ঢাকা ০৭:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৫৬ হাজার টন চুনাপাথর নিয়ে আসছে ‘আবদুল্লাহ’

চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪ ৬০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সোমালিয়ায় জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশী পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ সোমবার (১৩ মে) রাতে কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার উপকূলে নোঙর করতে পারে জাহাজটি। জাহাজটি ২৩ নাবিক নিয়ে বঙ্গোপসাগরে পৌঁছেছে। জাহাজেরর মালিক কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ২২ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে জাহাজটি দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের জেটিতে ভিড়েছিল। কয়লা খালাস শেষে ২৭ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নতুন ট্রিপের পণ্য লোড করতে ইউএইর মিনা সাকার বন্দরে যায়। এরপর সেখান থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলো এমভি আবদুল্লাহ।

কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, আব্দুল্লাহ জাহাজটি ১৩ মে রাতে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে কুতুবদিয়ায় পৌঁছাবে। দুবাই থেকে আসার সময় জাহাজটি ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর নিয়ে আসছে। এরমধ্যে কিছু চুনাপাথর কুতুবদিয়ায় খালাস হবে। বাকি চুনাপাথর চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে খালাস করতে পারে।

জানা গেছে, ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে চলতি বছরের ১২ মার্চ সোমালিয়ার দস্যুরা ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি জিম্মি করেছিলো। দেশটির উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগর থেকে জাহাজটি জিম্মি করেছিলো জলদস্যুরা। এরপর ১৪ এপ্রিল ভোরে জাহাজটি মুক্ত হয়। এ সময় ৬৫ জন জলদস্যু জাহাজটি থেকে বোটে নেমে যায়। তারপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের দু’টি যুদ্ধ জাহাজের পাহারায় এমভি আবদুল্লাহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পার হয়। বাড়তি সতর্কতা হিসেবে তখন জাহাজের চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া, ডেকে হাই প্রেসার ফায়ার হোস বসানো হয়, যাতে জলদস্যুরা ফের হামলা করলে উচ্চচাপে পানি ছিটানো যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

৫৬ হাজার টন চুনাপাথর নিয়ে আসছে ‘আবদুল্লাহ’

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪

সোমালিয়ায় জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশী পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ সোমবার (১৩ মে) রাতে কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার উপকূলে নোঙর করতে পারে জাহাজটি। জাহাজটি ২৩ নাবিক নিয়ে বঙ্গোপসাগরে পৌঁছেছে। জাহাজেরর মালিক কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ২২ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে জাহাজটি দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের জেটিতে ভিড়েছিল। কয়লা খালাস শেষে ২৭ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নতুন ট্রিপের পণ্য লোড করতে ইউএইর মিনা সাকার বন্দরে যায়। এরপর সেখান থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলো এমভি আবদুল্লাহ।

কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, আব্দুল্লাহ জাহাজটি ১৩ মে রাতে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে কুতুবদিয়ায় পৌঁছাবে। দুবাই থেকে আসার সময় জাহাজটি ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর নিয়ে আসছে। এরমধ্যে কিছু চুনাপাথর কুতুবদিয়ায় খালাস হবে। বাকি চুনাপাথর চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে খালাস করতে পারে।

জানা গেছে, ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে চলতি বছরের ১২ মার্চ সোমালিয়ার দস্যুরা ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি জিম্মি করেছিলো। দেশটির উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগর থেকে জাহাজটি জিম্মি করেছিলো জলদস্যুরা। এরপর ১৪ এপ্রিল ভোরে জাহাজটি মুক্ত হয়। এ সময় ৬৫ জন জলদস্যু জাহাজটি থেকে বোটে নেমে যায়। তারপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের দু’টি যুদ্ধ জাহাজের পাহারায় এমভি আবদুল্লাহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পার হয়। বাড়তি সতর্কতা হিসেবে তখন জাহাজের চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া, ডেকে হাই প্রেসার ফায়ার হোস বসানো হয়, যাতে জলদস্যুরা ফের হামলা করলে উচ্চচাপে পানি ছিটানো যায়।