নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে ফুলবাড়ী উপজেলা প্রশাসনের মতবিনিময়
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৩৮:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ১০৫ বার পড়া হয়েছে
“আমি যেদিন থেকে জেলা প্রশাসকের দায়িত্বে চেয়ারে বসেছি,সেদিন থেকে জেলার জনগণের কাছে খাদেম হয়েছি, সেবক হয়েছি।আমার কাছে মানুষ স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার আলোকে সেবা চায়।আমার ১৩টি উপজেলার মানুষ যেন প্রশাসনের কাজে এসে প্রশাসকের কাছে সেবা না পেয়ে ফিরে না যায়। নিজ নিজ অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সব দায় দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন করতে হবে।”
নবাগত জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম ফুলবাড়ী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মতবিনিময় সভায় কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে উপরিউক্ত কথা বলেন।
তিনি বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর )দুপুরে ফুলবাড়ী উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন । মত বিনিময় সভায় সরকারি কর্মকর্তাসহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষক ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।এর আগে তিনি ফুলবাড়ী থানা, ভূমি অফিস,সুজাপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর মো.আল কামাহ তমাল ।
“কার চেয়ার উঁচু নিচু, কার গাড়ি ভালা /
কখনো চিন্তা করছো, সখিনাদের জ্বালা।”–
এসব প্রবাদের আলোকপাত করে তিনি বলেন,
জেলা প্রশাসকের কাজের নানান ক্ষেত্র রয়েছে। সরকারের উন্নয়ন ও সেবার কাজগুলো সমন্বয় সাধন করা এবং এগুলো আবার সরকারের উচ্চমহলে অবহিত করা। রাজস্ব আদায়েও আমরা কাজ করে থাকি। রাজস্ব আয় থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়েই সরকার উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও সেবা প্রদানের ব্যয় নির্বাহ করে থাকে। তাই অভ্যন্তরীণ রাজস্ব ব্যবস্থা সুসংহত করার মাধ্যমে অর্থনীতির চাকা সচল রাখার পাশাপাশি সরকারি ব্যয় নির্বাহ ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা আনতে কাজ করতে হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মশিউর রহমান, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম খন্দকার মুহিব্বুল, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রুম্মান আক্তার, মো.আতিকুর রহমান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত), মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নূর আলম, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা,সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আখতারুজ্জামান, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, মৎস্য অফিসার রাশেদা আক্তার, আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা রিতা রায়, বরেন্দ্র বহুমুখী প্রকল্প কর্মকর্তা, উপজেলা আইসিটি অফিসার, সমবায় অফিসার মাজহারুল ইসলামসহ বিভিন্ন দপ্তর প্রধান, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী সহ বিভিন শ্রেণি পেশার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)র উদ্দেশ্যে বলেন, থানার ভেতরে ওসি সাহেবের সাথে যতটা না স্থানীয় জনগণের দেখা হবে, তার থেকে বেশি দেখা হবে হাটে মাঠে-ঘাটে স্কুল কলেজে,হাসপাতালে । সেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে।
এ সময় বক্তারা এলাকায় তীব্র যানজট, ইজিবাইক/ টেম্পু স্ট্যান্ড, রিক্সা স্ট্যান্ড করা , শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অভিযান পরিচালনা করা,শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মুখী করা, প্রাইভেট টিউশনি কোচিং সেন্টার, গাইড বই থেকে শিক্ষার্থীদের নিবৃত করা, কানাহার কবরস্থানের গাইডওয়াল নির্মাণ, দিনাজপুর ফুলবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে শিল্প কারখানার বর্জ্য এবং ছাই নির্মূল করা, মাদকের ছড়াছড়ি বিষয়ে জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। তিনি এলাকার সমস্যা গুলো সমন্বিত চেষ্টার মাধ্যমে সমাধান করা হবে। সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে। পর্যায় ক্রমে সব ঠিক হয়ে যাবে।