গোবিন্দগঞ্জে শত্রুতায় দু’জনকে কুপিয়ে জখম
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৩৮:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪ ৩ বার পড়া হয়েছে
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুইজনকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। আহত একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের উত্তর পান্তাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, ওই এলাকার মৃত জরিপ উল্ল্যাহর ছেলে রেজাউল করিম (৫৫) এবং তার ছেলে আনোয়ার হোসেন (২৫)। বর্তমানে গুরুতর আহত আনোয়ার হোসেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, রেজাউল করিম ও অভিযুক্তরা প্রতিবেশী হওয়ার পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে নানা সময়ে হুমকি, মারপিট ও হত্যার ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিল। গতকাল মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে একই এলাকার মৃত মছেন আলীর ছেলে মনিরুল ইসলাম (৪৫), তার দুই ছেলে রাজু মিয়া (২২) ও তাজু মিয়া (৩০), মৃত নাছির উদ্দিনের ছেলে আম্বু মিয়া (৬০), মনিরুল ইসলামের স্ত্রী আঞ্জু বেগম (৩৮) সহ ৫/৭ জন অজ্ঞাত মিলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে লাঠি, লোহার রড, ধারালো ছোরা, হাসুয়া ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রেজাউলের বসতবাড়িতে অনুপ্রবেশ করে অতর্কিতভাবে তাকে এলোপাথাড়ি মারপিট করতে থাকে। তখন রেজাউলের ছেলে আনোয়ার এসে নিজের পিতাকে রক্ষার চেষ্টা করলে আম্বু মিয়ার হুকুমে মনিরুল ইসলামের হাতে থাকা ধারালো ছোরা দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে তার মাথায় চোট দিলে ডান চোখের উপরে ভ্রু ও চোখের নিচে গুরুতর জখম করে। সেখানে পরবর্তীতে দুই জায়গায় মোট ৮টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। সেই সুযোগে রাজু মিয়া এসে রেজাউলের গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। অপর অভিযুক্তরা মিলে রেজাউল ও তার ছেলে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে জখম করে। অজ্ঞাত ৫/৭ জন অভিযুক্ত মিলে এই ঘটনায় অভিযুক্তদের সহযোগিতা করেছে। এই মারপিটের সময় পিতা-পুত্রের চিৎকারে পাড়াপ্রতিবেশিরা এসে তাদের উদ্ধার করে। তখন অভিযুক্তরা বাধ্য হয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সময় আবারও তাদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে উপস্থিত লোকজন তাদের অটোভ্যান যোগে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম জানান, ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মারামারি ঘটনায় রেজাউল করিম বাদী হয়ে থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। মামলাটি বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।