সুন্দরবনে চলছে শতবছরের রাস উৎসব
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:৩৮:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪ ২৯ বার পড়া হয়েছে
সুন্দরবনের দুবলার চরের আলোরকোলে অস্থায়ী মন্দিরে বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পূজা অর্চণার মধ্যে দিয়ে চলছে তিন দিনের রাস উৎসব। শনিবার ভোরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সাগরের প্রথম জোয়ারের নোনা জলে পুণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে শেষ হবে সনাতন ধর্মালম্বিদের এই মিলন মেলা।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের্ াচাঁদপাই রেঞ্জে শত বছর ধরে চলা আসা এই রাস পূর্ন¯œান প্রতিবছর নভেম্বর মাসের পূর্ণিমার তিথিতে পালিত হয়ে আসছে। এবারও বনবিভাগ ও রাস উৎসব উদযাপন কমিটির সহযোগিতায় সুন্দরবনের্ াচাঁদপাই রেঞ্জে দুবলার চরের আলোরকোলে রাস পূজার জন্য অস্থায়ী রাস মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত রাস উৎসবে যোগ দিতে সুন্দরবনের পাঁটি নৌপথ ব্যবহার করে প্রায় ৩০ হাজার পূণ্যার্থী পৌঁছে গেছে দুবলার চরের আলোরকোলে। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এই পূণ্যার্থীর সংখ্যা এবার অর্ধলাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে আসা করছেন সুন্দরবন রাস উৎসব উদযাপন কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে অস্থায়ী রাস মন্দির সনাতন পূণ্যার্থীর মনোবাসনা পুরণের আশায় পুজা-আর্চনা করেছেন।
সুন্দরবন বিভাগ জানায়, বঙ্গোপসাগগ উপকূলে জনবিচ্ছিন্ন দ্বীপ দুবলার চরের আলোরকোলে ১৯২৩ সাল থেকে শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের অনুসারী হরিভজন সাধু প্রথমে রাস পূজা ও পূর্ন¯œান শুরু করেন। দুই যুগেরও অধিককাল সুন্দরবনে থেকে ফলমূল খেয়ে বেঁচে ছিলেন এই সাধু। ওই সময় থেকে সনাতন ধর্মের লোকেরা প্রতিবছর রাস পূর্ণিমা তিথীতে পুজা ও পূর্ন¯œানের পালনে ছুটে যায় দুর্গম বনে। সুন্দরবনের এই রাস পুজা ও পূর্ন¯œানের ধীরে ধীরে রাস মেলায় পরিনত হয়। কালের বিবর্তনে এই রাস মেলায় পূণ্যার্থী ও দেশি-বিদেশি দর্শনার্থী মিলে লক্ষাধিক মানুষের উৎসবে পরিনত হয়। ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইডে এতো লোকের আনাগোনা ও বাদ্যবাজনায় সংরক্ষিত বনের পরিবেশ-প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের উপর বিরূপ প্রভাব পড়তে থাকায় ২০২১ সাল থেকে রাস মেলা বন্ধ করে দেয়া হয়।
তবে, রাস পুজা ও পূর্ন¯œান পালনে শুধুমাত্র সনাতন ধর্মলম্বীদের যাবার অনুমতি দেয় বন বিভাগ। এবছরও একই ভাবে রাস উৎসব হচ্ছে।
বাগেরহাট পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মো. নূরুল করিম এতথ্যূ নিশ্চিত করে জানান, রাস উৎসবে পূণ্যার্থীদের নিরাপত্তা, হরিণ শিকারিসহ অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বনরক্ষী, পুলিশ, নৌপুলিশ, র্যাব, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সমন্ময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে।