ঢাকা ০৭:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনে পুরো ক্ষমতা চায় ইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:৩৪:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪ ৫৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচনী আইন প্রয়োগের পুরোপুরি ক্ষমতা চায়। ইসি কর্মকর্তারা নির্বাচনের সময় যেন বাধাগ্রস্ত না হন এবং কেউ যেন হস্তক্ষেপ করতে না পারেন সেই সুপারিশ করা হয়েছে।

বুধবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচনীব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সাথে মতবিনিময়কালে এ প্রস্তাব দেন নির্বাচন কমিশন সচিব শফিউল আজিমের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদল।

সভা শেষে ইসি সচিব শফিউল আজিম সাংবাদিকদের বলেন, একটা হাই-প্রফাইল সংস্কার কমিশন এখানে কাজ করছে। এ জন্য সম্মান বোধ করছি। আমরা সহায়তা দেয়ার জন্য চেষ্টা করছি। কারণ এটা আমাদের অঙ্গীকার। সংবিধানেরও অঙ্গীকার হলো গণপ্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা।

তিনি আরও বলেন, মনে রাখতে হবে এটা সংস্কার করা। এখানে অনেকগুলো ভালো জিনিস রয়েছে। কিন্তু কোনো কোনো ক্ষেত্রে যে দুর্বলতা রয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছি। মাঠের অভিজ্ঞতা থেকে গণমাধ্যমসহ অংশীজনের কী অভিজ্ঞতা আছে, আমরা সেগুলো নিয়েও আলোচনা করেছি। হস্তক্ষেপ কোথা থেকে কীভাবে হয় এবং আইনগত কর্তৃত্বের বাইরে নির্বাচনকে কেউ হস্তক্ষেপ করে, এগুলো নিয়ে আমরা খোলামেলা আলোচনা করেছি।

তিনি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং সর্বজন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য যা যা করা দরকার সেসব সুপারিশ আমরা করেছি। আশাকরি, কমিশন যদি সদয় হয়, আমরা আমাদের সুপারিশগুলো আরো কংক্রিট আকারে দিতে পারব।

সচিব বলেন, নির্বাচন কমিশন তো নির্বাচন একা করে না। সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রের সমস্ত অর্গান নির্বাচন কমিশনের অধীনে কাজ করে এবং নির্বাচন কমিশনকে যে ক্ষমতা দেয়া আছে সংবিধান ও আইনে সেই ক্ষমতা যেন পুরোপুরি প্রয়োগ করা যায়, আইনের প্রয়োগ কিন্তু পুরোপুরি হয় না। আইনের প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে যাতে নির্বাচন কমিশন, নির্বাচন কমিশনাররা, নির্বাচন কর্মকর্তারা কোনো ধরনের কোনো কর্তৃপক্ষ দ্বারা বাধাগ্রস্ত না হন, অন্য কেউ যাতে এখানে হস্তক্ষেপ করতে না পারে, আমাদের সেই সুপারিশ আছে।

তিনি বলেন, নির্বাচন পরবর্তী সময়ে অন্য কোথাও যাতে চলে যেতে না পারে, সেই সুযোগ যেন না থাকে। অর্থাৎ নির্বাচনের সময় কোনো কুকর্ম করে থাকলে পরবর্তীতেও যেন বিচার করা যায়, সেই ক্ষমতা যেন ইসির থাকবে, সেই সুপারিশও করেছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

নির্বাচনে পুরো ক্ষমতা চায় ইসি

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:৩৪:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচনী আইন প্রয়োগের পুরোপুরি ক্ষমতা চায়। ইসি কর্মকর্তারা নির্বাচনের সময় যেন বাধাগ্রস্ত না হন এবং কেউ যেন হস্তক্ষেপ করতে না পারেন সেই সুপারিশ করা হয়েছে।

বুধবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচনীব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সাথে মতবিনিময়কালে এ প্রস্তাব দেন নির্বাচন কমিশন সচিব শফিউল আজিমের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদল।

সভা শেষে ইসি সচিব শফিউল আজিম সাংবাদিকদের বলেন, একটা হাই-প্রফাইল সংস্কার কমিশন এখানে কাজ করছে। এ জন্য সম্মান বোধ করছি। আমরা সহায়তা দেয়ার জন্য চেষ্টা করছি। কারণ এটা আমাদের অঙ্গীকার। সংবিধানেরও অঙ্গীকার হলো গণপ্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা।

তিনি আরও বলেন, মনে রাখতে হবে এটা সংস্কার করা। এখানে অনেকগুলো ভালো জিনিস রয়েছে। কিন্তু কোনো কোনো ক্ষেত্রে যে দুর্বলতা রয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছি। মাঠের অভিজ্ঞতা থেকে গণমাধ্যমসহ অংশীজনের কী অভিজ্ঞতা আছে, আমরা সেগুলো নিয়েও আলোচনা করেছি। হস্তক্ষেপ কোথা থেকে কীভাবে হয় এবং আইনগত কর্তৃত্বের বাইরে নির্বাচনকে কেউ হস্তক্ষেপ করে, এগুলো নিয়ে আমরা খোলামেলা আলোচনা করেছি।

তিনি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং সর্বজন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য যা যা করা দরকার সেসব সুপারিশ আমরা করেছি। আশাকরি, কমিশন যদি সদয় হয়, আমরা আমাদের সুপারিশগুলো আরো কংক্রিট আকারে দিতে পারব।

সচিব বলেন, নির্বাচন কমিশন তো নির্বাচন একা করে না। সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রের সমস্ত অর্গান নির্বাচন কমিশনের অধীনে কাজ করে এবং নির্বাচন কমিশনকে যে ক্ষমতা দেয়া আছে সংবিধান ও আইনে সেই ক্ষমতা যেন পুরোপুরি প্রয়োগ করা যায়, আইনের প্রয়োগ কিন্তু পুরোপুরি হয় না। আইনের প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে যাতে নির্বাচন কমিশন, নির্বাচন কমিশনাররা, নির্বাচন কর্মকর্তারা কোনো ধরনের কোনো কর্তৃপক্ষ দ্বারা বাধাগ্রস্ত না হন, অন্য কেউ যাতে এখানে হস্তক্ষেপ করতে না পারে, আমাদের সেই সুপারিশ আছে।

তিনি বলেন, নির্বাচন পরবর্তী সময়ে অন্য কোথাও যাতে চলে যেতে না পারে, সেই সুযোগ যেন না থাকে। অর্থাৎ নির্বাচনের সময় কোনো কুকর্ম করে থাকলে পরবর্তীতেও যেন বিচার করা যায়, সেই ক্ষমতা যেন ইসির থাকবে, সেই সুপারিশও করেছি।