সিলেটে বন্যা: সড়ক যোগাযোগ বন্ধ, পানিবন্দী ৫ লাখ মানুষ
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:২১:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪ ৮৫ বার পড়া হয়েছে
টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে পানিবন্দী সিলেটের ৫ লাখ মানুষ। সিলেট জেলার ৫টি উপজেলায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে জেলার পাঁচ হাজার ৬০১ হেক্টর জমির ফসল। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সিলেটের সব পর্যটন কেন্দ্র।
সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ বন্যা কবলিত হয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে সিলেট-তামাবিল সড়ক। জেলা সদরের সাথে সড়ক যোগাযোগ অনেকটা বন্ধ হয়ে পড়েছে গোয়াইনঘাট উপজেলা সদরের সাথে।
সিলেট নগরীর বেশকিছু এলাকায়ও বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। নগরীর মেন্দিবাগ, মাছিমপুর, আলমপুরে বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। ঝুঁকিতে আছে নগরীর শেখঘাট,কালিঘাট, কাজির বাজারসহ বাণিজ্যিক এলাক।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজিব হোসেন জানিয়েছেন, চলতি মাসে সিলেটে বৃষ্টিপাত হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। গত বছর মে মাসে ৩৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিলো। এ বছর মে মাসে বৃষ্টি হয়েছে ৭০৫ মিলিমিটার। এর আগে ২০২২ সালের প্রলয়ঙ্করী বন্যার সময় মে মাসে সিলেটে ৮৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ জানিয়েছেন, কুশিয়ারা, সুরমা, সারি ও গোয়াইন নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যান্য নদ-নদীর পানিও বেড়েছে।
জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান জানান, পানিবন্দী মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে ও নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। জেলার ৫টি উপজেলায় জরুরি ভিত্তিতে প্রায় ৪৭০টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু রয়েছে। প্রয়োজনে আরও বাড়ানো হবে।
এরমধ্যে জৈন্তাপুরে ৪৮টি, রকানাইঘাটে ১৮টি, কোম্পানীগঞ্জে ৩৫টি, জকিগঞ্জে ৫৮টি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। বাকি আশ্রয় কেন্দ্রগুলো অন্যান্য উপজেলায় রয়েছে।
গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলার জন প্রতিনিধি ও প্রশাসন জানায়, হঠাৎ বন্যায় আটকে পড়াদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী, বিজিবি, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, আনসার ভিডিপি ছাড়াও জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক কর্মী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, সামাজিক সংগঠন কাজ করছে।