়তো। আরেকটি বিষয় হচ্ছে অনেক প্রাইভেট স্কুল আছে যেখানে তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্র সংগ্রহ করেন।

আমরা তো এখনও প্রকৌশলগত উন্নতি করি নাই ফলে এ সব অনেক গুলো কারণ আছে যে গুলো মিলে আল্টিমেটলি ফলাফল পান। যে সব বাচ্চারা ঝড়ে পড়ছে বিষয়টি আমরা জানি কি ভাবে তা রোধ করা যায় সে ব্যাপারে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) টাঙ্গাইল পৌর শহরের মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা আরও বলেন, এখনও আমাদের নদী ভাঙ্গণ কবলিত শিশুদের ক্ষেত্রে আলাদা কোন প্রকল্প নাই। নদী ভাঙ্গণে যে সব অঞ্চলগুলো পড়েছে সে সব এলাকার শিশুদের পরিসংখ্যান করার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিবো। নদী ভাঙ্গণ কবলিত এলাকার শিশুরা যাতে ঝড়ে না পড়ে সে লক্ষে কাজ করা হবে। যারা স্থানীয় মানুষজন আছেন তাদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতির বিকল্প সমাধান হতে পারে। সে জন্য প্রস্তাব দিতে এবং সে অনুযায়ী কি ব্যবস্থা নিতে পারি তা দেখা হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী, টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাহাব উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহেল রানা, মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা তসলিমা জাহানসহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।এর আগে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা টাঙ্গাইল পৌর শহরের মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। শিক্ষার্থীদের সাথে নানা বিষয় নিয়ে কথা বলে ক্লাস টেস্ট নেন তিনি।