ঢাকা ১০:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৮০-তে পা রাখলেন খালেদা জিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:১২:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪ ৩৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ৭৯তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৫ আগস্ট ৮০ বছরে পা রাখলেন তিনি। এবারের জন্মদিন এমন এক সময় উদযাপিত হচ্ছে যখন বিগত পতিত সরকারের রাজনৈতিক জিঘাংসায় পড়ে সাড়ে ৬ বছর ধরে অন্যায় বিচারে বিনাচিকিৎসায় গুরুতর অসুস্থ তিনি। গণ অভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর বন্দী জীবন থেকে ৯ দিন আগে মুক্তি পেয়েছেন বেগম জিয়া।

১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট দিনাজপুরের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এই নেত্রী। তার মা চন্দনবাড়ির মেয়ে তৈয়বা মজুমদার আর পিতা ফেনীর ফুলগাজির ইস্কান্দার মজুমদার। দিনাজপুরে সুরেন্দ্রনাথ কলেজে পড়ার সময় তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন জিয়াউর রহমানের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। জিয়া-খালেদা দম্পতির দুই সন্তান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পিনু আর মরহুম আরাফাত রহমান কোকো।

১৯৮১ সালের ৩১ মে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান কিছু বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে শাহাদাত বরণ করেন। ততদিন অবধি সাধারণ আটপৌরে গৃহবধূই ছিলেন খালেদা জিয়। শেষাবধি দলের নেতা-কর্মীদের দাবির প্রেক্ষিতে ঘরের চৌহদ্দি ডিঙ্গিয়ে নামেন রাজপথে।

খালেদা জিয়া ১৯৮২ সালের ৩ জানুয়ারি দলের প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণ করেন। ১৯৮৪ সালের ১০ মে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিএনপি চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন খালেদা জিয়া। ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকায় তিনি আপোসহীন নেত্রী হিসাবে পরিচিত হয়ে ওঠেন। বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রীর গৌরবে অভিষিক্ত হন বেগম জিয়া। তিনবার সর্বাধিক ভোটে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন তিনি।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বেগম খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় মাত্র দুই কোটি টাকার সাজানো মামলার ফরমায়েশী রায়ে কারারুদ্ধ করে শেখ হাসিনার সরকার। ২০২০ সালে করোনাকালে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে গুলশানে ভাড়া বাসায় এনে বন্দী রাখা হয় খালেদা জিয়াকে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার সুপারিশ করলেও বার বার পরিবারের পক্ষ থেকে করা আবেদন শেখ হাসিনার সরকার নাকচ করে দেয়া হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

৮০-তে পা রাখলেন খালেদা জিয়া

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:১২:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪

তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ৭৯তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৫ আগস্ট ৮০ বছরে পা রাখলেন তিনি। এবারের জন্মদিন এমন এক সময় উদযাপিত হচ্ছে যখন বিগত পতিত সরকারের রাজনৈতিক জিঘাংসায় পড়ে সাড়ে ৬ বছর ধরে অন্যায় বিচারে বিনাচিকিৎসায় গুরুতর অসুস্থ তিনি। গণ অভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর বন্দী জীবন থেকে ৯ দিন আগে মুক্তি পেয়েছেন বেগম জিয়া।

১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট দিনাজপুরের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এই নেত্রী। তার মা চন্দনবাড়ির মেয়ে তৈয়বা মজুমদার আর পিতা ফেনীর ফুলগাজির ইস্কান্দার মজুমদার। দিনাজপুরে সুরেন্দ্রনাথ কলেজে পড়ার সময় তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন জিয়াউর রহমানের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। জিয়া-খালেদা দম্পতির দুই সন্তান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পিনু আর মরহুম আরাফাত রহমান কোকো।

১৯৮১ সালের ৩১ মে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান কিছু বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে শাহাদাত বরণ করেন। ততদিন অবধি সাধারণ আটপৌরে গৃহবধূই ছিলেন খালেদা জিয়। শেষাবধি দলের নেতা-কর্মীদের দাবির প্রেক্ষিতে ঘরের চৌহদ্দি ডিঙ্গিয়ে নামেন রাজপথে।

খালেদা জিয়া ১৯৮২ সালের ৩ জানুয়ারি দলের প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণ করেন। ১৯৮৪ সালের ১০ মে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিএনপি চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন খালেদা জিয়া। ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকায় তিনি আপোসহীন নেত্রী হিসাবে পরিচিত হয়ে ওঠেন। বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রীর গৌরবে অভিষিক্ত হন বেগম জিয়া। তিনবার সর্বাধিক ভোটে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন তিনি।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বেগম খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় মাত্র দুই কোটি টাকার সাজানো মামলার ফরমায়েশী রায়ে কারারুদ্ধ করে শেখ হাসিনার সরকার। ২০২০ সালে করোনাকালে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে গুলশানে ভাড়া বাসায় এনে বন্দী রাখা হয় খালেদা জিয়াকে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার সুপারিশ করলেও বার বার পরিবারের পক্ষ থেকে করা আবেদন শেখ হাসিনার সরকার নাকচ করে দেয়া হয়।