ঢাকা ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাহাবুল হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার দাবী পরিবারের

রাজশাহী ব্যুরো
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:১৭:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৬৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজশাহী পবায় সাহাবুল হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার দাবি করেছেন নিহতের পরিবারের স্বজনরা। ২০১৭ সালের ২১ রাতে গলা কেটের হত্যারে জমিতে ফেলে রাখা হয় মরদেহ। এ ঘটনায় ২২ সেপ্টেম্বর নিহত সাহাবুলের মা বাদি হয়ে পবা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলায় সোহেল (২০), রুবেল(৩০), লাভলু(২৫), বাবলু, রাব্বুল, ও টাইগারকে আসামী করা হয়। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামীও করা হয়।

নিহত সাহাবুলের ছোট ভাই মনিরুল ইসলাম বলেন, মামলার দায়েরের পর অগ্রগতি না হয়ায় পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয় এবং জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এরপর জেলা প্রশাসক সিআইডিকে মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেন।

সিআইডি মামলার প্রথম আসামী সোহেলকে বাদ দিয়ে চার্জসিট প্রদান করেন। চার্জসিটের বিরুদ্ধে পরিবারের পক্ষ নারাজি দিলে কোর্ট পিবিআইকে তদন্তের ভার দেওয়া হয়। দীর্ঘ ৪ বছর তদন্তের পর রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতে প্রথম আসামী সোহেলসহ ২০২৩ সালের২৮ মার্চ প্রতিবেদন জমা দেয়।

মামলার সময় আসামী ৬ জন থাকলেও পিবিআই আরও ৫ জনকে জড়িয়ে ১১জনকে আসামী করে চার্জসিট জমা দেয়।

সাহাবুলের মা মালেকা বেগম বলেন, হ্যতার ৭ বছর পেরিয়ে গেলেও তিনি ছেলে হত্যার বিচার পাননি। বিচারের জন্য শুধু অপেক্ষা। তার প্রশ্ন,এই অপেক্ষা আর কতোদিন।

এদিকে নিহত সাহাবুলের ছেলে সিয়াম (১৫) ও মেয়ে লামিয়া খাতুন (১০) বলেন, ছোট বেলায় মানুষের ছেলেরা যখন বাবা বলে ডাকে, তখন তারা দুই ভাই-বোন শুধু বাবার অপেক্ষায় পথের দিকে চেয়ে থাকে। এই বুঝি বাবা আসছে, কিন্তু বাবা আর ফিরে আসেনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সাহাবুল হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার দাবী পরিবারের

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:১৭:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

রাজশাহী পবায় সাহাবুল হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার দাবি করেছেন নিহতের পরিবারের স্বজনরা। ২০১৭ সালের ২১ রাতে গলা কেটের হত্যারে জমিতে ফেলে রাখা হয় মরদেহ। এ ঘটনায় ২২ সেপ্টেম্বর নিহত সাহাবুলের মা বাদি হয়ে পবা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলায় সোহেল (২০), রুবেল(৩০), লাভলু(২৫), বাবলু, রাব্বুল, ও টাইগারকে আসামী করা হয়। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামীও করা হয়।

নিহত সাহাবুলের ছোট ভাই মনিরুল ইসলাম বলেন, মামলার দায়েরের পর অগ্রগতি না হয়ায় পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয় এবং জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এরপর জেলা প্রশাসক সিআইডিকে মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেন।

সিআইডি মামলার প্রথম আসামী সোহেলকে বাদ দিয়ে চার্জসিট প্রদান করেন। চার্জসিটের বিরুদ্ধে পরিবারের পক্ষ নারাজি দিলে কোর্ট পিবিআইকে তদন্তের ভার দেওয়া হয়। দীর্ঘ ৪ বছর তদন্তের পর রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতে প্রথম আসামী সোহেলসহ ২০২৩ সালের২৮ মার্চ প্রতিবেদন জমা দেয়।

মামলার সময় আসামী ৬ জন থাকলেও পিবিআই আরও ৫ জনকে জড়িয়ে ১১জনকে আসামী করে চার্জসিট জমা দেয়।

সাহাবুলের মা মালেকা বেগম বলেন, হ্যতার ৭ বছর পেরিয়ে গেলেও তিনি ছেলে হত্যার বিচার পাননি। বিচারের জন্য শুধু অপেক্ষা। তার প্রশ্ন,এই অপেক্ষা আর কতোদিন।

এদিকে নিহত সাহাবুলের ছেলে সিয়াম (১৫) ও মেয়ে লামিয়া খাতুন (১০) বলেন, ছোট বেলায় মানুষের ছেলেরা যখন বাবা বলে ডাকে, তখন তারা দুই ভাই-বোন শুধু বাবার অপেক্ষায় পথের দিকে চেয়ে থাকে। এই বুঝি বাবা আসছে, কিন্তু বাবা আর ফিরে আসেনি।