ঢাকা ০১:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভাবীকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে তিনজন কুপিয়ে জখম

মাহবুব বিশ্বাস, বরগুনা
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:৪৫:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪ ৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভাবীকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে দেবর শহীদুল ইসলাম তিনজনকে কুপিয়ে জখম করেছে বলে অভিযোগ পায়ো গেছে। স্বজনরা আহতদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। ওই রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেছেন। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার নাচনাপাড়া গ্রামে বৃহস্পতিবার রাতে।

জানা গেছে, উপজেলার নাচনাপাড়া গ্রামের এ নারীকে গত ছয় মাস ধরে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু তার কু-প্রস্তাবে ভাবী রাজি হয়নি। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাতে ভাবীকে ঘরে একা পেয়ে শহীদুল ইসলাম ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় ভাবী ডাক চিৎকার দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ভাবীকে শহীদুল ইসলাম দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। তাকে রক্ষায় তার ননদ (৪৫) ও মেয়ে (২১) এগিয়ে আসলে তাদেরও কুপিয়ে জখম করে। পরে দেবর শহীদুল ইসলাম পালিয়ে যায়। স্বজনরা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আহত ভাবী অভিযোগ করে বলেন, দেবর শহিদুল ইসলাম গত ছয় মাস ধরে আমাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু আমি তার কথায় রাজি হয়নি। বৃহস্পতিবার রাতে আমাকে ঘরে একা পেয়ে দেবর শহীদুল ইসলাম ঝাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় আমি ডাক চিৎকার দিলে আমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। আমাকে রক্ষায় আমার ননদ ও মেয়ে এগিয়ে আসলে তাদেরও কুপিয়ে জখম করেছে। আমি এ ঘটনার শাস্তি দাবী করছি।

অভিযুক্ত শহীদুল ইসলাম ভাবী, ভাইজি ও বোনকে কুপিয়ে জখমের কথা স্বীকার করে বলেন, আমি আমার ভাবীকে কুপ্রস্তাব দেয়নি। আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছেন।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মনিরুজ্জামান বলেন, আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, তাদের হাত, মাথা ও পিঠে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহৃ রয়েছে।

আমতলী থানার ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ভাবীকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে তিনজন কুপিয়ে জখম

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:৪৫:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪

ভাবীকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে দেবর শহীদুল ইসলাম তিনজনকে কুপিয়ে জখম করেছে বলে অভিযোগ পায়ো গেছে। স্বজনরা আহতদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। ওই রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেছেন। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার নাচনাপাড়া গ্রামে বৃহস্পতিবার রাতে।

জানা গেছে, উপজেলার নাচনাপাড়া গ্রামের এ নারীকে গত ছয় মাস ধরে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু তার কু-প্রস্তাবে ভাবী রাজি হয়নি। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাতে ভাবীকে ঘরে একা পেয়ে শহীদুল ইসলাম ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় ভাবী ডাক চিৎকার দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ভাবীকে শহীদুল ইসলাম দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। তাকে রক্ষায় তার ননদ (৪৫) ও মেয়ে (২১) এগিয়ে আসলে তাদেরও কুপিয়ে জখম করে। পরে দেবর শহীদুল ইসলাম পালিয়ে যায়। স্বজনরা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আহত ভাবী অভিযোগ করে বলেন, দেবর শহিদুল ইসলাম গত ছয় মাস ধরে আমাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু আমি তার কথায় রাজি হয়নি। বৃহস্পতিবার রাতে আমাকে ঘরে একা পেয়ে দেবর শহীদুল ইসলাম ঝাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় আমি ডাক চিৎকার দিলে আমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। আমাকে রক্ষায় আমার ননদ ও মেয়ে এগিয়ে আসলে তাদেরও কুপিয়ে জখম করেছে। আমি এ ঘটনার শাস্তি দাবী করছি।

অভিযুক্ত শহীদুল ইসলাম ভাবী, ভাইজি ও বোনকে কুপিয়ে জখমের কথা স্বীকার করে বলেন, আমি আমার ভাবীকে কুপ্রস্তাব দেয়নি। আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছেন।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মনিরুজ্জামান বলেন, আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, তাদের হাত, মাথা ও পিঠে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহৃ রয়েছে।

আমতলী থানার ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।