ঢাকা ০৭:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোয়াইনঘাটে টিকাদান ক্যাম্পেইন কর্মসূচির কার্যক্রম পরিদর্শন

সৈয়দ হেলাল আহমদ বাদশা, গোয়াইনঘাট (সিলেট)
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:১৬:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪ ৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সিলেট জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে দেশব্যাপী হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকাদান ক্যাম্পেইন (চূড়ান্ত পর্যায়) শুরু করেছে বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকার।সেই ধারাবাহিকতা অনুসারে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় টিকা দান ক্যাম্পেইন কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নে জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে, টিকা গ্রহনে উৎসাহিত করণ ও টিকা দান ক্যাম্পেইন কর্মসূচির কার্যক্রম পরিদর্শন করেন,বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিভাগীয় প্রধান ও সিলেট ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ জন্মেজয় দত্ত।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সূত্রে জানা যায়,গোয়াইনঘাট উপজেলায়।মোট বিশহাজার একশত ৪৬ জন মেয়েকে জরায়ু মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধের টিকা প্রদান করা হবে।

এর মধ্যে স্কুল ও মাদ্রাসা পর্যায়ে পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত ১৮ হাজার ৭৩৪ জন ও যারা লেখাপড়া করে না, তাদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ১০-১৪ বছর বয়সী মেয়েদেরকে কমিউনিটি পর্যায়ে ১৪শত ১২ জনকে টিকা দেওয়া হবে। গতকাল পর্যন্ত টিকা প্রদান করা হয়েছে,৬,২৫১ জনকে।

এছাড়া প্রম দুই সপ্তাহ স্কুল ও মাদ্রাসা পর্যায়ে এবং দ্বিতীয় দুই সপ্তাহ বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে কমিউনিটি পর্যায়ে টিকা দান কর্মসূচি চলবে।

পরিদর্শন কালে সাথে ছিলেন,বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সিলেট ডিভিশনাল কো-অডিনেটর ডাক্তার সুফি মোঃ খালিদ বিন লুৎফুর,গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্হ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার কিশলয় সাহা।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কিশলয় সাহা বলেন,টিকা গ্রহণ করে পাঁছ থেকে ছয় জন কিছুটা অসুস্থ হয়েছিল।প্রাথমিক চিকিৎসায় তারা সেরে উঠেছে।তবে ২-৩ জন অন্য কারণে অসুস্থ হয়েছে।টিকাদান কর্মসূচির টার্গেট ফিলাপ করতে আমাদের সকলকে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে এগিয়ে আসতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিভাগীয় প্রধান ও সিলেট ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ জন্মেজয় দত্ত বলেন,জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধের টিকা, উন্নত মানের বেলজিয়াম (জি এস কে) কোম্পানির।যেখানে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার তেমন একটা সম্ভাবনা নাই। টিকা গ্রহণের পর শরীরে ব্যথা ও হালকা জ্বর হতে পারে।প্রাথমিক চিকিৎসা সেটা সেরে উঠবে।সেখানে ভয়ের কোন কারণ নেই। অনেকে ভয়ের কারণে টিকা নিতে অনিহা প্রকাশ করছেন।টিকা গ্রহণে তাদের সামাজিকভাবে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।কোন প্রকার গুজব না ছাড়ানোর জন্য আহ্বান জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

গোয়াইনঘাটে টিকাদান ক্যাম্পেইন কর্মসূচির কার্যক্রম পরিদর্শন

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:১৬:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

সিলেট জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে দেশব্যাপী হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকাদান ক্যাম্পেইন (চূড়ান্ত পর্যায়) শুরু করেছে বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকার।সেই ধারাবাহিকতা অনুসারে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় টিকা দান ক্যাম্পেইন কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নে জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে, টিকা গ্রহনে উৎসাহিত করণ ও টিকা দান ক্যাম্পেইন কর্মসূচির কার্যক্রম পরিদর্শন করেন,বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিভাগীয় প্রধান ও সিলেট ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ জন্মেজয় দত্ত।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সূত্রে জানা যায়,গোয়াইনঘাট উপজেলায়।মোট বিশহাজার একশত ৪৬ জন মেয়েকে জরায়ু মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধের টিকা প্রদান করা হবে।

এর মধ্যে স্কুল ও মাদ্রাসা পর্যায়ে পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত ১৮ হাজার ৭৩৪ জন ও যারা লেখাপড়া করে না, তাদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ১০-১৪ বছর বয়সী মেয়েদেরকে কমিউনিটি পর্যায়ে ১৪শত ১২ জনকে টিকা দেওয়া হবে। গতকাল পর্যন্ত টিকা প্রদান করা হয়েছে,৬,২৫১ জনকে।

এছাড়া প্রম দুই সপ্তাহ স্কুল ও মাদ্রাসা পর্যায়ে এবং দ্বিতীয় দুই সপ্তাহ বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে কমিউনিটি পর্যায়ে টিকা দান কর্মসূচি চলবে।

পরিদর্শন কালে সাথে ছিলেন,বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সিলেট ডিভিশনাল কো-অডিনেটর ডাক্তার সুফি মোঃ খালিদ বিন লুৎফুর,গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্হ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার কিশলয় সাহা।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কিশলয় সাহা বলেন,টিকা গ্রহণ করে পাঁছ থেকে ছয় জন কিছুটা অসুস্থ হয়েছিল।প্রাথমিক চিকিৎসায় তারা সেরে উঠেছে।তবে ২-৩ জন অন্য কারণে অসুস্থ হয়েছে।টিকাদান কর্মসূচির টার্গেট ফিলাপ করতে আমাদের সকলকে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে এগিয়ে আসতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিভাগীয় প্রধান ও সিলেট ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ জন্মেজয় দত্ত বলেন,জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধের টিকা, উন্নত মানের বেলজিয়াম (জি এস কে) কোম্পানির।যেখানে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার তেমন একটা সম্ভাবনা নাই। টিকা গ্রহণের পর শরীরে ব্যথা ও হালকা জ্বর হতে পারে।প্রাথমিক চিকিৎসা সেটা সেরে উঠবে।সেখানে ভয়ের কোন কারণ নেই। অনেকে ভয়ের কারণে টিকা নিতে অনিহা প্রকাশ করছেন।টিকা গ্রহণে তাদের সামাজিকভাবে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।কোন প্রকার গুজব না ছাড়ানোর জন্য আহ্বান জানান তিনি।