হত্যার পর মরদেহ গুমের চেষ্টা, ৪ আসামির ফাঁসি
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:০৩:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪ ৭১ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামে হত্যার পর মরদেহ গুমের চেষ্টা মামলায় ৪ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় একজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৩ জুলাই) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এইচ এম শফিকুল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা হলো- সুমন চৌধুরী, মিঠু চৌধুরী, দেলোয়ার হোসেন ও এরশাদ হোসেন। আরেক আসামি সুদীপ চৌধুরীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া রিকশাচালক মো. ইলিয়াসের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বাড়ির সীমানা বিরোধকে কেন্দ্র করে এক ব্যক্তিকে হত্যার পর মরদেহ গুমের চেষ্টা করেছিল দন্ডিতরা। হত্যার শিকার পঞ্চাশোর্ধ সুলাল চৌধুরী চট্টগ্রামের রাউজন উপজেলার চিকদাইর ইউনিয়নের মুন্সীপাড়া এলাকার বাসিন্দা। একই ইউনিয়নের যুগীরহাট চালবাজারে অভয়া ঔষধালয় নামে তার একটি আয়ূবের্দিক ফার্মেসি ছিলো।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২৫ জুন রাত ৯টার দিকে রিকশায় করে ফার্মেসি থেকে বাড়িতে ফেরার পথে সুলাল চৌধুরীকে নোয়াজিশপুর-চিকদাইর সড়কে প্রিয়তোষ কবিরাজের বাড়ি সংলগ্ন ব্রিজের সামনে কুপিয়ে হত্যা করে আসামিরা। এরপর তার মরদেহ গুমের উদ্দেশে ব্রিজের নিচে খালের মধ্যে কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে রাখে। গভীর রাত পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় তার স্ত্রী ও সন্তান স্থানীয়দের নিয়ে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে খালে মরদেহের সন্ধান পায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সুলালের ছেলে সৌরভ চৌধুরী বাদী হয়ে রাউজান থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলা তদন্ত করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডির পরিদর্শক হাবিবুর রহমান ২০১৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগ গঠনের পর মোট পনেরো জনের সাক্ষ্য নিয়ে আদালত এ রায় দিয়েছেন।