সড়ক নির্মাণে অধিগ্রহণকৃত জমির টাকা পরিশোধে টালবাহানা
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৪:৩৬:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪ ৪৮ বার পড়া হয়েছে
গাইবান্ধার ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক সম্প্রসারণ ‘সাসেক সংযোগ প্রকল্প’ পলাশবাড়ীতে ফোরলেন সড়ক নির্মাণে অধিগ্রহণকৃত জমির টাকা পরিশোধে টালবাহানার অভিযোগ লেগেই রয়েছে। কোনভাবেই প্রতিকার পাচ্ছেন না জমির মালিকরা। এর ধারাবাহিকতায় জেলার পলাশবাড়ী উপজেলাধীন নুনিয়াগাড়ী মৌজার অধিগ্রহণকৃত জমি ও অবকাঠামোর টাকা পরিশোধে কর্তৃপক্ষের দীর্ঘ টালবাহনার প্রতিবাদে জরুরী সভা করেন ভুক্ত ভোগী জমির মালিকরা।
সভায় ক্ষতিগ্রস্ত জমি মালিকসহ সামাজিক,সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় সমন্বয়করা অংশ নেন। সভায় আশু সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষের বরাবরে স্মারকলিপি প্রদানসহ প্রয়োজনে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচী প্রদান করা হবে বলে জানানো হয়।
শনিবার (২৪ আগস্ট) রাত ৯টায় রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে চৌমাথা মোড়ে (সাবেক রুবেল মার্কেটের সামনে) এ জরুরী মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন, ক্ষতিগ্রস্ত জমি মালিক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবু তালেব সরকার তারা।
সভায় উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহ আলম সরকার, সাংবাদিক রবিউল হোসেন পাতা, ফেরদাউছ মিয়া, আমিনুল ইসলাম কবির, ছাদেকুল ইসলাম রুবেল বক্তব্য রাখেন। আরও বক্তব্য রাখেন- জমি মালিক জালাল উদ্দিন বাচ্চু, আজিজার রহমান মোল্লা, রিশাদুন নবী মলিন, খোরশেদ আলম, সুরুজ হক লিটন, মশিউর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান ইভান।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় সমন্বয়ক মাসুদ রানা, ইউসুফ মন্ডল, অর্ণব আহম্মেদ সামিদ, রবিউল ইসলাম ইকবাল প্রমুখ। সঞ্চালনায় ছিলেন, মোশফেকুর রহমান মিলটন।
এসময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ সরকারের ১৯৯০ সালে শুরু হওয়ায় ভূমি জরিপ (বিআরএস) জেএল নং-৬৯ মৌজা নুনিয়াগাড়ী বর্তমানে চলমান আছে। এতদ পরেও সংশ্লিষ্ট ভূমি অধিগ্রহণ কর্তৃপক্ষের ত্রুটিপূর্ণভাবে অসম্পূর্ণ বিআরএস (ডি.পি খতিয়ান) মূলে তাং ১২/০১/২০২১ইং ৪ ধারা, তাং ১২/০১/২০২৩ ইং ৭ ধারা ও তাং ৩১/০৭/২০২৩ ইং ৮ ধারা নোটিশ প্রদান করেন। অধিগ্রহণ কর্তৃপক্ষের প্রদত্ত তালিকা অনুযায়ী স্ব-স্ব ভূমির মালিকগণকে অবকাঠামো ও জমির মালিক নির্ধারণ করা হয়েছে মর্মে প্রয়োজনীয় কাগজ জমা প্রদানের নিমিত্তে ৮ ধারার নোটিশ প্রদান করেন এবং প্রার্থীত জমির মালিকগণ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বৈধ কাগজ পত্রাদী দাখিল করেন। ভূক্ত ভোগী মালিকদের ক্ষতিপূরণের অর্থ জরুরী ভিত্তিতে দেওয়া হবে মর্মে প্রতিশ্রুতি দিয়ে অবকাঠামো অপসারণ করা হয়।
এরপর দীর্ঘ ৪ মাসেও অর্থ না দিয়ে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক, সড়ক ও জনপদের নিকট নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে নুনিয়াগাড়ী মৌজার অসম্পন্ন খতিয়ান মূলে চারটি মৌজার ভূমির দখল স্বত্ত্ব হস্তান্তর করে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মহোদয় বিআরএস রেকর্ড গেজেট না হওয়ার অজুহাত দেখিয়ে কালক্ষেপন করেন।
ভুক্তভোগী জমির মালিকরা উপায় অন্তর না দেখে, জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস, রংপুরের স্বরনাপর্ণ হয়। আশানুরুপ ফল না পেয়ে ভূক্ত ভোগী মালিকগণের পক্ষে, মোঃ সুরুজ মিয়া (লিটন) ভূমি উপ-সচিব বরাবর নুনিয়াগাড়ী মৌজার গেজেট প্রকাশের জন্য দরখাস্ত দাখিল করলে একই সাথে গত ১২/১২/২০২৩ ইং তারিখ বাংলাদেশ সরকারের ভূমি উপ-সচিব দপ্তর হতে নুনিয়াগাড়ী মৌজার গেজেট প্রকাশের জন্য জোনাল সেটেলমেন্ট কার্যালয়, রংপুরে পত্র প্রেরণ করেন।
তাদের অভিযোগ, জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা অন্যায় লাভের আশায় কিছু মামলা নিয়ে তা নিষ্পত্তি না করে বিভিন্ন টালবাহানায় কালক্ষেপন করছে।
এদিকে, দীর্ঘ সময় ক্ষতিপূরণের অর্থ না পেয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বিআরএস রেকর্ডের গেজেট হয়নি মর্মে জানান। নিয়ম বর্হিভূত ভাবে অসম্পন্ন বিআরএস খতিয়ান সূত্রে ভুল ভাবে অধিগ্রহণ করেন এবং কর্তৃপক্ষের ভুল গুলো মালিকগণের উপর চাপিয়ে দিয়ে অমানবিক হয়রানী করা হচ্ছে। জোনাল সেটেলমেন্ট কর্তৃপক্ষের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে অন্যায় লাভের আশায় গেজেট প্রকাশের অনিহায় বিভিন্ন মামলার অজুহাতে টালবাহানা করছেন।
এমতবস্থায় আশু সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষের বরাবরে স্মারকলিপি প্রদানসহ প্রয়োজনে নিজ এলাকাসহ প্রয়োজনে ঢাকায় মানববন্ধনসহ বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচী প্রদান করা হবে বলে জানান।