মূল আসামী আক্তার হোসেন প্রকাশ সুমন গ্রেফতার
স্বাক্ষী না রাখতেই ত্রিপল মার্ডার
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৩৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৫৪ বার পড়া হয়েছে
কুমিল্লার হোমনায় যুবলীগ নেতার মেয়েসহ চাঞ্চল্যকর ত্রিপল মার্ডার মামলার অন্যতম মূল আসামী আক্তার হোসেন প্রকাশ সুমনকে (২৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বিকার করে বলে পুলিশ জানায়।
ঘাতক সুমন উপজেলার শ্রীমদ্ধি চরের গাও গ্রামের হক মিয়ার ছেলে ও ভিকটিম নিহত মাহমুদা বেগমের দুঃসম্পর্কের আত্মীয়।
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শ্রীমদ্ধী চরের গাও গ্রামের হক মিয়ার ছেলে আক্তার হোসেন প্রকাশ সুমনের সাথে দীর্ঘদিন ধরেই আত্মীয়তার পরিচয়ে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিলো বড় ঘাগটিয়া গ্রামের শাহ পরানের স্ত্রী নিহত মাহমুদা বেগমের। এই সুবাধে প্রায় সময় মাহমুদা বেগমের স্বামী বাড়ীতে না থাকলে সে অবাধে আসা যাওয়া করতো এবং উভয়ের মধ্যে আর্থিক লেন-দেনও হয়। সম্প্রতি মাহমুদা বেগম অন্য পুরুষের সাথে ফোনে কথা বলা নিয়ে এবং টাকার লেন-দেন নিয়ে বিতর্ক হয় সুমনের সাথে।
গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে গেন্ডারীর রস ও সিঙ্গারা-পুরি নিয়ে মাহমুদার ঘরে যায় এবং স্বাভাবিক খাবার খেয়ে অনেক রাত পর্যন্ত আড্ডা করে। পূর্বেই চেতনানাশক ঔষধ মিশানো গেন্ডারির রস খাইয়ে দেয় সবাইকে। সবাই অচেতন হলে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে একে একে ৩ জনকেই শ্বাসরোধে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত করতেই কাঠের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে থেঁতলানো হয় মাথা ও মুখ। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়।
হোমনা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মীর মহসীন মাসুদ রানা জানান, আমরা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও মোবাইল ফোনের কল লিষ্টের সূত্র ধরে সন্দেহ ভাজন একজনকে আটক করি। সে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বিকার করে বর্ণনা দেয়। এ বিষয়ে আরো আইনানুগ কার্যক্রম চলমান আছে। এছাড়া অন্য কেউ জড়িত থাকলে বের করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৫ সেপ্টেম্বর সকালে উপজেলা যুবলীগ নেতার মেয়েসহ মা ও ছেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয় বড় ঘাগুটিয়া গ্রামের নিজ ঘর থেকে। ওই ঘটনায় নিহত মাহমুদা বেগমের বাবা হোসেন মিয়া বাদী হয়ে গত ৫ সেপ্টেম্বর অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা নং-১ দায়ের করেন।