ঢাকা ১২:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাবনায় স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী-শ্বশুর-শাশুড়ি পলাতক

পাবনা প্রতিনিধি 
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:৩৬:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪ ৩৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পাবনার ঈশ্বরদীতে সামি হোসেনের বিরুদ্ধে স্ত্রী সুম্মা খাতুনকে (১৮) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তাঁর লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে।

সুম্মার শ্বশুরবাড়ির লোকজন বলছেন, পারিবারিক কলহের কারণে সুম্মা আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার সকালে লাশ উদ্ধারের পর থেকে স্বামী সামি হোসেন ও তাঁর বাবা-মা পালিয়ে গেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঈশ্বরদী থানার উপপরিদর্শক এসআই আ. হাই।

দাশুড়িয়ার ডিগ্রিপাড়া গ্রামের মুন্না শেখের মেয়ে সুম্মা খাতুনের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী গ্রাম ভবানীপুরের সামি হোসেনের দেড় বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে ৩ মাসের কন্যাসন্তান রয়েছে। পারিবারিক দৈন্য নিয়ে মঙ্গলবার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। 

এ নিয়ে মধ্যরাতে সুম্মাকে শারীরিক নির্যাতন করেন সামি। এক পর্যায়ে সুম্মা মারা গেলে ঘরে লাশ ফেলে পালিয়ে যান তিনি। পরে তাঁর বাবা-মাও বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ঘর থেকে লাশ উদ্ধার করে। 

সুম্মার বাবা মুন্না শেখ বলেন, তাঁর মেয়েকে স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি মিলে হত্যা করে ঘরে লাশ ফেলে পালিয়ে গেছেন। 

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

পাবনায় স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী-শ্বশুর-শাশুড়ি পলাতক

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:৩৬:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

পাবনার ঈশ্বরদীতে সামি হোসেনের বিরুদ্ধে স্ত্রী সুম্মা খাতুনকে (১৮) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তাঁর লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে।

সুম্মার শ্বশুরবাড়ির লোকজন বলছেন, পারিবারিক কলহের কারণে সুম্মা আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার সকালে লাশ উদ্ধারের পর থেকে স্বামী সামি হোসেন ও তাঁর বাবা-মা পালিয়ে গেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঈশ্বরদী থানার উপপরিদর্শক এসআই আ. হাই।

দাশুড়িয়ার ডিগ্রিপাড়া গ্রামের মুন্না শেখের মেয়ে সুম্মা খাতুনের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী গ্রাম ভবানীপুরের সামি হোসেনের দেড় বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে ৩ মাসের কন্যাসন্তান রয়েছে। পারিবারিক দৈন্য নিয়ে মঙ্গলবার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। 

এ নিয়ে মধ্যরাতে সুম্মাকে শারীরিক নির্যাতন করেন সামি। এক পর্যায়ে সুম্মা মারা গেলে ঘরে লাশ ফেলে পালিয়ে যান তিনি। পরে তাঁর বাবা-মাও বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ঘর থেকে লাশ উদ্ধার করে। 

সুম্মার বাবা মুন্না শেখ বলেন, তাঁর মেয়েকে স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি মিলে হত্যা করে ঘরে লাশ ফেলে পালিয়ে গেছেন। 

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।