ঢাকা ০৭:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উত্তপ্ত মণিপুর, শান্তি ফেরাতে কারফিউ

বাংলা টাইমস ডেস্ক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৪:৫৯:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪ ৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভারতের মণিপুরে আবারও ছড়িয়েছে উত্তপ্ত। রাজ্যে দ্রুত ‘শান্তি’ ফেরাতে এরমধ্যে জারি করা হয়েছে এলাকা ভেদে কারফিউ। দাবি উঠেছে সশস্ত্র জঙ্গিগোষ্ঠীদের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার। এছাড়াও এন বীরেন সিংহের সরকারকে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিল মেইতেই সম্প্রদায়।

রোববার (১৭ নভেম্বর) এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, জিরিবাম জেলায় ছ’জনের অপহরণ এবং হত্যার বিচার চেয়ে মূলত রাজ্যটিতে প্রতিবাদ শুরু হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার রাতে এই প্রতিবাদ বিক্ষোভ পৌঁছে যায় মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে। এই সময় রাজ্যের দুই মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্যের বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ পাওয়া যায়। পরে নিরাপত্তারক্ষীরা কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

গত কয়েক দিনে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মণিপুর। জিরিবাম, পশ্চিম ইম্ফল, বিষ্ণুপুর-সহ একাধিক জেলায় সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যজুড়ে ছ’টি থানা এলাকায় নতুন করে চালু করা হয় ‘সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন’।

মণিপুরের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, শুক্রবার জিরিবামের একটি নদী থেকে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। অন্য তিনজনের লাশ শনিবার পাওয়া গেছে। নিহতদের তিনজন নারী ও বাকি তিনজন শিশু।

ধারণা করা হচ্ছে লাশগুলো মেইতেই সম্প্রদায়ের। গত সপ্তাহে জিরিবাম জেলায় মণিপুর পুলিশ ও কুকি বিদ্রোহীদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ হয়। ওই ঘটনার পর থেকে তারা নিখোঁজ ছিলেন।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, সহিংসতার কারণে গত বছর কয়েক মাস মণিপুরে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল। ওই সময় অন্তত ৬০ হাজার মানুষ গৃহহীন হন। তবে বেসরকারি পরিসংখ্যান বলছে, এই সংখ্যা আরো বেশি।

নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার মণিপুরের জাতিগত দাঙ্গা লাগাম টেনে ধরতে পারছে না। যা নিরাপত্তার জন্য আঞ্চলিক ঝুঁকি বাড়িয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

উত্তপ্ত মণিপুর, শান্তি ফেরাতে কারফিউ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৪:৫৯:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

ভারতের মণিপুরে আবারও ছড়িয়েছে উত্তপ্ত। রাজ্যে দ্রুত ‘শান্তি’ ফেরাতে এরমধ্যে জারি করা হয়েছে এলাকা ভেদে কারফিউ। দাবি উঠেছে সশস্ত্র জঙ্গিগোষ্ঠীদের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার। এছাড়াও এন বীরেন সিংহের সরকারকে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিল মেইতেই সম্প্রদায়।

রোববার (১৭ নভেম্বর) এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, জিরিবাম জেলায় ছ’জনের অপহরণ এবং হত্যার বিচার চেয়ে মূলত রাজ্যটিতে প্রতিবাদ শুরু হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার রাতে এই প্রতিবাদ বিক্ষোভ পৌঁছে যায় মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে। এই সময় রাজ্যের দুই মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্যের বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ পাওয়া যায়। পরে নিরাপত্তারক্ষীরা কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

গত কয়েক দিনে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মণিপুর। জিরিবাম, পশ্চিম ইম্ফল, বিষ্ণুপুর-সহ একাধিক জেলায় সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যজুড়ে ছ’টি থানা এলাকায় নতুন করে চালু করা হয় ‘সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন’।

মণিপুরের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, শুক্রবার জিরিবামের একটি নদী থেকে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। অন্য তিনজনের লাশ শনিবার পাওয়া গেছে। নিহতদের তিনজন নারী ও বাকি তিনজন শিশু।

ধারণা করা হচ্ছে লাশগুলো মেইতেই সম্প্রদায়ের। গত সপ্তাহে জিরিবাম জেলায় মণিপুর পুলিশ ও কুকি বিদ্রোহীদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ হয়। ওই ঘটনার পর থেকে তারা নিখোঁজ ছিলেন।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, সহিংসতার কারণে গত বছর কয়েক মাস মণিপুরে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল। ওই সময় অন্তত ৬০ হাজার মানুষ গৃহহীন হন। তবে বেসরকারি পরিসংখ্যান বলছে, এই সংখ্যা আরো বেশি।

নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার মণিপুরের জাতিগত দাঙ্গা লাগাম টেনে ধরতে পারছে না। যা নিরাপত্তার জন্য আঞ্চলিক ঝুঁকি বাড়িয়েছে।